Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলি: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যানবাহনে আগুন দেওয়াসহ যারা নাশকতা করছে, তাদের দেখামাত্র গুলি করতে মাঠে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগের অবরোধ কর্মসূচিতেও এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেটি এখনো বলবৎ আছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি সামনে রেখে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিসি (উপকমিশনার), এডিসি (অতিরিক্ত উপকমিশনার), এসি (সহকারী কমিশনার), ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), পরিদর্শক (তদন্ত), পরিদর্শক (অপারেশনস) ও অন্যান্য টহল দলসহ যেন রাত ১২টা পর্যন্ত মাঠে থাকে। সবাই যেন নজরদারিতে (ওয়াচে) থাকে, কোনোভাবে কেউ যেন কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা দেওয়া হয়

১। পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।

২। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

৩। প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

৪। নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন।

৬। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।

৭। পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।

৮। রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

৯। লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।

১০। পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নাশকতাকারীদের দেখামাত্র গুলি: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যানবাহনে আগুন দেওয়াসহ যারা নাশকতা করছে, তাদের দেখামাত্র গুলি করতে মাঠে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগের অবরোধ কর্মসূচিতেও এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেটি এখনো বলবৎ আছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি সামনে রেখে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিসি (উপকমিশনার), এডিসি (অতিরিক্ত উপকমিশনার), এসি (সহকারী কমিশনার), ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), পরিদর্শক (তদন্ত), পরিদর্শক (অপারেশনস) ও অন্যান্য টহল দলসহ যেন রাত ১২টা পর্যন্ত মাঠে থাকে। সবাই যেন নজরদারিতে (ওয়াচে) থাকে, কোনোভাবে কেউ যেন কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা দেওয়া হয়

১। পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।

২। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

৩। প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

৪। নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন।

৬। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।

৭। পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।

৮। রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

৯। লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।

১০। পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।