Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আইসিসির

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২০৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা-আইসিসি। আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে দুর্নীতিবিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন নাসির।

টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে তারা কিছু দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করতে পেরেছে। যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার নাসির হোসেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে এসব তথ্য। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে আইসিসি লিখেছে, আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এ অভিযোগ গঠন করেছে তারা। নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের মোট তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

যে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন- কৃষাণ কুমার চৌধুরী (অন্যতম মালিক), পরাগ সাংভি (অন্যতম মালিক), আজহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ), সানি দিলন (সহকারী কোচ), শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার), আরব আমিরাতের স্থানী ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান এবং নাসির হোসেন (বাংলাদেশের ক্রিকেটার)।

তবে এই আট অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে (কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান এবং সানি দিলনকে প্রাথমিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত সবাইকে ১৯ সেপ্টেম্বরের পর ১৪ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে আইসিসির পক্ষ থেকে।

২০২১ টি-টেন লিগের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ আইসিসির। যদিও সেই চেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে। দুর্নীতি সফল করার সুযোগ পায়নি।

এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মাধ্যমে আইসিসি ডেজিগনেটেড অ্যান্টি করাপশন অফিসিয়াল (ডাকো) নিয়োগ দিয়েছিলো টুর্নামেন্টটিতে ইসিবির অ্যান্টি করাপশন কোডের বাস্তবায়ন করার জন্য। সেই কর্মকর্তাই উপরোক্ত আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনয়ন করেন।

আইসিসি এক বার্তায় জানিয়েছে, আইসিসি ইসিবির পক্ষে খেলোয়াড় ও অফিসিয়াল মিলিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগুলো হলো:

নাসির হোসেন দুর্নীতিবিরোধী ২.৪.৩ ধারায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাকে কোনোভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার করে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

২.৪.৬ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, তিনি সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আবুধাবি টি-টেন লিগে ২০২১ সালে পুনে ডেভিলসের নেতৃত্বে ছিলেন নাসির। যদিও গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে ২ জয়ে ৮ দলের মধ্যে সবার শেষে ছিল দলটির অবস্থান। ভালো করতে পারেননি নাসির নিজেও।

২০১৮ সালে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন নাসির হোসেন। এরপর আর দেশের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে। সর্বশেষ বিপিএলে ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, তবে সেটি আর হয়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আইসিসির

প্রকাশের সময় : ০৭:২১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা-আইসিসি। আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে দুর্নীতিবিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন নাসির।

টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট। শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে তারা কিছু দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করতে পেরেছে। যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার নাসির হোসেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে এসব তথ্য। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটিতে আইসিসি লিখেছে, আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এ অভিযোগ গঠন করেছে তারা। নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের মোট তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

যে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন- কৃষাণ কুমার চৌধুরী (অন্যতম মালিক), পরাগ সাংভি (অন্যতম মালিক), আজহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ), সানি দিলন (সহকারী কোচ), শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার), আরব আমিরাতের স্থানী ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান এবং নাসির হোসেন (বাংলাদেশের ক্রিকেটার)।

তবে এই আট অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে (কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান এবং সানি দিলনকে প্রাথমিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত সবাইকে ১৯ সেপ্টেম্বরের পর ১৪ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে আইসিসির পক্ষ থেকে।

২০২১ টি-টেন লিগের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ আইসিসির। যদিও সেই চেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে। দুর্নীতি সফল করার সুযোগ পায়নি।

এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মাধ্যমে আইসিসি ডেজিগনেটেড অ্যান্টি করাপশন অফিসিয়াল (ডাকো) নিয়োগ দিয়েছিলো টুর্নামেন্টটিতে ইসিবির অ্যান্টি করাপশন কোডের বাস্তবায়ন করার জন্য। সেই কর্মকর্তাই উপরোক্ত আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনয়ন করেন।

আইসিসি এক বার্তায় জানিয়েছে, আইসিসি ইসিবির পক্ষে খেলোয়াড় ও অফিসিয়াল মিলিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগুলো হলো:

নাসির হোসেন দুর্নীতিবিরোধী ২.৪.৩ ধারায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাকে কোনোভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার করে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

২.৪.৬ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, তিনি সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আবুধাবি টি-টেন লিগে ২০২১ সালে পুনে ডেভিলসের নেতৃত্বে ছিলেন নাসির। যদিও গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে ২ জয়ে ৮ দলের মধ্যে সবার শেষে ছিল দলটির অবস্থান। ভালো করতে পারেননি নাসির নিজেও।

২০১৮ সালে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন নাসির হোসেন। এরপর আর দেশের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে। সর্বশেষ বিপিএলে ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, তবে সেটি আর হয়নি।