Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাফ নদে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ বাংলাদেশি দুই জেলে

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের একজনকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হলেও আরেকজনকে গুরুতর অবস্থায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোহাম্মদ ফারুক। এর মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার দুপুর ১টার দিকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহত জেলেরা হলেন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের উত্তর পাড়ার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল ও দক্ষিণ পাড়ার সিদ্দিক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক।

ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার সাগর থেকে মাছ ধরে কূলে ফেরার সময় মিয়ানমারের একটি জাহাজ থেকে ছোড়া গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হলে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, সেন্টমার্টিনসংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় নাইক্ষ্যংদিয়াসংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমাদের দুজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা নাফ নদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি। ট্রলারে আমার ৯ জন ছিলাম।

টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুমাইয়া নাসনিন জানান, আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অন্যজন ফারুকের তিনটি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলির আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত জেলে মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, গত ৪ দিন আগে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার নিয়ে ৯ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান। রবিবার ফেরার পথে সাগরে মিয়ানমারের অংশ অবস্থান নেওয়া মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ তাদের সংকেত দিয়ে তাদের দিকে যেতে বলেন। ওটা মিয়ানমারের জলসীমা হওয়ায় তারা শাহপরীরদ্বীপের দিকে চলে আসতে থাকে। এ সময় পর পর গুলিবর্ষণ করে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। অন্যরা অক্ষত রয়েছে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

নাফ নদে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ বাংলাদেশি দুই জেলে

প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : 

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের একজনকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হলেও আরেকজনকে গুরুতর অবস্থায় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মাঝেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও মোহাম্মদ ফারুক। এর মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার দুপুর ১টার দিকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহত জেলেরা হলেন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের উত্তর পাড়ার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল ও দক্ষিণ পাড়ার সিদ্দিক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক।

ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার সাগর থেকে মাছ ধরে কূলে ফেরার সময় মিয়ানমারের একটি জাহাজ থেকে ছোড়া গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হলে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, সেন্টমার্টিনসংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় নাইক্ষ্যংদিয়াসংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমাদের দুজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা নাফ নদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি। ট্রলারে আমার ৯ জন ছিলাম।

টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুমাইয়া নাসনিন জানান, আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অন্যজন ফারুকের তিনটি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলির আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত জেলে মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, গত ৪ দিন আগে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার নিয়ে ৯ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যান। রবিবার ফেরার পথে সাগরে মিয়ানমারের অংশ অবস্থান নেওয়া মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ তাদের সংকেত দিয়ে তাদের দিকে যেতে বলেন। ওটা মিয়ানমারের জলসীমা হওয়ায় তারা শাহপরীরদ্বীপের দিকে চলে আসতে থাকে। এ সময় পর পর গুলিবর্ষণ করে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। অন্যরা অক্ষত রয়েছে।