Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরেন্দ্র মোদীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ জয়ী হওয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৫ জুন) এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বহন করেন। দৃঢ়প্রত্যয়ী এই বিজয় ভারতের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক, যা দেশের প্রতি আপনার নেতৃত্ব, প্রতিশ্রুতি এবং আত্মোৎসর্গকে মনে করিয়ে দেয়।

বাংলাদেশকে ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনি যখন তৃতীয়বারের মতো সরকারপ্রধানের যাত্রা শুরু করবেন, তখন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশ দুই দেশের জনগণের উন্নতির পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চলের জন্য একসাথে কাজ করে যাবে।’

ভারতের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশ ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বলছে, এবারের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে জয়ী হয়েছে ২৪০টি আসনে। তাতে অবশ্য সরকার গঠনে সমস্যা হবে না দলটির। কারণ, বিজেপির নেতৃত্বধীন ন্যাশানাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ভুক্ত দলগুলো সম্মিলিতভাবে জয়ী হয়েছে মোট ৫৩টি আসনে। ফলে দল এবং জোটের মোট ২৯৩ জন এমপি নিয়ে অনায়াসেই সরকার গঠন করতে পারবে বিজেপি।

তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপির যে ফলাফল ছিল, তার তুলনায় এবারের ফলাফল খানিকটা হতাশাজনক। কারণ, ২০১৪ সালে লোকসভার ২৮২টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলটির ফলাফল ছিল আরও ভালো। সেবার ৩০৩টি আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। অর্থাৎ, গত দু’বার চাইলে একাই সরকার গঠন করতে পারত বিজেপি, জোটের সমর্থনের প্রয়োজন পড়ত না।

কিন্তু এবার জোটের সদস্যদের সমর্থন ব্যতীত সরকার গঠন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না দলটির পক্ষে। এনডিএ জোটের কোনো দল যদি এবার জোট ত্যাগ করে, তাহলে বড় সমস্যায় পড়বে বিজেপি।

 

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

নরেন্দ্র মোদীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

প্রকাশের সময় : ০৯:১১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ জয়ী হওয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৫ জুন) এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বহন করেন। দৃঢ়প্রত্যয়ী এই বিজয় ভারতের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক, যা দেশের প্রতি আপনার নেতৃত্ব, প্রতিশ্রুতি এবং আত্মোৎসর্গকে মনে করিয়ে দেয়।

বাংলাদেশকে ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, আপনি যখন তৃতীয়বারের মতো সরকারপ্রধানের যাত্রা শুরু করবেন, তখন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশ দুই দেশের জনগণের উন্নতির পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চলের জন্য একসাথে কাজ করে যাবে।’

ভারতের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশ ভবিষ্যতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বলছে, এবারের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে জয়ী হয়েছে ২৪০টি আসনে। তাতে অবশ্য সরকার গঠনে সমস্যা হবে না দলটির। কারণ, বিজেপির নেতৃত্বধীন ন্যাশানাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ভুক্ত দলগুলো সম্মিলিতভাবে জয়ী হয়েছে মোট ৫৩টি আসনে। ফলে দল এবং জোটের মোট ২৯৩ জন এমপি নিয়ে অনায়াসেই সরকার গঠন করতে পারবে বিজেপি।

তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপির যে ফলাফল ছিল, তার তুলনায় এবারের ফলাফল খানিকটা হতাশাজনক। কারণ, ২০১৪ সালে লোকসভার ২৮২টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলটির ফলাফল ছিল আরও ভালো। সেবার ৩০৩টি আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। অর্থাৎ, গত দু’বার চাইলে একাই সরকার গঠন করতে পারত বিজেপি, জোটের সমর্থনের প্রয়োজন পড়ত না।

কিন্তু এবার জোটের সদস্যদের সমর্থন ব্যতীত সরকার গঠন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না দলটির পক্ষে। এনডিএ জোটের কোনো দল যদি এবার জোট ত্যাগ করে, তাহলে বড় সমস্যায় পড়বে বিজেপি।