আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পূর্ব আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়িবহরে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের দু’জন দূতাবাসের কর্মী এবং অন্য দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা। অপহরণের শিকার হয়েছেন আরও তিনজন।
বুধবার (১৭ মে) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। নাইজেরিয়ার আনামব্রা রাজ্যের আতানি শহরের কাছে মঙ্গলবার (১৬ মে) এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের গাড়িবহর অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। এতে দূতাবাসের দুই কর্মচারী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এরপর মৃতদেহ ও তাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় বন্দুকধারীরা একজন ড্রাইভার ও অন্য দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অপহরণ করে।
স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ব্যস্ত সড়কের পাশে হামলার ঘটনা ঘটে। অ্যানামব্রা পুলিশের মতে, দেশজুড়ে যেসব বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সহিংসতা চালাচ্ছে তারাই দায়ী।
আনামব্রা প্রদেশের পুলিশ মুখপাত্র ইকেঙ্গা তোচুকউয়ের মতে, অপহৃতদের সন্ধান ও উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ইকেঙ্গা বলেন, হামলাকারীরা পুলিশ মোবাইল ফোর্সের দুই সদস্য ও মার্কিন কনস্যুলেটের দুই কর্মীকে হত্যা করে। পরে তাদের মরদেহ ও যানবাহন আগুনে জ্বালিয়ে দেয়।
এলাকাটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতার জন্য পরিচিত ছিল বলেও জানান তিনি।
দুঃখ প্রকাশ করে ইকেঙ্গা বলেন, পুলিশ বা কোনো নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তা ছাড়াই তারা সেখানে গিয়েছিল। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পৌঁছায়।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি মঙ্গলবার (১৬ মে) হোয়াইট হাউসের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে এই ঘটনাকে হামলা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, এটা দেখে মনে হচ্ছে মার্কিন বহরের গাড়িতে হামলা হয়েছে। সেখানে কোনো মার্কিন নাগরিক ছিল না। তাই কোনো মার্কিন নাগরিক আহত হয়নি। হতাহতের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, এই ঘটনায় ‘তদন্তের জন্য নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবার সাথে কাজ করছে’ তাদের কূটনৈতিক কর্মীরা।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা সর্বদা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা দূতাবাসের বাইরে কোনও সফর আয়োজন করার সময় ব্যাপক সতর্কতা অবলম্বন করি।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ওই এলাকায় ইতোমধ্যে অভিযানে নেমেছে যৌথ বাহিনী। সূত্র: আল জাজিরা।
