Dhaka মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম। এসব বিষয় তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে ‘সেভ ফিউচার বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট’ শীর্ষক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে জরুরিভাবে বিজ্ঞান ভিত্তিক জলবায়ু পদক্ষেপ নিতে হবে, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হবে, জলবায়ু শরণার্থীদের টেকসই পুনর্বাসন করতে হবে, উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে, উপকূল জুড়ে টেকসই ব্লক বাঁধ নির্মাণ এবং বনায়ন তৈরি করতে হবে, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর উন্নয়ন প্রকল্প এবং দেশজুড়ে পরিবেশ দূষণকারী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, দেশের পাহাড়-টিলা, বনাঞ্চল, গাছ-পালা, বন্যপ্রাণী এবং নদী, জলাশয় রক্ষা করতে হবে এবং পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

‘ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসে’র নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আমাদের অবিলম্বে ন্যায্য জ্বালানিতে রূপান্তর অত্যন্ত জরুরি। আমরা যত বেশি অপেক্ষা করব আমাদের পৃথিবী এবং আমাদের ভবিষ্যতের জন্য তত বেশি খরচ বাড়বে, ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে। নবায়ণযোগ্য শক্তির প্রসার এবং ন্যায্য পরিবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি। নতুন জীবাশ্ম জ্বালানিকে আমাদের না বলার এবং পরিচ্ছন্ন শক্তির বিকল্প গ্রহণ করার এখনই উপযুক্ত সময়।

সোহানুর রহমান বলেন, যেভাবে প্রলয়ংকরী বন্যা, তাপ প্রবাহ ও দাবানল বিশ্ব জুড়ে চলছে তা রুখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করতেই হবে। আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বদলে যে সিদ্ধ হওয়ার যুগে প্রবেশ করেছি; সেই আগুনে আর জীবাশ্ম জ্বালানি ঢালা যাবে না।

মানববন্ধনে জলবায়ু বিজ্ঞানী ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সালিমুল হক তরুণদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে এক বার্তায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি স্পষ্ট এবং একটি চলমান সংকট। আমাদের অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করে, ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই নবায়ণযোগ্য শক্তির উৎসগুলোতে দ্রুত রূপান্তর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণরা নির্ভীকভাবে জলবায়ু সুবিচার আদায়ের এই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছে এবং আমি গর্বিতভাবে তাদের সঙ্গে একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সংহতি জানাচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিগুলোকে অর্থপূর্ণ কর্মে পরিণত করে তরুণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত এবং বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের তরুণরা বাস্তব জলবায়ুব্যবস্থা, অবিলম্বে পরিবর্তন এবং সবার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দাবি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়।

ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজামান মজুমদার বলেন, আমাদের নির্মল বায়ুর অধিকার রক্ষা করতে হবে। বিষাক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যাচারের অবসান ঘটাতে হবে। এখনই সময় এগুলো দূর করার। নবায়ণযোগ্য শক্তি সম্প্রসারণ কোনো বিকল্প নয়।

আবহাওয়া

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই

নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির দাবি

প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম। এসব বিষয় তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে ‘সেভ ফিউচার বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট’ শীর্ষক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে জরুরিভাবে বিজ্ঞান ভিত্তিক জলবায়ু পদক্ষেপ নিতে হবে, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হবে, জলবায়ু শরণার্থীদের টেকসই পুনর্বাসন করতে হবে, উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে, উপকূল জুড়ে টেকসই ব্লক বাঁধ নির্মাণ এবং বনায়ন তৈরি করতে হবে, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর উন্নয়ন প্রকল্প এবং দেশজুড়ে পরিবেশ দূষণকারী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, দেশের পাহাড়-টিলা, বনাঞ্চল, গাছ-পালা, বন্যপ্রাণী এবং নদী, জলাশয় রক্ষা করতে হবে এবং পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

‘ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসে’র নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আমাদের অবিলম্বে ন্যায্য জ্বালানিতে রূপান্তর অত্যন্ত জরুরি। আমরা যত বেশি অপেক্ষা করব আমাদের পৃথিবী এবং আমাদের ভবিষ্যতের জন্য তত বেশি খরচ বাড়বে, ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে। নবায়ণযোগ্য শক্তির প্রসার এবং ন্যায্য পরিবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি। নতুন জীবাশ্ম জ্বালানিকে আমাদের না বলার এবং পরিচ্ছন্ন শক্তির বিকল্প গ্রহণ করার এখনই উপযুক্ত সময়।

সোহানুর রহমান বলেন, যেভাবে প্রলয়ংকরী বন্যা, তাপ প্রবাহ ও দাবানল বিশ্ব জুড়ে চলছে তা রুখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করতেই হবে। আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বদলে যে সিদ্ধ হওয়ার যুগে প্রবেশ করেছি; সেই আগুনে আর জীবাশ্ম জ্বালানি ঢালা যাবে না।

মানববন্ধনে জলবায়ু বিজ্ঞানী ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সালিমুল হক তরুণদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে এক বার্তায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি স্পষ্ট এবং একটি চলমান সংকট। আমাদের অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করে, ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই নবায়ণযোগ্য শক্তির উৎসগুলোতে দ্রুত রূপান্তর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তরুণরা নির্ভীকভাবে জলবায়ু সুবিচার আদায়ের এই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছে এবং আমি গর্বিতভাবে তাদের সঙ্গে একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সংহতি জানাচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিগুলোকে অর্থপূর্ণ কর্মে পরিণত করে তরুণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত এবং বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের তরুণরা বাস্তব জলবায়ুব্যবস্থা, অবিলম্বে পরিবর্তন এবং সবার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দাবি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়।

ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজামান মজুমদার বলেন, আমাদের নির্মল বায়ুর অধিকার রক্ষা করতে হবে। বিষাক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যাচারের অবসান ঘটাতে হবে। এখনই সময় এগুলো দূর করার। নবায়ণযোগ্য শক্তি সম্প্রসারণ কোনো বিকল্প নয়।