বিনোদন ডেস্ক :
এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে চমকের কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন নিপুণ। প্রথম চমক হিসেবে হাজির করেছেন অভিনেতা মাহমুদ কলিকে। কিন্তু দ্বিতীয় চমক যে পীরজাদা শহীদুল হারুন হবেন এটা অন্তত আজ পর্যন্ত প্রায় সবারই অজানা ছিলো। কারণ, চুমু খেতে চাওয়ার অভিযোগে হারুনকে জুতোপেটা করতে চেয়েছিলেন নিপুণ। অন্যদিকে নিপুণকে চরিত্রহীনসহ বাজে ভাষায় গালাগালি করেছিলেন পীরজাদা শহীদুল হারুন। সেসময় দুইজনের মধ্যে যা হয়েছিল তাতে দুইজন দুইজনের মুখ দেখারই কথা না। কিন্তু হল ভিন্ন।
শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদে সভাপতি প্রার্থী মাহমুদ কলির নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকেলে এফডিসিতে একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা। পীরজাদা শহীদুল হারুন ও নিপুণ আক্তারকে একসঙ্গে একই প্যানেল দেখে খানিকটা চমকে গিয়েছেন অনেকেই। তবে তিনি কোন পদে প্রার্থী হচ্ছেন তা এখনো জানা যায়নিও।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) অভিনেতা পীরজাদা হারুন বলেন, আসলে শিল্পীদের মধ্যে কখনো কোনো বিভেদ হয় না। দিন শেষে আমরা সবাই এক। খেলার কথায় যদি বলি তাহলে গতবারের নির্বাচনে আমি ছিলাম আম্পায়ার। আর এবার সেই আম্পায়ার থেকে খেলোয়াড় হয়ে মাঠে নামছি।
এ নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য পদে অংশ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। এ সময় প্রশ্ন উঠে―গতবার চুমু খেতে চাওয়া নিয়ে তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন নিপুণ। তাহলে এবার সেই অভিযুক্তের সঙ্গেই কেন নির্বাচনে অংশ নেয়া? এ ব্যাপারে বর্ষীয়ান এই অভিনেতা বলেন, নিপুণ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, যদিও অভিযোগটি ঠিক নয়।
পীরজাদা শহীদুল হারুন বলেন, নিপুণ যে অভিযোগ করেছিল সেটি কিন্তু সে নিজ কানে শোনেনি। তাকে আসলে কেউ একজন ভুল বুঝিয়েছিল। এ কথা সে নিজেই জানাবে সবাইকে। আর আমি চাই সব শিল্পীদের একত্র করতে। এ জন্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।
এসময় নিপুণ বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম আমাদের প্যানেলে বড় বড় কিছু চমক থাকবে। হারুন ভাই তার মধ্যে একটি। তৃতীয় পক্ষের কারণে আমাদের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেটা এখন আর নাই। দিনশেষে আমরা সবাই শিল্পী, সবাই এক সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
প্রসঙ্গত, গত ২০২২-২৩ মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুন। নির্বাচন নিয়ে তুমুল হই হট্টগোল, তর্কবিতর্ক, মামলা, আদালতে দৌড়ঝাঁপসহ সবকিছুই হয়েছে। নির্বাচনে পরাজয়ের পর জাতীয় প্রেস ক্লাবে পীরজাদা হারুনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ। নির্বাচনের দিন নিপুণকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন পীরজাদা- প্রকাশ্যে এমন অভিযোগও তুলেছিলেন নিপুণ। তার অভিযোগ মিথ্যে বলে হারুন বলেছিলেন, ‘নিপুণ একটি বাজে মেয়ে, তার স্বভাব চরিত্রেও প্রবলেম আছে বহুবিধ। তাই সে নিজেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়োজিত রাখতে না পেরে অস্বাভাবিক।
পরে উপর মহলের চাপে তা থেকে যায়। কিন্তু এবার সেই পীরজাদা হারুনের সঙ্গে হাত মেলালেন নিপুণ। অর্থাৎ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মাহমুদ কলি ও নিপুণের প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করছেন পীরজাদা হারুন।