Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২১১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

১৬ বছরের মধ্যে প্রথম ইংলিশ পেসার হিসেবে দেশের বাইরে এক টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ব্রাইডন কার্স, অভিষেকে আগ্রাসী ফিফটিতে রান তাড়া সহজ করে দিয়েছেন জ্যাকব বেথেল।

ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। চতুর্থ দিনে আনুষ্ঠানিকতার কাজটিও সহজ করে দিলেন ব্রাইডন কার্স ও জ্যাকব বেথেল। আগুনে বোলিংয়ে কার্স শিকার করলেন ছয় উইকেট। ম্যাচে তার উইকেট হলো দশটি। অভিষেকে আগ্রাসী ফিফটি উপহার দিলেন বেথেল। রান তাড়ায় ঝড়ের বেড়ে ছুটে দ্রুিকা ম্যাচ শেষ করে দিল ইংল্যান্ড।

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনেই নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।

হ্যাগলি ওভালে রোববার (১ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৫৪ রানে। একার লড়াইয়ে ৮৪ রান করেন ড্যারিল মিচেল।

৪২ রানে ৬ উইকেট নেন কার্স। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা পেসার ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন কেবল ১০৬ রান দিয়েই।

সেই ২০০৮ সালের মার্চে রায়ান সাইডবটমের পর দেশের বাইরে ১০ উইকেটের স্বাদ পেলেন ইংল্যান্ডের কোনো পেসার। সাইডবটমের কীর্তি ছিল নিউজিল্যান্ডেরই হ্যামিল্টনে।

এরপর ১০৪ রানের লক্ষ্যে অনায়াসেই পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। ৩৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন বেথেল।

নিউজিল্যান্ড দিন শুরু করে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান নিয়ে। সকালে মিচেলকে কিছুটা সহায়তা করেন অভিষিক্ত ন্যাথান স্মিথ। ২১ রানে স্মিথকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কার্স। ওই ওভারেই ম্যাট হেনরিকে বিদায় করে তিনি পূর্ণ করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট।

টিম সাউদি নেমে স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে দুটি ছক্কা মেরে আউট হয়ে যান। তবে শেষ জুটি বেশ যন্ত্রণা দেয় ইংল্যান্ডকে। উইল ও’রোককে নিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান বাড়ান মিচেল। নবম উইকেট পতনের সময় ৪৭ রানে ছিলেন মিচেল। ও’রোককে সঙ্গী করে ফিফটি পেরিয়ে তিনি দ্রুত কয়েকটি বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগান।

শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেন সেই কার্স। ৮৪ রানে আউট করেন তিনি মিচেলকে। জুটি থামে ৪৫ রানে।

রান তাড়ায় ইংল্যান্ড দ্রুতই হারায় জ্যাক ক্রলিকে (১)। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ টেস্ট খেলে তার গড় এখন ৯.৮৮। ১৭ ইনিংসে তিনি ১২ বারই আউট হলেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। আরেক ওপেনার বেন ডাকেট ১৮ বলে ২৭ করে আউট হয়ে যান। এরপর ৩৪ বলে ৪৯ রানের জুটিতে কাজ শেষ করেন বেথেল ও জো রুট।

বেথেলকে তিনে খেলানো নিয়ে ইংল্যান্ডে সমালোচনা হয়েছে প্রচুর। ৩৭ বলের অপরাজিত ফিফটিতে কিছুটা জবাব তিনি দিতে পারলেন। দেড়শত টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা রুট এবার ১৫ বলে অপরাজিত ২২ রান করে।

ম্যাচে ১০ উইকেটের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান ইনিংসে ছোটখাটো অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স করে ম্যাচের সেরা কার্স।

দ্বিতীয় টেস্ট ওয়েলিংটনে শুরু শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর)।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

১৬ বছরের মধ্যে প্রথম ইংলিশ পেসার হিসেবে দেশের বাইরে এক টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করেছেন ব্রাইডন কার্স, অভিষেকে আগ্রাসী ফিফটিতে রান তাড়া সহজ করে দিয়েছেন জ্যাকব বেথেল।

ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের দিনই। চতুর্থ দিনে আনুষ্ঠানিকতার কাজটিও সহজ করে দিলেন ব্রাইডন কার্স ও জ্যাকব বেথেল। আগুনে বোলিংয়ে কার্স শিকার করলেন ছয় উইকেট। ম্যাচে তার উইকেট হলো দশটি। অভিষেকে আগ্রাসী ফিফটি উপহার দিলেন বেথেল। রান তাড়ায় ঝড়ের বেড়ে ছুটে দ্রুিকা ম্যাচ শেষ করে দিল ইংল্যান্ড।

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনেই নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।

হ্যাগলি ওভালে রোববার (১ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৫৪ রানে। একার লড়াইয়ে ৮৪ রান করেন ড্যারিল মিচেল।

৪২ রানে ৬ উইকেট নেন কার্স। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা পেসার ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন কেবল ১০৬ রান দিয়েই।

সেই ২০০৮ সালের মার্চে রায়ান সাইডবটমের পর দেশের বাইরে ১০ উইকেটের স্বাদ পেলেন ইংল্যান্ডের কোনো পেসার। সাইডবটমের কীর্তি ছিল নিউজিল্যান্ডেরই হ্যামিল্টনে।

এরপর ১০৪ রানের লক্ষ্যে অনায়াসেই পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। ৩৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন বেথেল।

নিউজিল্যান্ড দিন শুরু করে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান নিয়ে। সকালে মিচেলকে কিছুটা সহায়তা করেন অভিষিক্ত ন্যাথান স্মিথ। ২১ রানে স্মিথকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কার্স। ওই ওভারেই ম্যাট হেনরিকে বিদায় করে তিনি পূর্ণ করে ইনিংসে পাঁচ উইকেট।

টিম সাউদি নেমে স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে দুটি ছক্কা মেরে আউট হয়ে যান। তবে শেষ জুটি বেশ যন্ত্রণা দেয় ইংল্যান্ডকে। উইল ও’রোককে নিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান বাড়ান মিচেল। নবম উইকেট পতনের সময় ৪৭ রানে ছিলেন মিচেল। ও’রোককে সঙ্গী করে ফিফটি পেরিয়ে তিনি দ্রুত কয়েকটি বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও জাগান।

শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেন সেই কার্স। ৮৪ রানে আউট করেন তিনি মিচেলকে। জুটি থামে ৪৫ রানে।

রান তাড়ায় ইংল্যান্ড দ্রুতই হারায় জ্যাক ক্রলিকে (১)। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ টেস্ট খেলে তার গড় এখন ৯.৮৮। ১৭ ইনিংসে তিনি ১২ বারই আউট হলেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে। আরেক ওপেনার বেন ডাকেট ১৮ বলে ২৭ করে আউট হয়ে যান। এরপর ৩৪ বলে ৪৯ রানের জুটিতে কাজ শেষ করেন বেথেল ও জো রুট।

বেথেলকে তিনে খেলানো নিয়ে ইংল্যান্ডে সমালোচনা হয়েছে প্রচুর। ৩৭ বলের অপরাজিত ফিফটিতে কিছুটা জবাব তিনি দিতে পারলেন। দেড়শত টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা রুট এবার ১৫ বলে অপরাজিত ২২ রান করে।

ম্যাচে ১০ উইকেটের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান ইনিংসে ছোটখাটো অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স করে ম্যাচের সেরা কার্স।

দ্বিতীয় টেস্ট ওয়েলিংটনে শুরু শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর)।