Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধান চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধান চুরির মামলায় চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসীমসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আমলি অঞ্চল আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন।

মামলার বাদী জামেনারা আক্তার। তিনি কমলনগরের তোরাবগঞ্জ এলাকার ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সম্পর্কে বাদীর চাচা।বাদীপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওই ইউপি চেয়ারম্যান ধান চুরির মামলায় কারাগারে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আদনান আমিন (৩০), ফরহাদ হোসেন (৪৫), ইফতেখার হোসেন শাওন (২৮), নুরুল আমিন (৫৫), অজি উল্যাহ (৪৫), খোরশেদ আলম (৪০), নোমান পাটওয়ারী (৩২) ও সফিউল্যা(৪৫)। বাদী ও আসামিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়। তাদের বাড়ি রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রাম ও কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স গ্রামে।

বাদী লিনা দাবি করেন, আসামিরা তার জমি থেকে রাতের অন্ধকারে ধান কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।

বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বাদীর জমির ২৫০ মণ ধান চুরি করে নিয়ে যায়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর চার একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। ধানের বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর ও হয়রানি করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। চলতি বছর ১৫ মার্চ কমলনগর থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার আদালতে মামলা শুনানির পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল। এতে বাদী ও আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আসামিরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

ধান চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জন কারাগারে

প্রকাশের সময় : ০৮:২০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধান চুরির মামলায় চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসীমসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আমলি অঞ্চল আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন।

মামলার বাদী জামেনারা আক্তার। তিনি কমলনগরের তোরাবগঞ্জ এলাকার ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন সম্পর্কে বাদীর চাচা।বাদীপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওই ইউপি চেয়ারম্যান ধান চুরির মামলায় কারাগারে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আদনান আমিন (৩০), ফরহাদ হোসেন (৪৫), ইফতেখার হোসেন শাওন (২৮), নুরুল আমিন (৫৫), অজি উল্যাহ (৪৫), খোরশেদ আলম (৪০), নোমান পাটওয়ারী (৩২) ও সফিউল্যা(৪৫)। বাদী ও আসামিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়। তাদের বাড়ি রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রাম ও কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স গ্রামে।

বাদী লিনা দাবি করেন, আসামিরা তার জমি থেকে রাতের অন্ধকারে ধান কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।

বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারা তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বাদীর জমির ২৫০ মণ ধান চুরি করে নিয়ে যায়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর চার একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। ধানের বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর ও হয়রানি করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। চলতি বছর ১৫ মার্চ কমলনগর থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার আদালতে মামলা শুনানির পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল। এতে বাদী ও আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আসামিরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।