Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২২০ কোটি মার্কিন ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের শুরু থেকে ধারাবাহিক বাড়ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। সে ধারা অব্যাহত রয়েছে অর্থবছরের পঞ্চম মাস নভেম্বরেও। নভেম্বর মাসে দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।

রোববার (১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হালনাগাদ তথ্য বলছে, নভেম্বর মাসে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের বেশি। গত চার মাস রেমিট্যান্স আসছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আলোচ্য সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোট ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ সময়ে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। নভেম্বরের ১৭ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৭ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ডলার। ১০ থেকে ১৬ নভেম্বর দেশের প্রবাসী আয় এসেছে ৬০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।নভেম্বরের ৩ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এ সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার এবং সবশেষ নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের টানা ৫ মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

এছাড়া গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এর আগে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৩ দিন পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক

নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২২০ কোটি মার্কিন ডলার

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের শুরু থেকে ধারাবাহিক বাড়ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। সে ধারা অব্যাহত রয়েছে অর্থবছরের পঞ্চম মাস নভেম্বরেও। নভেম্বর মাসে দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।

রোববার (১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হালনাগাদ তথ্য বলছে, নভেম্বর মাসে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠিয়েছেন ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের বেশি। গত চার মাস রেমিট্যান্স আসছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

আলোচ্য সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ৪২ লাখ ১০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোট ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ সময়ে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ৬২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। নভেম্বরের ১৭ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৭ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ডলার। ১০ থেকে ১৬ নভেম্বর দেশের প্রবাসী আয় এসেছে ৬০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।নভেম্বরের ৩ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৪ কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

এ সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবরে এসেছে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার এবং সবশেষ নভেম্বরে এসেছে ২২০ কোটি ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের টানা ৫ মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

এছাড়া গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মাস মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এর আগে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার।