Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভারতের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ২০৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ভয় ছিল ভারতের। তবে ‘রবিবারের ফাইনালে হারার’ সেই শাপ কাজ করেনি। উল্টো ভারত মেরেছে এক ঢিলে দুই পাখি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রোহিত শর্মারা গড়েছেন ইতিহাস। একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডকে দিয়েছেন ২৫ বছর পুষে রাখা কষ্টের শোধ। শিরোপার মঞ্চে প্রাথমিক কাজ সেরে রাখে স্পিনাররা। বাকিটা সিদ্ধহস্তে সামলে নেন রোহিত ব্রিগেড। তাতেই ঘরে আসে নবম আসরের ট্রফি। মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আসরটিতে ভারতই এখন সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দল।

রোববার (৯ মার্চ) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। ভারতকে সমর্থন করতে আসা সমর্থকদের হতাশ করেননি রোহিতরা। চার স্পিনারের ঘূর্ণিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান আনে নিউজিল্যান্ড। জবাবে অধিনায়ক রোহিতের তাণ্ডব এবং দায়িত্বশীল মিডলের ব্যাটে ৬ বল ও ৪ উইকেট থাকতেই লক্ষ্য ছোঁয় ভারত। নিশ্চিত করে আইসিসি টুর্নামেন্টের আরেকটি শিরোপা।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপার মঞ্চে লড়েছে ভারত। এর মাঝে দুবার হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের কাছে হারার আগে ২০০০ সালে ভারত ট্রফি খুঁইয়েছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। এবার ভুল করেনি। ২০০২ (শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে) ও ২০১৩ সালের পর আবারও ঘরে তুলেছে ট্রফি। ভারতের এ নিয়ে তিনটি ট্রফি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুটি ট্রফি আছে অস্ট্রেলিয়ার।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে কিউই বোলারদের বিপক্ষে আজ শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলছেন রোহিত। গিল রক্ষণাত্মক খেললেও চার-ছয়ের পসরা সাজিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক।

কিউই বোলারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলে আজ ৪১ বলে ফিফটির দেখা পান রোহিত। প্রথম পাওয়ার প্লে তে গিলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্কোরবোর্ডে তুলেন ৬৪ রান। এ দুজনের জুটিতেই দলীয় ১০০ রানের সংগ্রহ পার করে ভারত। তবে ১০৫ রানে মিচেল স্যান্টনারের বলে গ্লেন ফিলিপ্সের বিস্ময়কর এক ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরতে হয় গিলকে। ফেরার আগে তিনি ৫০ বলে করেন ৩১ রান।

এদিকে গিল ফেরার পর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন কোহলি। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আজ দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। রানের খাতা খুললেও দুই অঙ্কের দেখা পাননি তিনি। ২ বলে ১ রান করে কোহলি সাজঘরে ফিরেছেন ব্রেসওয়েলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে। এরপর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়্যার। তবে আইয়্যারের সঙ্গে আর বড় জুটি গড়তে পারেননি রোহিত। এ জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ হতেই ফিরতে হয় রোহিতকে।

রাচীন রবীন্দ্রর বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন রোহিত। দলীয় ১২২ রানে রোহিত সাজঘরে ফেরার পর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আইয়্যার। ফর্মে থাকা আইয়্যার আজও দলকে চাপমুক্ত করেন। অক্ষরকে নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ৬১ রানের জুটি, ছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পথে। তবে জীবন পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি, আউট হন ৪৮ রান করে। আইয়্যার ফেরার পর অক্ষরও আউট হন ৪০ বলে ২৯ রান করে।

দলীয় ২০৩ রান অক্ষর ভারতের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ফেরার পর ক্রিজে রাহুলের সঙ্গী হন হার্দিক পান্ডিয়া। রাহুল-পান্ডিয়া মিলে গড়েছিলেন ৩৮ রানের জুটি। ১৮ বলে ১৮ রান করে পান্ডিয়া আউট হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাহুল।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম তিন ওভারে রান ছিল ১০। এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বলে দুর্দান্ত কিছু শট খেলেন রাচিন রাভিন্দ্রা। সপ্তম ওভারে পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় দল।

জুটি ভাঙে পরের ওভারেই। ভারুন চক্রবর্তির ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন উইল ইয়াং (১৫)। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৫৭ রানে।

রাভিন্দ্রা অবশ্য দুই দফায় জীবন পান ২৮ ও ২৯ রানে। তবে এজন্য ভুগতে হয়নি ভারতকে। কুলদিপ ইয়াদাভের জোড়া ছোবল নাড়িয়ে দেয় কিউই ব্যাটিং অর্ডার। আক্রমণে এসেই দুর্দান্ত ডেলিভারিতে রাচিন রাভিন্দ্রাকে (২৯ বলে ৩৭) বোল্ড করে দেন তিনি। পরের ওভারে তাকে আলতো করে ফিরতি ক্যাচ দেন কেন উইলিয়ামসন (১১)।

ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিউই ইনিংসের গতিও হারিয়ে যায় অনেকটা। স্পিনের নামনে বড় ভরসা টম ল্যাথাম (১৪) বিদায় নেন প্রিয় সুইপ শটে।

১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে নেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। রানের ভাবনা ভুলে এক প্রান্ত আঁকড়ে রাখেন মিচেল। ফিলিপস চেষ্টা করেন রান বাড়াতে।

২৭তম ওভারে কুলদিপকে যে ছক্কাটি মারেন ফিলিপস, তা ছিল ৮১ বল পর প্রথম বাউন্ডারি।

ফিলিপস অবশ্য থিতু হওয়ার পর বড় করতে পারেননি ইনিংস। ভারুনের লেগ ব্রেক বারবার জায়গা বানিয়ে খেলছিলেন তিনি। একটি বল ভেতরে আনেন এই রহস্য স্পিনার, তাতেই ছত্রখান ফিলিপসের স্টাম্প। ২৭ রানে জীবন পাওয়া ব্যাটসম্যান আউট হন ৩৪ রানে।

জীবন পান মিচেলও। ২৮ রানে তার ক্যাচ নিতে পারেননি রোহিত। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে ফিফটি করেন তিনি ৯১ বলে।

বাউন্ডারি অবশ্য বন্ধ হয়ে যায় আবার। ৬৫ বলের খরা কাটিয়ে অবশেষে বল সীমানা ছাড়ায় মাইকেল ব্রেসওয়েলের বাউন্ডারি।

মন্থর ইনিংস খেলা মিচেল পারেননি শেষ দিকে পুষিয়ে দিতে। ৪৬তম ওভারে শাশিকে দুটি বাউন্ডারির পর আউট হয়ে যান তিনি (১০১ বলে ৬৩)।

শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার কাজটি কেবল ব্রেসওয়েলই করেন। দারুণ খেলে ৪০ বলে ৫৩ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ওয়ানডেতে আগে সেঞ্চুরি ছিল তার, ফিফটি এটিই প্রথম। শেষ ৮ ওভারে ৭৩ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। তার পরও ইনিংস শেষেই মনে হচ্ছিল, রান কিছুটা কম হয়ে গেছে তাদের।

ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদ্বীপ যাদব শিকার করেন দুটি করে উইকেট। আর রচিন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি নেন একটি করে উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভারতের

প্রকাশের সময় : ১০:৪৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ভয় ছিল ভারতের। তবে ‘রবিবারের ফাইনালে হারার’ সেই শাপ কাজ করেনি। উল্টো ভারত মেরেছে এক ঢিলে দুই পাখি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রোহিত শর্মারা গড়েছেন ইতিহাস। একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডকে দিয়েছেন ২৫ বছর পুষে রাখা কষ্টের শোধ। শিরোপার মঞ্চে প্রাথমিক কাজ সেরে রাখে স্পিনাররা। বাকিটা সিদ্ধহস্তে সামলে নেন রোহিত ব্রিগেড। তাতেই ঘরে আসে নবম আসরের ট্রফি। মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আসরটিতে ভারতই এখন সর্বোচ্চ শিরোপাধারী দল।

রোববার (৯ মার্চ) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। ভারতকে সমর্থন করতে আসা সমর্থকদের হতাশ করেননি রোহিতরা। চার স্পিনারের ঘূর্ণিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান আনে নিউজিল্যান্ড। জবাবে অধিনায়ক রোহিতের তাণ্ডব এবং দায়িত্বশীল মিডলের ব্যাটে ৬ বল ও ৪ উইকেট থাকতেই লক্ষ্য ছোঁয় ভারত। নিশ্চিত করে আইসিসি টুর্নামেন্টের আরেকটি শিরোপা।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপার মঞ্চে লড়েছে ভারত। এর মাঝে দুবার হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের কাছে হারার আগে ২০০০ সালে ভারত ট্রফি খুঁইয়েছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। এবার ভুল করেনি। ২০০২ (শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে) ও ২০১৩ সালের পর আবারও ঘরে তুলেছে ট্রফি। ভারতের এ নিয়ে তিনটি ট্রফি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুটি ট্রফি আছে অস্ট্রেলিয়ার।

২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে কিউই বোলারদের বিপক্ষে আজ শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলছেন রোহিত। গিল রক্ষণাত্মক খেললেও চার-ছয়ের পসরা সাজিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক।

কিউই বোলারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলে আজ ৪১ বলে ফিফটির দেখা পান রোহিত। প্রথম পাওয়ার প্লে তে গিলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি স্কোরবোর্ডে তুলেন ৬৪ রান। এ দুজনের জুটিতেই দলীয় ১০০ রানের সংগ্রহ পার করে ভারত। তবে ১০৫ রানে মিচেল স্যান্টনারের বলে গ্লেন ফিলিপ্সের বিস্ময়কর এক ক্যাচে সাজঘরের পথ ধরতে হয় গিলকে। ফেরার আগে তিনি ৫০ বলে করেন ৩১ রান।

এদিকে গিল ফেরার পর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন কোহলি। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আজ দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। রানের খাতা খুললেও দুই অঙ্কের দেখা পাননি তিনি। ২ বলে ১ রান করে কোহলি সাজঘরে ফিরেছেন ব্রেসওয়েলের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে। এরপর ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়্যার। তবে আইয়্যারের সঙ্গে আর বড় জুটি গড়তে পারেননি রোহিত। এ জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ হতেই ফিরতে হয় রোহিতকে।

রাচীন রবীন্দ্রর বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হন রোহিত। দলীয় ১২২ রানে রোহিত সাজঘরে ফেরার পর অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আইয়্যার। ফর্মে থাকা আইয়্যার আজও দলকে চাপমুক্ত করেন। অক্ষরকে নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ৬১ রানের জুটি, ছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পথে। তবে জীবন পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি, আউট হন ৪৮ রান করে। আইয়্যার ফেরার পর অক্ষরও আউট হন ৪০ বলে ২৯ রান করে।

দলীয় ২০৩ রান অক্ষর ভারতের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ফেরার পর ক্রিজে রাহুলের সঙ্গী হন হার্দিক পান্ডিয়া। রাহুল-পান্ডিয়া মিলে গড়েছিলেন ৩৮ রানের জুটি। ১৮ বলে ১৮ রান করে পান্ডিয়া আউট হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন রাহুল।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম তিন ওভারে রান ছিল ১০। এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বলে দুর্দান্ত কিছু শট খেলেন রাচিন রাভিন্দ্রা। সপ্তম ওভারে পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় দল।

জুটি ভাঙে পরের ওভারেই। ভারুন চক্রবর্তির ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন উইল ইয়াং (১৫)। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৫৭ রানে।

রাভিন্দ্রা অবশ্য দুই দফায় জীবন পান ২৮ ও ২৯ রানে। তবে এজন্য ভুগতে হয়নি ভারতকে। কুলদিপ ইয়াদাভের জোড়া ছোবল নাড়িয়ে দেয় কিউই ব্যাটিং অর্ডার। আক্রমণে এসেই দুর্দান্ত ডেলিভারিতে রাচিন রাভিন্দ্রাকে (২৯ বলে ৩৭) বোল্ড করে দেন তিনি। পরের ওভারে তাকে আলতো করে ফিরতি ক্যাচ দেন কেন উইলিয়ামসন (১১)।

ফর্মে থাকা দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিউই ইনিংসের গতিও হারিয়ে যায় অনেকটা। স্পিনের নামনে বড় ভরসা টম ল্যাথাম (১৪) বিদায় নেন প্রিয় সুইপ শটে।

১০৮ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে নেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। রানের ভাবনা ভুলে এক প্রান্ত আঁকড়ে রাখেন মিচেল। ফিলিপস চেষ্টা করেন রান বাড়াতে।

২৭তম ওভারে কুলদিপকে যে ছক্কাটি মারেন ফিলিপস, তা ছিল ৮১ বল পর প্রথম বাউন্ডারি।

ফিলিপস অবশ্য থিতু হওয়ার পর বড় করতে পারেননি ইনিংস। ভারুনের লেগ ব্রেক বারবার জায়গা বানিয়ে খেলছিলেন তিনি। একটি বল ভেতরে আনেন এই রহস্য স্পিনার, তাতেই ছত্রখান ফিলিপসের স্টাম্প। ২৭ রানে জীবন পাওয়া ব্যাটসম্যান আউট হন ৩৪ রানে।

জীবন পান মিচেলও। ২৮ রানে তার ক্যাচ নিতে পারেননি রোহিত। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে ফিফটি করেন তিনি ৯১ বলে।

বাউন্ডারি অবশ্য বন্ধ হয়ে যায় আবার। ৬৫ বলের খরা কাটিয়ে অবশেষে বল সীমানা ছাড়ায় মাইকেল ব্রেসওয়েলের বাউন্ডারি।

মন্থর ইনিংস খেলা মিচেল পারেননি শেষ দিকে পুষিয়ে দিতে। ৪৬তম ওভারে শাশিকে দুটি বাউন্ডারির পর আউট হয়ে যান তিনি (১০১ বলে ৬৩)।

শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার কাজটি কেবল ব্রেসওয়েলই করেন। দারুণ খেলে ৪০ বলে ৫৩ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ওয়ানডেতে আগে সেঞ্চুরি ছিল তার, ফিফটি এটিই প্রথম। শেষ ৮ ওভারে ৭৩ রান তোলে নিউ জিল্যান্ড। তার পরও ইনিংস শেষেই মনে হচ্ছিল, রান কিছুটা কম হয়ে গেছে তাদের।

ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদ্বীপ যাদব শিকার করেন দুটি করে উইকেট। আর রচিন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি নেন একটি করে উইকেট।