Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পারের অপেক্ষায় ২৫টির বেশি ট্রাক

শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে প্রায় ২০০ যাত্রী ও ২৪টি পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে একটি ফেরি ছেড়ে গেছে। এখনও নরসিংহপুর ফেরিঘাটে ২৫টির বেশি ট্রাক নরসিংহপুর-চাঁদপুরের মেঘনা নদী পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল শনিবার রাত ৮টায় হঠাৎ করে ফেরি বন্ধ হওয়ায় চালক ও যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। যাত্রী ও ট্রাক চালকদের চাপে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে রো রো ফেরি ডা. গোলাম মাওলা রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে গিয়ে আবার সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর ঘাট থেকে ১৮টি গাড়ি ও যাত্রী নিয়ে ফিরে এসেছে। এ সময় ভয় থাকলেও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ট্রাকচালক আসাদ গাজী বলেন, আমরা না জেনে চলে এসেছি। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে চট্টগ্রাম যাব। ট্রাকভর্তি কাঁচামাল। যেতে না পারলে পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। নৌ কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেয় তাহলে যাব নয়তো অপেক্ষা করবো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সকালে যাত্রী ও ট্রাকচালকদের অনুরোধে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একবার ফেরি চলেছে। যদিও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবুও আতঙ্কে ছিলাম। ট্রাকচালক ও যাত্রীরা আবারও চাপ সৃষ্টি করছেন ফেরি চলাচলের জন্য। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ফেরি চলাচল করবে না।

তিনি আরও বলেন, নরসিংহপুর ফেরিঘাটের রুটটি বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৮ ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতাধীন। সবাইকে অনুরোধ করবো নদীপথ এড়িয়ে যাতায়াত করার জন্য।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পারের অপেক্ষায় ২৫টির বেশি ট্রাক

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে প্রায় ২০০ যাত্রী ও ২৪টি পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে একটি ফেরি ছেড়ে গেছে। এখনও নরসিংহপুর ফেরিঘাটে ২৫টির বেশি ট্রাক নরসিংহপুর-চাঁদপুরের মেঘনা নদী পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল শনিবার রাত ৮টায় হঠাৎ করে ফেরি বন্ধ হওয়ায় চালক ও যাত্রীরা বিপাকে পড়েন। যাত্রী ও ট্রাক চালকদের চাপে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে রো রো ফেরি ডা. গোলাম মাওলা রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে গিয়ে আবার সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর ঘাট থেকে ১৮টি গাড়ি ও যাত্রী নিয়ে ফিরে এসেছে। এ সময় ভয় থাকলেও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ট্রাকচালক আসাদ গাজী বলেন, আমরা না জেনে চলে এসেছি। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে চট্টগ্রাম যাব। ট্রাকভর্তি কাঁচামাল। যেতে না পারলে পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। নৌ কর্তৃপক্ষ যদি অনুমতি দেয় তাহলে যাব নয়তো অপেক্ষা করবো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সকালে যাত্রী ও ট্রাকচালকদের অনুরোধে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একবার ফেরি চলেছে। যদিও কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবুও আতঙ্কে ছিলাম। ট্রাকচালক ও যাত্রীরা আবারও চাপ সৃষ্টি করছেন ফেরি চলাচলের জন্য। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ফেরি চলাচল করবে না।

তিনি আরও বলেন, নরসিংহপুর ফেরিঘাটের রুটটি বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৮ ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতাধীন। সবাইকে অনুরোধ করবো নদীপথ এড়িয়ে যাতায়াত করার জন্য।