Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটি খুঁড়ে নিরাপত্তা প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর নির্মাণাধীন আর.কে টেক্সটাইলের বালুর নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় সেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের রংপুর-নগরবাড়ি মহাসড়কের তালগাছী এলাকায় মাটি খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নিরাপত্তাকর্মী মো. ফেরদৌস (১৮) শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. আক্কাস আলীর ছেলে ও আর.কে টেক্সটাইলে নাইটগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ফেরদৌস আলী আর কে টেক্সটাইল মিলস এ নাইট গার্ডের চাকুরি করতেন। গত ০৫/০১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬.০০ ঘটিকায় মৃত মো: ফেরদৌস আলী তার কর্মস্থলে আসেন। এরপর সকাল হয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে ফিরে যান নাই। পরিবারের লোকজন ফ্যাক্টরিতে এসে তাকে খুজে পায় নাই। এরপর তারা খোজাখুজি অব্যাহত রাখেন এবং শাহজাদপুর থানাতে এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এ ঘটনায় উপজেলার ঘোড়শাল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মামুনকে (৩০) আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে আরকে টেক্সটাইল মিলসের ভিতরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত মামুন উক্ত ফ্যাক্টরিতে চুরি করতে আসে। সে সময় নাইট গার্ডের সাথে তার বাক বিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে মামুন ফেরদৌসের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর মৃত্য নিশ্চিত করার জন্য সে ভিকটিমের মুখে কম্বল ঠেসে ধরে। এরপর সে তার লাশ মাটিতে পুতে রেখে ভিকটিমের মোবাইল নিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভিকটিমের একটি মোবাইল, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কম্বল ও একজোড়া জুতা উদ্ধার করেছেন।

শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান, শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খায়রুল বাশার, ইন্সপেক্টর তদন্ত এবং বিট অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের সুরহতাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনার সহিত অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে।
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটি খুঁড়ে নিরাপত্তা প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৩:০১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর নির্মাণাধীন আর.কে টেক্সটাইলের বালুর নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় সেই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের রংপুর-নগরবাড়ি মহাসড়কের তালগাছী এলাকায় মাটি খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত নিরাপত্তাকর্মী মো. ফেরদৌস (১৮) শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. আক্কাস আলীর ছেলে ও আর.কে টেক্সটাইলে নাইটগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ফেরদৌস আলী আর কে টেক্সটাইল মিলস এ নাইট গার্ডের চাকুরি করতেন। গত ০৫/০১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬.০০ ঘটিকায় মৃত মো: ফেরদৌস আলী তার কর্মস্থলে আসেন। এরপর সকাল হয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে ফিরে যান নাই। পরিবারের লোকজন ফ্যাক্টরিতে এসে তাকে খুজে পায় নাই। এরপর তারা খোজাখুজি অব্যাহত রাখেন এবং শাহজাদপুর থানাতে এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এ ঘটনায় উপজেলার ঘোড়শাল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মামুনকে (৩০) আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে আরকে টেক্সটাইল মিলসের ভিতরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃত মামুন উক্ত ফ্যাক্টরিতে চুরি করতে আসে। সে সময় নাইট গার্ডের সাথে তার বাক বিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে মামুন ফেরদৌসের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর মৃত্য নিশ্চিত করার জন্য সে ভিকটিমের মুখে কম্বল ঠেসে ধরে। এরপর সে তার লাশ মাটিতে পুতে রেখে ভিকটিমের মোবাইল নিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভিকটিমের একটি মোবাইল, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কম্বল ও একজোড়া জুতা উদ্ধার করেছেন।

শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান, শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খায়রুল বাশার, ইন্সপেক্টর তদন্ত এবং বিট অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের সুরহতাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনার সহিত অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে।