Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন সংবিধান ছাড়া নতুন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (১১ মে) রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ আয়োজিত ‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে একমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।

তিনি বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণের মতো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি না হলে অন্যান্য বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করে গণতান্ত্রিক ধারা সচল হবে না। এক ব্যক্তির ইচ্ছামাফিক সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এতো বড় গণঅভ্যুত্থানের পরও সংবিধান সংশোধনের মৌলিক বিষয়ে আমরা একমত হতে পারছি না, এটি দুঃখজনক।

নাহিদ বলেন, ৭৫-পরবর্তী ৭২ এর সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হতে পারতো। কিন্তু তা হয়নি। নতুন সংবিধান তৈরি করতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে শুধু সংবিধান নয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্কারও করতে হবে এবং সংবিধানের মূলনীতি দলীয় মূলনীতির বাইরে বের করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সংগঠক মনে করেন, আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে ঐক্যমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে এনসিপির এ আহ্বায়ক বলেন, বিচার কার্যক্রমের একটি অংশ ইতোমধ্যে এগিয়েছে। এখন প্রয়োজন বিচারিক রোডম্যাপকে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা। এতে জনগণের মধ্যে আস্থা জন্মাবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার তুষার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী আইরিন খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

নতুন সংবিধান ছাড়া নতুন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (১১ মে) রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ ‘নাগরিক কোয়ালিশন’ আয়োজিত ‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে একমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।

তিনি বলেন, ক্ষমতার ভারসাম্য ও বিকেন্দ্রীকরণের মতো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি না হলে অন্যান্য বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করে গণতান্ত্রিক ধারা সচল হবে না। এক ব্যক্তির ইচ্ছামাফিক সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এতো বড় গণঅভ্যুত্থানের পরও সংবিধান সংশোধনের মৌলিক বিষয়ে আমরা একমত হতে পারছি না, এটি দুঃখজনক।

নাহিদ বলেন, ৭৫-পরবর্তী ৭২ এর সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু হতে পারতো। কিন্তু তা হয়নি। নতুন সংবিধান তৈরি করতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে শুধু সংবিধান নয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্কারও করতে হবে এবং সংবিধানের মূলনীতি দলীয় মূলনীতির বাইরে বের করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সংগঠক মনে করেন, আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে ঐক্যমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে এনসিপির এ আহ্বায়ক বলেন, বিচার কার্যক্রমের একটি অংশ ইতোমধ্যে এগিয়েছে। এখন প্রয়োজন বিচারিক রোডম্যাপকে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা। এতে জনগণের মধ্যে আস্থা জন্মাবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার তুষার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী আইরিন খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।