Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদী থেকে এটিএম শামসুজ্জামানের ছেলের মরদেহ উদ্ধার

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশালের মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদী থেকে প্রয়াত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের ছেলে এটিএম খালেকুজ্জামানের (৪৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে নদীর নাতিরহাট এলাকায় লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে মুলাদী থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

প্রথমে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ হিসেবে উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে ধারণা করা হয় লাশটি এটিএম খালেকুজ্জামানের। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।

২৬ অক্টোবর খালেকুজ্জামানের মা মোবাইলে কল দিলে বিপরীত দিক থেকে লাইনটি কেটে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই খালেকুজ্জামানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, খুলনায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ২৪ অক্টোবর ঢাকার বাসা থেকে তিনি বের হন। ২৬ অক্টোবর খালেকুজ্জামানের মা মোবাইলে কল দিলে বিপরীত দিক থেকে লাইনটি কেটে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই খালেকুজ্জামানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দিলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, এটিএম খালেকুজ্জামান নামে যে ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম এটিএম শামসুজ্জামান লেখা রয়েছে। তারপরও আমরা বলছি না নিশ্চিত করে, যতক্ষণ না তার স্বজনরা এসে স্বচক্ষে দেখে শনাক্ত না করেন।

ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, খালেকুজ্জামানের বয়স ৪৬। তিনি ঢাকার সূত্রাপুর থানার ধীরেন্দ্রনাথ লেন এলাকায় বসবাস করতেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ও থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। বিষয়টি সূত্রাপুর থানায় জানালে তারা মৃতের স্বজনদের জানিয়েছেন। পরিবারের লোকজন এখনও এসে পৌঁছেনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এ টি এম শামসুজ্জামানের ছোটো মেয়ে কোয়েল আহমেদ বলেন, আমরাও খবর পেয়েছি। বরিশাল থেকে যে এনআইডি কার্ডের ছবি পাঠানো হয়েছে তা আমাদের ভাইয়ের। মরদেহটি আমার ভাইয়েরই কিনা তা সনাক্ত করতে আমার দুলাভাই বরিশালে গেছেন। বড় ভাইয়ের সাথে সেই অনাকাঙিক্ষত ঘটনার (হত্যাকাণ্ডের) পর আমাদের সাথে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তবে আম্মার সাথে তার মাঝে কথা হত। গত ২৪ তারিখও সে মাকে খুলনা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

নদী থেকে এটিএম শামসুজ্জামানের ছেলের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশালের মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদী থেকে প্রয়াত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের ছেলে এটিএম খালেকুজ্জামানের (৪৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে নদীর নাতিরহাট এলাকায় লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে মুলাদী থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

প্রথমে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ হিসেবে উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে ধারণা করা হয় লাশটি এটিএম খালেকুজ্জামানের। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান।

২৬ অক্টোবর খালেকুজ্জামানের মা মোবাইলে কল দিলে বিপরীত দিক থেকে লাইনটি কেটে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই খালেকুজ্জামানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, খুলনায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ২৪ অক্টোবর ঢাকার বাসা থেকে তিনি বের হন। ২৬ অক্টোবর খালেকুজ্জামানের মা মোবাইলে কল দিলে বিপরীত দিক থেকে লাইনটি কেটে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই খালেকুজ্জামানের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দিলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, এটিএম খালেকুজ্জামান নামে যে ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম এটিএম শামসুজ্জামান লেখা রয়েছে। তারপরও আমরা বলছি না নিশ্চিত করে, যতক্ষণ না তার স্বজনরা এসে স্বচক্ষে দেখে শনাক্ত না করেন।

ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, খালেকুজ্জামানের বয়স ৪৬। তিনি ঢাকার সূত্রাপুর থানার ধীরেন্দ্রনাথ লেন এলাকায় বসবাস করতেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ও থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। বিষয়টি সূত্রাপুর থানায় জানালে তারা মৃতের স্বজনদের জানিয়েছেন। পরিবারের লোকজন এখনও এসে পৌঁছেনি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে এ টি এম শামসুজ্জামানের ছোটো মেয়ে কোয়েল আহমেদ বলেন, আমরাও খবর পেয়েছি। বরিশাল থেকে যে এনআইডি কার্ডের ছবি পাঠানো হয়েছে তা আমাদের ভাইয়ের। মরদেহটি আমার ভাইয়েরই কিনা তা সনাক্ত করতে আমার দুলাভাই বরিশালে গেছেন। বড় ভাইয়ের সাথে সেই অনাকাঙিক্ষত ঘটনার (হত্যাকাণ্ডের) পর আমাদের সাথে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তবে আম্মার সাথে তার মাঝে কথা হত। গত ২৪ তারিখও সে মাকে খুলনা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল।