Dhaka শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় বিয়ে করতে লাগবে সরকারের অনুমতি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের আসাম সরকারের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এখন থেকে রাজ্য সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার আসাম সরকার এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে।

রাজ্য সরকারের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং সিনিয়র আইএএস অফিসার নীরজ ভার্মা এই আদেশ জারি করেছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী সরকার কর্তৃক প্রণীত এ বিধি অমান্য করে পুনরায় বিয়ে করলে তাকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখিও হতে হতে পারে।

শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে দোষী কর্মচারীর ক্ষেত্রেও অবসরের নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে বলে আদেশে বলা হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মচারী, যার স্ত্রী জীবিত আছেন, তিনি সরকারের অনুমতি ছাড়া পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না।

সেই সঙ্গেই নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে , কোনো নারী কর্মী এমন কাউকে বিয়ে করবেন না যার অপর একজন স্ত্রী রয়েছে ও যিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি।

প্রসঙ্গত, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন। একইসঙ্গে বহুবিবাহ রোধেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

আসাম বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, বিয়ের আইনগত বিধান সবার জন্য। এই নিয়ম শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্য হতে পারে না। যদি হিন্দুদের মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে নিষিদ্ধ হয়, তবে এর অর্থ এটি সমস্ত হিন্দুদের জন্য। একই সঙ্গে উপজাতিদের মধ্যে বিয়ের জন্য প্রচলিত আইন থাকলে তা অনুসরণ করা হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার যদি এমন পদক্ষেপ নেয়, তাহলে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

আবহাওয়া

রাজশাহীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিন যুবক নিহত

দ্বিতীয় বিয়ে করতে লাগবে সরকারের অনুমতি!

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের আসাম সরকারের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এখন থেকে রাজ্য সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার আসাম সরকার এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে।

রাজ্য সরকারের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং সিনিয়র আইএএস অফিসার নীরজ ভার্মা এই আদেশ জারি করেছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, কোনো কর্মচারী সরকার কর্তৃক প্রণীত এ বিধি অমান্য করে পুনরায় বিয়ে করলে তাকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তকে বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখিও হতে হতে পারে।

শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে দোষী কর্মচারীর ক্ষেত্রেও অবসরের নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে বলে আদেশে বলা হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মচারী, যার স্ত্রী জীবিত আছেন, তিনি সরকারের অনুমতি ছাড়া পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না।

সেই সঙ্গেই নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে , কোনো নারী কর্মী এমন কাউকে বিয়ে করবেন না যার অপর একজন স্ত্রী রয়েছে ও যিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি।

প্রসঙ্গত, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন। একইসঙ্গে বহুবিবাহ রোধেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

আসাম বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, বিয়ের আইনগত বিধান সবার জন্য। এই নিয়ম শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্য হতে পারে না। যদি হিন্দুদের মধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে নিষিদ্ধ হয়, তবে এর অর্থ এটি সমস্ত হিন্দুদের জন্য। একই সঙ্গে উপজাতিদের মধ্যে বিয়ের জন্য প্রচলিত আইন থাকলে তা অনুসরণ করা হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার যদি এমন পদক্ষেপ নেয়, তাহলে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।