নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিটের সাড়ে ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকায় ও মানুষের ভিড়ের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। এখানে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।
তিনি আরো বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৭টি ইউনিট সেখানে কাজ করে। এরপর সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস। তবে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে ৩ শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। আগুন থেকে বাঁচাতে কর্মচারীদের দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
তবে আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
সকালে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাশিদ বিন খালেদ বলেন, রাত ৩টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান তারা। খবর পেয়ে ১২টি ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে পরে আরও পাঁচটি ইউনিট যোগ দেয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী ছাড়াও পুলিশ, বিজিবির সদস্যরা যোগ দেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথমে হক বেকারি থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে বাতাসে মুহূর্তেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মার্কেট বন্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিস প্রথমে এসে ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এজন্য আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
কৃষি মার্কেটে কাপড়ের দোকানি মাহবুব হাসান বলেন, তার দোকানে লাখ পাঁচেক টাকার মালামাল ছিল। প্রথমে হক বেকারিতে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে যায়। মার্কেটে ৫০০ এর বেশি দোকান পুড়েছে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, মার্কেটে শাড়ি-কাপড়সহ বিভিন্ন দাহ্য পণ্যের দোকান থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। টিনশেড মার্কেট হওয়ায় ভেতরে ধোয়া আবদ্ধ হয়ে আছে। তাই সহসাই ভেতরে প্রবেশের সুযোগ কম। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ফায়ার সার্ভিসের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল।