Dhaka বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধানের শীষকে জেতাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নাই : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ধানের শীষকে জেতাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নাই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে জনগণের যে পরিকল্পনা, জনগণের পক্ষের যে পরিকল্পনা সেটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নাই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ এবং সবার আগে বাংলাদেশ। ‘নো কমপ্রোমাইজ’।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে জনগণের যে পরিকল্পনা আছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আপনাদের নির্বাচনী এলাকা, গ্রামে, পৌরসভার ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে বিএনপির রাষ্ট্র পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে। আগামীর নির্বাচনে আমরা জনগণের রায় ও সমর্থন চাই।

তিনি বলেন, পত্রিকার পাতা খুললে দেখি শুধু ডিবেট আর ডিবেট, এর এটা ভালো না, ওর ওটা ভালো না এসব চলছে। আসুন, আমরা এই সমালোচনা থেকে বের হয়ে আসি। আমরা রাজনীতিবিদরা যাদের সাধারণ মানুষ বলে গণ্য করে, তারা এসব ডিবেট শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে। আমার ধারণা মানুষ এখন স্পষ্ট ও ক্লিয়ার রাস্তা দেখতে চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধে নামতে হবে। ঘর থেকে বের হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। আমরা যদি যুদ্ধে নামতে না পারি, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষের জন্য যুদ্ধে নামতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলই আগামীর বাংলাদেশ পরিচালনার পরিকল্পনা দেয়নি, একমাত্র বিএনপিই তা দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে জেতাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল—আমি চাই না, আমরা কেউ চাই না, আর কারও জীবনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক।

‘মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার জন্মগত। সবাইকে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়া হবে’- বলেন তিনি।

নারী, কৃষি ও শিক্ষা পরিকল্পনা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, নারী সমাজকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করতে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের নারী সমাজকে সাবলম্বী করতে চাই। এতে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভীত তৈরি হবে। কৃষি রপ্তানি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানান তিনি।

শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় একটি ভাষায়ও দক্ষ হতে পারে—এমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।

ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টে খরচ করবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার পেছনে টাকা খরচ করবো, জনবল তৈরির পেছনে। আমরা কোনো মেগা প্রজেক্টে যাবো না, এতে দুর্নীতি হয়। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে কোনো দেশে কি ধরনের কাজের ব্যবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, কি তাদের রিকয়ারমেন্ট, সেভাবে আমাদের ভোকেশনাল এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সাজাবো।

তিনি বলেন, আমরা টাকা খরচ করবো শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। যাদের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই হবে নারী।

দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখনই কাজ শুরু করতে পারলে আগামী ১০ বছর পর দেশ সুফল পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

খেলাধুলা ও নগর পরিকল্পনা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-ক্রীড়া—এই তিন মন্ত্রণালয় সারাবছর একসঙ্গে কাজ করবে। দম বন্ধ করা শহরে খেলার মাঠ নেই। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে বাজার দরে জায়গা কিনে আমরা খেলার মাঠ তৈরি করে দেবো।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে স্মরণ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পুরো সময়টায় শুধু রাজনৈতিক কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষের মানবাধিকারও লঙ্ঘিত হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী নির্যাতন, হত্যা, গুমের শিকার হয়েছেন। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না বিএনপি।

তিনি বলেন, বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষকে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। অন্য দল ও ব্যক্তির রাজনৈতিক আদর্শ উপস্থাপনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

অন্য কোনো রাজনৈতিক দল আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একমাত্র বিএনপিই এই পরিকল্পনা দিয়েছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন খালেদা জিয়া

ধানের শীষকে জেতাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নাই : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৮:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ধানের শীষকে জেতাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নাই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে জনগণের যে পরিকল্পনা, জনগণের পক্ষের যে পরিকল্পনা সেটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নাই। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ এবং সবার আগে বাংলাদেশ। ‘নো কমপ্রোমাইজ’।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে জনগণের যে পরিকল্পনা আছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আপনাদের নির্বাচনী এলাকা, গ্রামে, পৌরসভার ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে বিএনপির রাষ্ট্র পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে। আগামীর নির্বাচনে আমরা জনগণের রায় ও সমর্থন চাই।

তিনি বলেন, পত্রিকার পাতা খুললে দেখি শুধু ডিবেট আর ডিবেট, এর এটা ভালো না, ওর ওটা ভালো না এসব চলছে। আসুন, আমরা এই সমালোচনা থেকে বের হয়ে আসি। আমরা রাজনীতিবিদরা যাদের সাধারণ মানুষ বলে গণ্য করে, তারা এসব ডিবেট শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে। আমার ধারণা মানুষ এখন স্পষ্ট ও ক্লিয়ার রাস্তা দেখতে চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধে নামতে হবে। ঘর থেকে বের হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। আমরা যদি যুদ্ধে নামতে না পারি, দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষের জন্য যুদ্ধে নামতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলই আগামীর বাংলাদেশ পরিচালনার পরিকল্পনা দেয়নি, একমাত্র বিএনপিই তা দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে জেতাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল—আমি চাই না, আমরা কেউ চাই না, আর কারও জীবনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক।

‘মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার জন্মগত। সবাইকে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়া হবে’- বলেন তিনি।

নারী, কৃষি ও শিক্ষা পরিকল্পনা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, নারী সমাজকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করতে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের নারী সমাজকে সাবলম্বী করতে চাই। এতে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভীত তৈরি হবে। কৃষি রপ্তানি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানান তিনি।

শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় একটি ভাষায়ও দক্ষ হতে পারে—এমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।

ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টে খরচ করবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার পেছনে টাকা খরচ করবো, জনবল তৈরির পেছনে। আমরা কোনো মেগা প্রজেক্টে যাবো না, এতে দুর্নীতি হয়। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে কোনো দেশে কি ধরনের কাজের ব্যবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, কি তাদের রিকয়ারমেন্ট, সেভাবে আমাদের ভোকেশনাল এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সাজাবো।

তিনি বলেন, আমরা টাকা খরচ করবো শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। যাদের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই হবে নারী।

দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখনই কাজ শুরু করতে পারলে আগামী ১০ বছর পর দেশ সুফল পাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

খেলাধুলা ও নগর পরিকল্পনা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-ক্রীড়া—এই তিন মন্ত্রণালয় সারাবছর একসঙ্গে কাজ করবে। দম বন্ধ করা শহরে খেলার মাঠ নেই। প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে বাজার দরে জায়গা কিনে আমরা খেলার মাঠ তৈরি করে দেবো।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে স্মরণ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পুরো সময়টায় শুধু রাজনৈতিক কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষের মানবাধিকারও লঙ্ঘিত হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী নির্যাতন, হত্যা, গুমের শিকার হয়েছেন। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না বিএনপি।

তিনি বলেন, বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষকে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। অন্য দল ও ব্যক্তির রাজনৈতিক আদর্শ উপস্থাপনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

অন্য কোনো রাজনৈতিক দল আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একমাত্র বিএনপিই এই পরিকল্পনা দিয়েছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।