আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পবিত্র কাবা শরিফে নতুন গিলাফ জড়ানো হয়েছে। শনিবার পুরনো গিলাফটি সরিয়ে সম্পূর্ণ নতুন গিলাফে মোড়ানো হয় আল্লাহর ঘর কাবা।
শনিবার (০৬ জুলাই) পুরোনো গিলাফ সরিয়ে কাবার দেওয়াল নতুন গিলাফ পড়ানো হয়েছে। সৌদি প্রেস এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরবি নতুন বছর ১৪৪৬ হিজরির প্রথম প্রহরে পবিত্র কাবার এ গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করতে গত বছর থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে প্রতি বছর ৯ জিলহজ সকালে কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হতো। তবে গত দুইবছর থেকে সেই নিয়মে পরিবর্তন এনে হিজরি নববর্ষের প্রথম দিন কাবার গিলাফ পাল্টানো হচ্ছে।
সৌদি সংবাদ মাধ্যম এসপিএ-র খবরে বলা হয়েছে, কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজ ১৬৯ জন দক্ষ প্রযুক্তিবিদ ও কারিগরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
কাবার পুরনো গিলাফটি সরিয়ে নতুন গিলাফ কাবার উপর পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে।
কিং আব্দুল আজিজ কিসওয়াহ কমপ্লেক্সে পবিত্র কাবার গিলাফ প্রস্তুত করতে ২০০-এর অধিক কর্মচারী কাজ করেন। এই কর্মচারীরা গিলাফ তৈরির বিভিন্ন কাজে অংশ নিয়ে থাকেন।
এ কাজে পৃথিবীর সবথেকে বড় সেলাই মেশিন ব্যবহার করা হয়, যা ১৬ মিটার লম্বা। এটি কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে গিলাফের অন্যান্য কাজও সম্পন্ন করা হয়।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিল্ক দিয়ে তৈরি গিলাফের কালো অংশ সোনার তারে পবিত্র কুরআন শরিফের আয়াত ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই গিলাফের পারিভাষিক নাম ‘কিসওয়াহ’। পুরো বছরজুড়ে বিশাল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুইং মেশিনে খুবই সতর্কতার সঙ্গে কাবার গিলাফটি তৈরি করা হয়।
গিলাফটি মোট ৫৬টি টুকরায় তৈরি করা হয়েছে। আর এগুলো একেকটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৬০ থেকে ১২০ দিন। কাবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজ হাতিম থেকে শুরু হয়। কাবার আবরণ প্রস্তুত করতে ১ হাজার কেজি কাঁচা রেশম ব্যবহার করা হয়, যাতে কমপ্লেক্সের ভেতরে কালো রঙ করা হয়।
কাপড়টি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করতে কমপ্লেক্সের ভেতর অত্যাধুনিক মেশিন রয়েছে। এখানে অন্যান্য মেশিনগুলোতে কুরআনের আয়াত, আয়াত এবং দোয়ার এমব্রয়ডারির কাজ করা হয়। এর আগে বাদশাহ আবদুল আজিজ কিসওয়াহ কমপ্লেক্স থেকে বিশেষ ট্রাক ও যানবাহনে শোভাযাত্রায় করে কাবা শরিফ এসব কাপড় নিয়ে আসা হয়।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

























