Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধৈর্য্য ধরেন, আওয়ামী লীগ পালাবে না : কাদের

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তা নদীর পানিরও ভাগ পাওয়া যাবে। তিস্তার পানি পাবেন। যার নেতৃত্বে গঙ্গার পানি পেয়েছেন, তার নেতৃত্বেই তিস্তার পানিও পাবেন। ধৈর্য ধরেন। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে না। আমাদের শিকড় মাটির গভীরে।

বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতা মানে বাংলাদেশের জনতার ক্ষমতা। আমরা (আওয়ামী লীগ) পালাব না। পালিয়েছে বিএনপির নেতা। কবে আসবে কেউ জানে না। এলে তো জেলে থাকতে হবে। রাজপথে খেলা হবে। রাজপথেই ফয়সালা হবে। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে অর্জন শেখ হাসিনা। আর গত ১৫ বছরে এই জাতি যা অর্জন করেছে, তার সবই শেখ হাসিনা দিয়েছেন। এই অর্জনকে কোনোভাবেই নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। সারা বিশ্বের জন্য তিনি একমাত্র আমাদের বড় অর্জন।

তিনি  বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা কে? তারেক রহমান? ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশ চলে গেছে। আজকে আবার আরেকটি মামলার রায় হয়েছে। তাদের আরেক নেতা খালেদা জিয়া। তার নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। এতিমের টাকা দুর্নীতি করেছেন। তাদের নেতাও শেষ, দেশনেত্রীও শেষ। আমাদের নির্বাচনের নেতা শেখ হাসিনা। আমাদের আন্দোলনের নেতাও শেখ হাসিনা। ১৫ বছরে যিনি আমাদের অর্জন এনে দিয়েছেন। সে অর্জনের নাম শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান ইলেকশন করতে পারবে? ৩০ বছরের অর্থ পাচারের অপরাধে মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে গেছেন। আজকে আবার কত বছরের সাজা হবে জানি না। তার মা খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার যোগ্যতা কি আছে? তিনি এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে আজ সাজাভোগ করছেন। তিনিও নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজপথে সাহস থাকে তো আসেন। রাজপথে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে। ফয়সালা হবে। আমরা রাজপথে আছি আবার নির্বাচনেও আছি। যারা রাজপথে হেরে গেছে তারা নির্বাচনেও হেরে যাবে। একটা খবর আছে। ওই যে বলছিলাম রায় আছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সম্পদ চুরির মামলার। তারেকের দুই মামলায় ৯ বছর আর তার স্ত্রীর তিন বছর সাজা হয়েছে।’

বিএনপির এক দফা কর্মসূচিকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা শুরু করে শেষ করতে পারব না। খেলা হবে মজাদার খেলা। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। প্রস্তুত আছেন? পারবেন না। বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে গেছে। বিএনপি আর পারবে না। খাদে পড়া দলের দাবি বাস্তবায়ন হবে না। তাদের হাঁটু ভেঙে গেছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, প্রেডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাজাহান খান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দিল্লিতে অবতরণের পরই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আগুন

ধৈর্য্য ধরেন, আওয়ামী লীগ পালাবে না : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তা নদীর পানিরও ভাগ পাওয়া যাবে। তিস্তার পানি পাবেন। যার নেতৃত্বে গঙ্গার পানি পেয়েছেন, তার নেতৃত্বেই তিস্তার পানিও পাবেন। ধৈর্য ধরেন। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে না। আমাদের শিকড় মাটির গভীরে।

বুধবার (২ আগস্ট) রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতা মানে বাংলাদেশের জনতার ক্ষমতা। আমরা (আওয়ামী লীগ) পালাব না। পালিয়েছে বিএনপির নেতা। কবে আসবে কেউ জানে না। এলে তো জেলে থাকতে হবে। রাজপথে খেলা হবে। রাজপথেই ফয়সালা হবে। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে অর্জন শেখ হাসিনা। আর গত ১৫ বছরে এই জাতি যা অর্জন করেছে, তার সবই শেখ হাসিনা দিয়েছেন। এই অর্জনকে কোনোভাবেই নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। সারা বিশ্বের জন্য তিনি একমাত্র আমাদের বড় অর্জন।

তিনি  বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা কে? তারেক রহমান? ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশ চলে গেছে। আজকে আবার আরেকটি মামলার রায় হয়েছে। তাদের আরেক নেতা খালেদা জিয়া। তার নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। এতিমের টাকা দুর্নীতি করেছেন। তাদের নেতাও শেষ, দেশনেত্রীও শেষ। আমাদের নির্বাচনের নেতা শেখ হাসিনা। আমাদের আন্দোলনের নেতাও শেখ হাসিনা। ১৫ বছরে যিনি আমাদের অর্জন এনে দিয়েছেন। সে অর্জনের নাম শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান ইলেকশন করতে পারবে? ৩০ বছরের অর্থ পাচারের অপরাধে মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে গেছেন। আজকে আবার কত বছরের সাজা হবে জানি না। তার মা খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার যোগ্যতা কি আছে? তিনি এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে আজ সাজাভোগ করছেন। তিনিও নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজপথে সাহস থাকে তো আসেন। রাজপথে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে। ফয়সালা হবে। আমরা রাজপথে আছি আবার নির্বাচনেও আছি। যারা রাজপথে হেরে গেছে তারা নির্বাচনেও হেরে যাবে। একটা খবর আছে। ওই যে বলছিলাম রায় আছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের সম্পদ চুরির মামলার। তারেকের দুই মামলায় ৯ বছর আর তার স্ত্রীর তিন বছর সাজা হয়েছে।’

বিএনপির এক দফা কর্মসূচিকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা শুরু করে শেষ করতে পারব না। খেলা হবে মজাদার খেলা। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা। প্রস্তুত আছেন? পারবেন না। বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে গেছে। বিএনপি আর পারবে না। খাদে পড়া দলের দাবি বাস্তবায়ন হবে না। তাদের হাঁটু ভেঙে গেছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, প্রেডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাজাহান খান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।