নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ইসলাম ধর্মকে বিকৃত করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না। তাই দেশকে আর বিভ্রান্তের দিকে ঠেলে না দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে ভোটের মাঠে আসতে হবে জামায়াতকে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দল আয়োজিত ‘কোরআন-হাদীসের অপব্যাখা ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতকে বন্ধু হিসেবে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকুন, রাজনীতিবিদদের বেহেশতের কথা না বলাই ভালো। রাজনৈতিক বিভেদ সৃষ্টি না করাই ভালো। কর্মসূচি নিয়ে মাঠে যান, সাহস থাকলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে বাতিলের দাবি জামায়াতের টালাবাহানা।
জামায়াতকে বন্ধু হিসেবে থাকার আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকুন। রাজনীতিবিদদের বেহেশতের কথা না বলাই ভালো।
জামায়াতের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমরা ১৬ বছর এই মাটিতে, এই রাস্তায় থেকে যুদ্ধ করেছি। আমরা হাসিনার সব অত্যাচার সহ্য করেছি। ১৬ বছরের সাড়ে ১০ বছর জেলে ছিলাম। তাই দয়া করে আমাদের ২০০১ সালের বন্ধুরা দেশকে আর বিভ্রান্তির দিকে নেবেন না।
বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, বেহেশতে নিয়ে যাবে বলে ভোট নেওয়া এত সহজ নয়। শেখ মুজিবও ভোট চুরি করেছেন। শেখ মুজিবের মেয়ে শেখ মুজিবকেই কপি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন। তাই আর হিংসা নয়, বিদ্বেষ নয়—আসুন আমরা সবাই ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের চেতনা স্মরণ করে ভাই ভাই মিলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিই।
ড. ইউনূসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি পৃথিবীর মধ্যে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ডান বামে না তাকিয়ে আপনার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারীর প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন কারণ এই নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
হাজারো ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, এমন প্রতিবেশী দেশ ও বন্ধু চান না বলে মন্তব্য করে বিএনপি এই নেতা বলেন, যেই প্রতিবেশী হাসপাতাল থাকা এরশাদকে বিনা দস্তখতে এমপি করতে পারে এমন বন্ধু চাই না। যে বন্ধু হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা জুলাই-আগস্টের এই বিপ্লবে হাজারো ছাত্র-জনতাকে আহত করে, হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া, সেই হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, এমন প্রতিবেশী দেশ, বন্ধু আমরা চাই না।
তিনি বলেন, পদ্মায় পানি থাকবে না, তিস্তায় পানি পাবো না, ফেলানির লাশ কাটাতারে থাকবে, প্রতিদিন তোমার লোককে পুশ করে ঢুকিয়ে দিবা, আর আমি তোমাকে বন্ধু বলবো? সেই বন্ধু আমার দরকার নেই। যদি সৎ সাহস থাকে, যদি বন্ধু হতে চাও, যদি বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসতে চাও, যদি বাংলাদেশে গণতন্ত্র চাও, দেরি আর করো না; হাসিনাকে ঠেলে পাঠিয়ে দাও।
ফেব্রুয়ারিতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী আত্মত্যাগ করেছে। অতএব টালবাহানা আমরা বুঝি। রাজনৈতিক চালও আমরা বুঝি। বয়স তো কম হয়নি। যুদ্ধ তো ৭১ সাল থেকেই শুরু করেছি। তাই আজকে অনুরোধ জানাবো বাংলাদেশ সরকারকে, সোজা পথে চলে আসছেন, এখনো চলেন। ডানে-বামে কোনো জায়গায় যাওয়া যাবে না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে নির্বাচন দিতেই হবে।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মাওলানা মুফতি মো. আলমগীর হোসাইন খলিলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা মো. আবুল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক হাফেজ জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























