নিজস্ব প্রতিবেদক :
বগুড়ার ধুনট এবং সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সংযোগ সড়কের পাঁচগাছি গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। দেড় যুগ আগে নির্মিত একটি সেতু সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে পণ্য পরিবহন ও চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকি নিয়ে লোকজনকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি আগামী অর্থবছরের আগে দুর্ভোগ লাঘবের কোন সম্ভাবনা নেই। তাই এই ব্রিজের গর্তে পড়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন ধুনট ও কাজিপুর উপজেলার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ এবং পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে আসছিল। কিন্তু ব্রিজটির পাটাতন ভেঙ্গে যাওয়ায় সব চাইতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় কৃষকেরা। জমিতে কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়া এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
সোনামুখী হাটে আগত ধুনটের কৃষিপণ্য ব্যবসায়ী মুকুল ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ভাঙা সেতুর কারণে ১০ কিলোমিটার রাস্তা অতিরিক্ত ঘুরতে হয়েছে।
পাঁচগাছী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোহেল রানা বলেন, এই সেতুর ওপর দিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারুল ও আখি খাতুন জানায়, এ পথ দিয়েই তাদের প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। তাই দ্রুত এই ব্রিজটি সংস্কারের দাবি জানায় তারা।
সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী খান জানান, সেতুটির পাটাতন ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এলাকাবাসী চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার জানানো সত্ত্বেও সেতুটি সংস্কারের কাজ শুরু করছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে (এলজিইডি) জরুরি কোনো বরাদ্দ থাকে না। আগামী অর্থবছরের আগে মেরামত বা রিপ্লেসমেন্ট সম্ভব না। তবে উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ জাকির হোসেন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।