Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চলতি বিশ্বকাপে আগুন ফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকা। ছয় ম্যাচে মাত্র একটি হার, নেদারল্যান্ডসের কাছে। আরেকটিতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত নাটকীয় জয় পায়। বাকি চার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখিয়ে একপেশে জয়। বুধবার পাত্তা পেলো না নিউজিল্যান্ডও। টানা তৃতীয় ম্যাচ তারা হারলো ১৯০ রানে। তাতে আরও উন্মুক্ত হলো সেমিফাইনালের লড়াই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার শেষ চারে খেলার আশা আরও উজ্জ্বল হলো।

সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে থেকে দুই নম্বরে ভারত। তিন নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ড, তারা অজিদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে।

৩৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ডেভন কনওয়েকে হারিয়ে ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ব্যক্তিগত ২ রান করে মার্কো ইয়ানসেনের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ব্যক্তিগত ৯ রানে আবারও ইয়ানসেনের শিকার হন রাচিন রবীন্দ্র। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ড ইনিংসের এগারোতম ওভারে দলের আরেক ওপেনারকে হারায়। ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে জেরাল্ড কোয়েৎজির শিকার হন উইল ইয়াং।

এরপরে আর কোনো ব্যাটার প্রোটিয়াদের হাল ধরতে পারেননি। ধারাবাহিকভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল ব্যাটাররা। ড্যারিল মিচেল ২৪ রান করে শিকার হন কেশব মহারাজের। অধিনায়ক টম ল্যাথাম করেন মাত্র ৪ রান। মিচেল স্যান্টনার ও টিম সাউদি দুজনেই ব্যক্তিগত ৭ রান করেন।

এরপরে ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে ফিরে যান জিমি নিশাম। সবশেষে ব্যাটে নামা ট্রেন্ট বোল্ড আউট হন ব্যক্তিগত ৯ রান করে। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাট হেনরিকে নিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে গেছেন গ্লেন ফিলিপস। প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন তিনি।

ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি। এছাড়াও, ১টি করে উইকেট পান জিমি নিশাম ও ট্রেন্ট বোল্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন কেশব মহারাজ। মার্কো ইয়ানসেন নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। জেরাল্ড কোয়েৎজি নিয়েছেন দুইটি উইকেট। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা।

পুনেতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিং দিয়ে যেন বিপদেই পড়ে টম লাথামের দল।

যদিও টেম্বা বাভুমা বরাবরের মতো ব্যর্থ হয়েছেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান উঠে, বাভুমা ২৪ করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ১৮৯ বলে ২০০ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন ডি কক আর ডুসেন।

কুইন্টন ডি কক এই বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসরে যাবেন, বলে রেখেছেন আগেই। বিদায়ী বিশ্বকাপে রীতিমত স্বপ্নের ফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

চলতি বিশ্বকাপে সপ্তম ম্যাচ খেলতে নেমে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন ছক্কা মেরে, ১০৩ বলে। এর আগে চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান ডি কক। আজ ১১৬ বলে ১০ চার আর ৩ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১৪ রান।

ডি ককের পর সেঞ্চুরি পূরণ করেন ডুসেনও। ১০১ বল লাগে তার তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে। ১১৮ বলে ১৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ডুসেন, যে ইনিংসে ৯টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার।

শেষদিকে ডেভিড মিলার ৩০ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় খেলে ৫৩ রানের ক্যামিও। ৭ বলে অপরাজিত ১৫ করেন হেনরিখ ক্লাসেন। শেষ ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা।

নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি ৭৭ রানে নেন ২টি উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশের সময় : ১০:১৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চলতি বিশ্বকাপে আগুন ফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকা। ছয় ম্যাচে মাত্র একটি হার, নেদারল্যান্ডসের কাছে। আরেকটিতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত নাটকীয় জয় পায়। বাকি চার ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখিয়ে একপেশে জয়। বুধবার পাত্তা পেলো না নিউজিল্যান্ডও। টানা তৃতীয় ম্যাচ তারা হারলো ১৯০ রানে। তাতে আরও উন্মুক্ত হলো সেমিফাইনালের লড়াই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার শেষ চারে খেলার আশা আরও উজ্জ্বল হলো।

সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে থেকে দুই নম্বরে ভারত। তিন নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে নিউজিল্যান্ড, তারা অজিদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে।

৩৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ডেভন কনওয়েকে হারিয়ে ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ব্যক্তিগত ২ রান করে মার্কো ইয়ানসেনের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ব্যক্তিগত ৯ রানে আবারও ইয়ানসেনের শিকার হন রাচিন রবীন্দ্র। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ড ইনিংসের এগারোতম ওভারে দলের আরেক ওপেনারকে হারায়। ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে জেরাল্ড কোয়েৎজির শিকার হন উইল ইয়াং।

এরপরে আর কোনো ব্যাটার প্রোটিয়াদের হাল ধরতে পারেননি। ধারাবাহিকভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল ব্যাটাররা। ড্যারিল মিচেল ২৪ রান করে শিকার হন কেশব মহারাজের। অধিনায়ক টম ল্যাথাম করেন মাত্র ৪ রান। মিচেল স্যান্টনার ও টিম সাউদি দুজনেই ব্যক্তিগত ৭ রান করেন।

এরপরে ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে ফিরে যান জিমি নিশাম। সবশেষে ব্যাটে নামা ট্রেন্ট বোল্ড আউট হন ব্যক্তিগত ৯ রান করে। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাট হেনরিকে নিয়ে হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে গেছেন গ্লেন ফিলিপস। প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন তিনি।

ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন টিম সাউদি। এছাড়াও, ১টি করে উইকেট পান জিমি নিশাম ও ট্রেন্ট বোল্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন কেশব মহারাজ। মার্কো ইয়ানসেন নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। জেরাল্ড কোয়েৎজি নিয়েছেন দুইটি উইকেট। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা।

পুনেতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিং দিয়ে যেন বিপদেই পড়ে টম লাথামের দল।

যদিও টেম্বা বাভুমা বরাবরের মতো ব্যর্থ হয়েছেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান উঠে, বাভুমা ২৪ করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ১৮৯ বলে ২০০ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন ডি কক আর ডুসেন।

কুইন্টন ডি কক এই বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসরে যাবেন, বলে রেখেছেন আগেই। বিদায়ী বিশ্বকাপে রীতিমত স্বপ্নের ফর্মে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

চলতি বিশ্বকাপে সপ্তম ম্যাচ খেলতে নেমে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন ছক্কা মেরে, ১০৩ বলে। এর আগে চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকান ডি কক। আজ ১১৬ বলে ১০ চার আর ৩ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১৪ রান।

ডি ককের পর সেঞ্চুরি পূরণ করেন ডুসেনও। ১০১ বল লাগে তার তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে। ১১৮ বলে ১৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ডুসেন, যে ইনিংসে ৯টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার।

শেষদিকে ডেভিড মিলার ৩০ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় খেলে ৫৩ রানের ক্যামিও। ৭ বলে অপরাজিত ১৫ করেন হেনরিখ ক্লাসেন। শেষ ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা।

নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি ৭৭ রানে নেন ২টি উইকেট।