Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মেনে নেব: নজরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাহলে বিএনপি মেনে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শহীদ শাহ মাঈনুল আহসান চৌধুরী পিংকুর ৪৩তম স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্মরণসভার আয়োজন করে রাজশাহীর শহীদ পিংকু স্মৃতি সংসদ।

তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে আলহামদুলিল্লাহ, মেনে নেব।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা অবশ্যই নির্বাচন করতে চায়, তবে তা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।

তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের জন্য লড়াই করছে বিএনপি। যারা ক্ষমতায় আছে তারা জনগণের ভোটবিহীন, জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এত লুটপাট, দুর্নীতি করছে সে কারণেই তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছে। অন্যায় অত্যাচার করা হবে না ক্ষমতা ছাড়লে, তবে যারা অপরাধ করেছে তাদের বিচার হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, কিছুদিন আগেই আওয়ামী লীগ বলেছে বহির্বিশ্বের কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেনি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরাসরি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করেছে, এখন কেন আওয়ামী লীগ নেতারা চুপসে গেছে?

নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশনই বলেন বা সাংবিধানিক কোনো প্রতিষ্ঠানই বলেন সব নষ্ট করে ফেলেছে। আর এটিই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ। লুটপাট এবং দুর্নীতির থেকেও আরো বড় অপরাধ হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা।

নজরুল ইসলাম বলেন, ভিসানীতি মূলত সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের জন্য। তবে এটা দেশের জন্য আনন্দদায়ক নয়। এটা অপমানজনক, অসম্মানজনক।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিউজ করায় সাংবাদিককে প্রাণ দিতে হলো। আমাদের দেশে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে তারা এই বিষয়ে কিছুই বলল না। এতে বোঝা যাচ্ছে দেশের সব কিছুই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্মরণসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বসবাস করছি।

স্মরণসভা চলাকালীন পোশাক পরে এক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক ডায়াসের ছবি তোলার ঘটনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এই মঞ্চে যারা বসে আছেন, একজন মন্ত্রী ছিলেন, আরেকজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। পোশাক পরা পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। একটা ভয়ঙ্কর দুঃশাসন না থাকলে পুলিশ এখানে এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়? আমরা এখানে একটি স্মরণসভা করছি। দেশের বরেণ্য নেতৃবৃন্দ এখানে উপস্থিত আছেন অথচ পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়। একটি রুদ্ধশ্বাস, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বসবাস করছি বলেই এই ধরনের অসাদচারণ।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আইনের কাছে দায়বদ্ধ নয়, জনগণের কাছে নয়, তারা দায়বদ্ধ শেখ হাসিনার কাছে।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের শক্ত খুঁটি হলো তার প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আদালত, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মিডিয়া। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যে দেশে নিশ্চিত হয় না সেটা গণতান্ত্রিক দেশ না, সেটা নাৎসিবাদী দেশ। যে দেশে আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে না, সেটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক দেশ না।

স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মেনে নেব: নজরুল ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাহলে বিএনপি মেনে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শহীদ শাহ মাঈনুল আহসান চৌধুরী পিংকুর ৪৩তম স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্মরণসভার আয়োজন করে রাজশাহীর শহীদ পিংকু স্মৃতি সংসদ।

তিনি বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে আলহামদুলিল্লাহ, মেনে নেব।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা অবশ্যই নির্বাচন করতে চায়, তবে তা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।

তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের জন্য লড়াই করছে বিএনপি। যারা ক্ষমতায় আছে তারা জনগণের ভোটবিহীন, জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এত লুটপাট, দুর্নীতি করছে সে কারণেই তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছে। অন্যায় অত্যাচার করা হবে না ক্ষমতা ছাড়লে, তবে যারা অপরাধ করেছে তাদের বিচার হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, কিছুদিন আগেই আওয়ামী লীগ বলেছে বহির্বিশ্বের কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেনি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরাসরি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করেছে, এখন কেন আওয়ামী লীগ নেতারা চুপসে গেছে?

নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশনই বলেন বা সাংবিধানিক কোনো প্রতিষ্ঠানই বলেন সব নষ্ট করে ফেলেছে। আর এটিই হচ্ছে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ। লুটপাট এবং দুর্নীতির থেকেও আরো বড় অপরাধ হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা।

নজরুল ইসলাম বলেন, ভিসানীতি মূলত সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের জন্য। তবে এটা দেশের জন্য আনন্দদায়ক নয়। এটা অপমানজনক, অসম্মানজনক।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিউজ করায় সাংবাদিককে প্রাণ দিতে হলো। আমাদের দেশে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে তারা এই বিষয়ে কিছুই বলল না। এতে বোঝা যাচ্ছে দেশের সব কিছুই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্মরণসভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বসবাস করছি।

স্মরণসভা চলাকালীন পোশাক পরে এক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক ডায়াসের ছবি তোলার ঘটনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এই মঞ্চে যারা বসে আছেন, একজন মন্ত্রী ছিলেন, আরেকজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। পোশাক পরা পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। একটা ভয়ঙ্কর দুঃশাসন না থাকলে পুলিশ এখানে এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়? আমরা এখানে একটি স্মরণসভা করছি। দেশের বরেণ্য নেতৃবৃন্দ এখানে উপস্থিত আছেন অথচ পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়। একটি রুদ্ধশ্বাস, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বসবাস করছি বলেই এই ধরনের অসাদচারণ।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আইনের কাছে দায়বদ্ধ নয়, জনগণের কাছে নয়, তারা দায়বদ্ধ শেখ হাসিনার কাছে।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের শক্ত খুঁটি হলো তার প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আদালত, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মিডিয়া। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যে দেশে নিশ্চিত হয় না সেটা গণতান্ত্রিক দেশ না, সেটা নাৎসিবাদী দেশ। যে দেশে আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে না, সেটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক দেশ না।

স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ।