যশোর জেলা প্রতিনিধি :
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, নাশকতামূলক কার্যক্রম বা নির্বাচনবিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সব প্রস্তুতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আছে। নির্বাচনে নাশকতাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিলে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময় মাঠে থাকবে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু, নারী ও বয়স্কদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে প্রার্থীদের প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।
দেশবাসীকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনে আগে ও পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনামতে পুলিশের এক ধরনের নিরাপত্তা গ্রহণ করে থাকি। সেই অনুযায়ী আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। পুলিশ আপনাদের পাশে রয়েছে। প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ী ও আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে অধিক সতর্কতার সঙ্গে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবো।
সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনে ধর্মীয় সংখ্যালঘু রয়েছে, তাদের উৎকণ্ঠার কথা মাথায় রেখে নির্বাচনী নিরাপত্তা গ্রহণ করেছি। তারা যেন নিরাপদে ভোট দিতে পারে; সেই লক্ষে সকল পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দিয়েছি। এর পাশাপাশি নারীরা ও বয়স্করা ভোট দিতে পারে পুলিশ তাদেরকে সহযোগিতা করবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে টহল জোরদার বাড়ানো হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যথাযথভাবে করতে পুলিশের সকল সদস্য মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি (উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক) মঈনুল হক, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদ্দারসহ খুলনা বিভাগের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।