Dhaka মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছি, এখন সেই উদারতা প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনের সভাকক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গারা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, তা অনেক কমে গেছে। এ অবস্থায় বোঝা আর কতদিন বইবো?

রাখাইনে মিয়ানমান সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি চলমান যুদ্ধকে মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা আখ্যা দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আরাকান আর্মিদের মিয়ানমারের নিজস্ব বিষয়। এ বিষয়ে তারা কী করবে, এটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য বাংলাদেশে যেন শঙ্কা বা উদ্বেগ তৈরি না হয়, সে বিষয়ে যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে কথা বলব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গেছেন। চীনের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা করছি।

তিনি আরো বলেন, সংঘাত চলাকালে মিয়ানমার থেকে যারা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তারা তাদের লোকজনকে ফেরত নিয়ে যাবেন।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির কোনো মন্তব্য নিয়ে কথা বলার সময় নেই। আন্দোলনের ব্যর্থতা নিয়ে তাদের মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে। বিরোধী দল হিসেবে কিছু একটা বলতে হবে, তাই তারা বলেন।’

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) তো বিরোধী দল, তাদের পেছনে কিছু তো বলতেই হবে। বললে সরকারের খারাপটাই বলতে হবে। কারণ তারা এখন কোনোকিছু ভালো চোখে দেখছে না। তারা হতাশার মধ্যে আছে। এই হতাশা থেকে তারা এসব আবোল-তাবোল বলছে। এগুলোর কোনো বাস্তবতা নেই, এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

মিয়ানমার ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিরোধী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এ নিয়ে তারা বুঝবে। তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তায় যেন কোনো হুমকি না আসে, সে বিষয় নিয়ে সরকার সজাগ আছে। চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানো হবে।’

এছাড়া ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প- সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে কথা হয়েছে। সড়কে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এতো ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সেতু, রাস্তা করেছি। এসব যতই করি যদি রোডের সেফটি না থাকে তাহলে জনগণ এসব উন্নয়নের সুফল পাবে না।’

প্রকল্প বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা যেভাবে বাড়ছে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার মোট ব্যয়ে সরকারি ১ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা ও ঋণ ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় প্রকল্পে ধরা হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৮ সালে শেষ হবে প্রকল্পের মেয়াদ।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, কল সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, পেট্রোল মোটরসাইকেল, ইন্ট্রিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজম্যান্ট, রেস্কিউ টিম, বিআরটিএ। বাংলাদেশ পুলিশ। তারা প্রকল্পের সহযোগিতায় থাকবে।’

নিরাপত্তা প্রকল্পে কী ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা আছে। তারা পুলিশ সেন্টার করবে। অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল সাভিস করা হবে। ইমারজেন্সি রেসকিউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ব্যক্তিগত ক্ষোভের কথাও জানান। বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। সড়ক দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাচ্ছে না।’ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পকে অগ্রাধিকার প্রকল্প উল্লেখ করে এখন থেকে নিজেই তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং করবেন বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী। প্রকল্পের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কেউ দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

উড়োজাহাজ সংকটে কুয়েত ও দুবাইগামী দুই ফ্লাইট বাতিল

নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৪:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছি, এখন সেই উদারতা প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনের সভাকক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গারা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, তা অনেক কমে গেছে। এ অবস্থায় বোঝা আর কতদিন বইবো?

রাখাইনে মিয়ানমান সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি চলমান যুদ্ধকে মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা আখ্যা দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আরাকান আর্মিদের মিয়ানমারের নিজস্ব বিষয়। এ বিষয়ে তারা কী করবে, এটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য বাংলাদেশে যেন শঙ্কা বা উদ্বেগ তৈরি না হয়, সে বিষয়ে যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে কথা বলব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গেছেন। চীনের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা করছি।

তিনি আরো বলেন, সংঘাত চলাকালে মিয়ানমার থেকে যারা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তারা তাদের লোকজনকে ফেরত নিয়ে যাবেন।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির কোনো মন্তব্য নিয়ে কথা বলার সময় নেই। আন্দোলনের ব্যর্থতা নিয়ে তাদের মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে। বিরোধী দল হিসেবে কিছু একটা বলতে হবে, তাই তারা বলেন।’

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) তো বিরোধী দল, তাদের পেছনে কিছু তো বলতেই হবে। বললে সরকারের খারাপটাই বলতে হবে। কারণ তারা এখন কোনোকিছু ভালো চোখে দেখছে না। তারা হতাশার মধ্যে আছে। এই হতাশা থেকে তারা এসব আবোল-তাবোল বলছে। এগুলোর কোনো বাস্তবতা নেই, এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

মিয়ানমার ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিরোধী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এ নিয়ে তারা বুঝবে। তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তায় যেন কোনো হুমকি না আসে, সে বিষয় নিয়ে সরকার সজাগ আছে। চীনসহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানো হবে।’

এছাড়া ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প- সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে কথা হয়েছে। সড়কে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এতো ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সেতু, রাস্তা করেছি। এসব যতই করি যদি রোডের সেফটি না থাকে তাহলে জনগণ এসব উন্নয়নের সুফল পাবে না।’

প্রকল্প বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা যেভাবে বাড়ছে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার মোট ব্যয়ে সরকারি ১ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা ও ঋণ ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় প্রকল্পে ধরা হয়েছে। ৩০ জুন ২০২৮ সালে শেষ হবে প্রকল্পের মেয়াদ।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, কল সেন্টার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, পেট্রোল মোটরসাইকেল, ইন্ট্রিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজম্যান্ট, রেস্কিউ টিম, বিআরটিএ। বাংলাদেশ পুলিশ। তারা প্রকল্পের সহযোগিতায় থাকবে।’

নিরাপত্তা প্রকল্পে কী ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা আছে। তারা পুলিশ সেন্টার করবে। অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল সাভিস করা হবে। ইমারজেন্সি রেসকিউ অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ব্যক্তিগত ক্ষোভের কথাও জানান। বলেন, ‘প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। সড়ক দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাচ্ছে না।’ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পকে অগ্রাধিকার প্রকল্প উল্লেখ করে এখন থেকে নিজেই তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং করবেন বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী। প্রকল্পের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কেউ দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।