Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধোঁকাবাজির নির্বাচন হতে দেয়া হবে না : চরমোনাই পীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দলীয় সরকারের অধীনে দেশে ধোঁকাবাজির নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চরমোনাই পীর বলেন, সরকারি দল ছাড়া সকল বিরোধী দল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষমতার যে কথা বলছে তা অবাস্তব।

তিনি বলেন, যারা আজকে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে তাদের নামে আপনারা যেই মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়েছেন তাদের এই মিথ্যা মামলা উঠিয়ে তাদের মুক্তি দিন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারি দল ছাড়া সকল বিরোধী দল অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়।

চরমোনাই বলেন, প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা আমাদের ভাই। আপনারা দায়িত্ব পালনে কিছুটা নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছেন। হাতে হাতুড়ি নিয়ে যে আচরণ করেছেন তাতে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, স্বাধীনতার মূলনীতি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এর একটিও বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দেশবাসী দেখেনি।

তিনি বলেন, দেশের আবহাওয়া বর্তমানে দূষিত হয়ে গেছে। এই দূষিত আবহাওয়া আমাদের পরিচ্ছন্ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার বাবা, মা, ভাই হারানোর বিষয়ে কান্না করেন, কিন্তু হাফেজ রেজাউল করীমের বিষয়ে তার পদক্ষেপ কী? দেশবাসী তা জানতে চায়।

চরমোনাই পীর অভিযোগ করে বলেন, আদালতে একই অভিযোগে মামলা দায়ের হলে দেখা যায়, যারা ক্ষমতায় থাকে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পায়, আর যারা বিরোধীদলে থাকে তারা বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পায়।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এলে প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের কথা স্মরণ করে মায়া কান্না করে, কিন্তু তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন বহু মায়ের কোল খালি করেছেন, স্ত্রী তার স্বামী হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মায়াকান্না ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের সমালোচনা করতে আমাদের কষ্ট হয়। তবে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে সব দলগুলো আজ একসঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন যে এই সরকারকে আর কেউই চায় না। সবাই এই সরকারের পরিবর্তন চায়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

ধোঁকাবাজির নির্বাচন হতে দেয়া হবে না : চরমোনাই পীর

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দলীয় সরকারের অধীনে দেশে ধোঁকাবাজির নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

চরমোনাই পীর বলেন, সরকারি দল ছাড়া সকল বিরোধী দল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষমতার যে কথা বলছে তা অবাস্তব।

তিনি বলেন, যারা আজকে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে তাদের নামে আপনারা যেই মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়েছেন তাদের এই মিথ্যা মামলা উঠিয়ে তাদের মুক্তি দিন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারি দল ছাড়া সকল বিরোধী দল অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়।

চরমোনাই বলেন, প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা আমাদের ভাই। আপনারা দায়িত্ব পালনে কিছুটা নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছেন। হাতে হাতুড়ি নিয়ে যে আচরণ করেছেন তাতে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, স্বাধীনতার মূলনীতি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এর একটিও বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দেশবাসী দেখেনি।

তিনি বলেন, দেশের আবহাওয়া বর্তমানে দূষিত হয়ে গেছে। এই দূষিত আবহাওয়া আমাদের পরিচ্ছন্ন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার বাবা, মা, ভাই হারানোর বিষয়ে কান্না করেন, কিন্তু হাফেজ রেজাউল করীমের বিষয়ে তার পদক্ষেপ কী? দেশবাসী তা জানতে চায়।

চরমোনাই পীর অভিযোগ করে বলেন, আদালতে একই অভিযোগে মামলা দায়ের হলে দেখা যায়, যারা ক্ষমতায় থাকে তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পায়, আর যারা বিরোধীদলে থাকে তারা বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পায়।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এলে প্রধানমন্ত্রী তার পরিবারের কথা স্মরণ করে মায়া কান্না করে, কিন্তু তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন বহু মায়ের কোল খালি করেছেন, স্ত্রী তার স্বামী হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মায়াকান্না ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের সমালোচনা করতে আমাদের কষ্ট হয়। তবে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছেন তাদের বাদ দিয়ে সব দলগুলো আজ একসঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন যে এই সরকারকে আর কেউই চায় না। সবাই এই সরকারের পরিবর্তন চায়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।