নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে নতুন ভোটার হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। যাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত খসড়া হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, হালনাগাদের আগে ভোটার ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। এ হিসেবে ভোটার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। ভোটার বাড়ার হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময়ের মধ্যে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারবেন। দাবি আপত্তি জানানোর শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি।
ইসি জানায়, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকরা ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করলেই ভোটার হতে পারেন। এজন্য বছরের যেকোনো সময়ই ভোটার হওয়া যায়। তবে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে প্রতি বছরের ২ মার্চ। তার আগে ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে দাবি ও আপত্তি নেয়। সেগুলো নিষ্পত্তির পরই প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত তালিকা। আর এই তালিকার ভিত্তিতেই অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন।
ইসি সূত্র জানায়, চূড়ান্তভাবে আনুমানিক ২৭ থেকে ২৮ লাখ (কম-বেশি হতে পারে) নতুন ভোটার হওয়ার যোগ্য হতে পারেন। যে ১৭ লাখ তথ্য ইসির কাছে আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ ২০২২ সালে সংগ্রহ করা হয়। আর বাকি চার লাখ বিভিন্ন অফিসে এসে নিবন্ধন করেছেন।
যারা বাদ পড়লেন তারাও ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে পারেন এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। এই বাদপড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে। আগামী মার্চের পর থেকে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।