Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাশকতা মামলায় নিপুণের জামিন বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ নাশকতার অভিযোগে করা চার মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আদালতে বোমা হামলা হচ্ছে, বিচারকের পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন এত বিশৃঙ্খলা হচ্ছে?

তিনি বলেন, ঢাকা কোর্টে বোমা হামলা, বিচারকের পদত্যাগ চাওয়া— এগুলো ক্রমাগত হচ্ছে। এজন্য আপনারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। আপনারা সিনিয়র আইনজীবী। এগুলো আপনাদের দেখতে হবে। তিনি বলেন, আপনারা সংযত হন। বাইরের কে কী বলল, সেটা পরে।

আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম বলেন, চিফ জাস্টিসের বাড়িতে হামলায় আপনারা বারের সঙ্গে মিলে কোনো পদক্ষেপ নিলেন না।

নিপুণ রায়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, মাই লর্ড, উনি বাংলাদেশের চিফ জাস্টিস। ব্যক্তি বিষয় না। আমরা চিফ জাস্টিসের বাসায় হামলা সমর্থন করি না। এ ঘটনায় কাউকে সিসিটিভি দেখে গ্রেফতার করা হলো না। ঘটনাটি পলিটিক্যালভাবে নেওয়া হলো। উনি কোনো দলের বা মতের চিফ জাস্টিস না। আইনজীবী আরও বলেন, চিফ জাস্টিসের বাসায় হামলার সময় নিপুণ রায় মঞ্চে ছিলেন।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, আপনারা হিরোইজম করেন। কেউ কেউ বাঁশের লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় মামলাসহ নাশকতার ৮ মামলায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে আগাম জামিন দেওয়া হয়।

বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে এর মধ্যে চার মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাজধানীর রমনা ও পল্টনের ৭টি এবং ক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এক মামলায় তাকে জামিন দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নাশকতা মামলায় নিপুণের জামিন বহাল

প্রকাশের সময় : ০১:৩২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ নাশকতার অভিযোগে করা চার মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আদালতে বোমা হামলা হচ্ছে, বিচারকের পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন এত বিশৃঙ্খলা হচ্ছে?

তিনি বলেন, ঢাকা কোর্টে বোমা হামলা, বিচারকের পদত্যাগ চাওয়া— এগুলো ক্রমাগত হচ্ছে। এজন্য আপনারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। আপনারা সিনিয়র আইনজীবী। এগুলো আপনাদের দেখতে হবে। তিনি বলেন, আপনারা সংযত হন। বাইরের কে কী বলল, সেটা পরে।

আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম বলেন, চিফ জাস্টিসের বাড়িতে হামলায় আপনারা বারের সঙ্গে মিলে কোনো পদক্ষেপ নিলেন না।

নিপুণ রায়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, মাই লর্ড, উনি বাংলাদেশের চিফ জাস্টিস। ব্যক্তি বিষয় না। আমরা চিফ জাস্টিসের বাসায় হামলা সমর্থন করি না। এ ঘটনায় কাউকে সিসিটিভি দেখে গ্রেফতার করা হলো না। ঘটনাটি পলিটিক্যালভাবে নেওয়া হলো। উনি কোনো দলের বা মতের চিফ জাস্টিস না। আইনজীবী আরও বলেন, চিফ জাস্টিসের বাসায় হামলার সময় নিপুণ রায় মঞ্চে ছিলেন।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, আপনারা হিরোইজম করেন। কেউ কেউ বাঁশের লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় মামলাসহ নাশকতার ৮ মামলায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে আগাম জামিন দেওয়া হয়।

বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে এর মধ্যে চার মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাজধানীর রমনা ও পল্টনের ৭টি এবং ক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এক মামলায় তাকে জামিন দেন।