Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : 

নাটোরের নলডাঙ্গায় যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে (৪৫) শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় স্বামী ওসমান আলীকে (৫২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা জজ) আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

তিনি উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল মৃধার ছেলে। অন্যদিকে নিহত গৃহবধূর নাম রোকেয়া বেগম। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার উত্তর খাজুরিয়া গ্রামের মৃত আদব আলীর মেয়ে এবং ওসমান গনির স্ত্রী।

মামলার সূত্রে জানা যায়, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার ওসমান গনির সঙ্গে বহু বছর আগে বিয়ে হয় একই জেলার সিংড়া উপলোর উত্তর খাজুরিয়া এলাকার রোকেয়া বেগমের। বিয়ের সময় ৫ হাজার টাকা যৌতুক নেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। রোকেয়া বেগমের পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা জানালে ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট দিবাগত রাতে রোকেয়া বেগমের গলায় শাঁড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওসমান।

এ ঘটনায় পরের দিন নিহত রোকেয়া বেগমের বড় ভাই ফেলু বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

কোর্টের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

নাটোরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : 

নাটোরের নলডাঙ্গায় যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে (৪৫) শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় স্বামী ওসমান আলীকে (৫২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা জজ) আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

তিনি উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল মৃধার ছেলে। অন্যদিকে নিহত গৃহবধূর নাম রোকেয়া বেগম। তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার উত্তর খাজুরিয়া গ্রামের মৃত আদব আলীর মেয়ে এবং ওসমান গনির স্ত্রী।

মামলার সূত্রে জানা যায়, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার ওসমান গনির সঙ্গে বহু বছর আগে বিয়ে হয় একই জেলার সিংড়া উপলোর উত্তর খাজুরিয়া এলাকার রোকেয়া বেগমের। বিয়ের সময় ৫ হাজার টাকা যৌতুক নেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আরও ৫০ হাজার টাকার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। রোকেয়া বেগমের পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা জানালে ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট দিবাগত রাতে রোকেয়া বেগমের গলায় শাঁড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওসমান।

এ ঘটনায় পরের দিন নিহত রোকেয়া বেগমের বড় ভাই ফেলু বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

কোর্টের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।