Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : 

নাটোরে যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের করোটা গ্রামের সামসুল হকের ছেলে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর শরিফুল ইসলামের সঙ্গে জয়নাল হাসনা হেনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য হাসনা হেনাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন শরিফুলসহ পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। যৌতুকের জন্য আর কোনো দিন নির্যাতন করবেন না অঙ্গীকার করলে তাদের পুনরায় বিয়ে হয়। সংসার করাকালে হাসনা হেনা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হন। কিন্তু শরিফুল ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন বন্ধ হয় না।

প্রতিবাদ করলে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট রাতে হাসনা হেনাকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যান পরিবারের লোকজন। পর দিন সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরে ঘরের বারান্দায় মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে হাসনা হেনার মা মর্জিনা বেগম। এ ঘটনায় নিহতের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে হাসনা হেনার স্বামীসহ চারজনের নামে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ ছয় বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড দেন। এ সময় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেন বিচারক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

নাটোরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৫:২৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : 

নাটোরে যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের করোটা গ্রামের সামসুল হকের ছেলে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর শরিফুল ইসলামের সঙ্গে জয়নাল হাসনা হেনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য হাসনা হেনাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন শরিফুলসহ পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। যৌতুকের জন্য আর কোনো দিন নির্যাতন করবেন না অঙ্গীকার করলে তাদের পুনরায় বিয়ে হয়। সংসার করাকালে হাসনা হেনা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হন। কিন্তু শরিফুল ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন বন্ধ হয় না।

প্রতিবাদ করলে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট রাতে হাসনা হেনাকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যান পরিবারের লোকজন। পর দিন সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরে ঘরের বারান্দায় মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে হাসনা হেনার মা মর্জিনা বেগম। এ ঘটনায় নিহতের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে হাসনা হেনার স্বামীসহ চারজনের নামে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ ছয় বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড দেন। এ সময় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেন বিচারক।