নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাঁও এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য জানান।
দগ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ বাবুল (৪৭), সেলি (৩৬), মো. সুয়েল (২২), মুন্নি (২০), মোহাম্মদ ইসমাইল (১৬) ও তাসলিমা (১৩)। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয় জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এরমধ্যে বাবুলের শরীরের ৬৬ শতাংশ, সেলির ৩০ শতাংশ, সোহেলের ৭০ শতাংশ, মুন্নির ২০ শতাংশ, ইসমাইলের ৫৫ শতাংশ ও তাসলিমার ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সবাইকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ বাবুলের চাচা মোগল মিয়া জানান, দগ্ধরা সবাই রূপগঞ্জের হকিরা ফ্যাশনে পোশাক শ্রমিকের কাজ করতো। তারা সবাই একই রুমে বসবাস করত। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় তারা। আমরা ধারণা করছি, লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমে ছিল। পরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয় জনই দগ্ধ হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহতরা কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন তা এই মুহূর্তে সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা যাচ্ছে না। বর্তমানে সবাইকেই বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে নারী ও শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।