রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের সুযোগ-সুবিধার দাবিতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। কেউ ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন, আবার কাউকে দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এসব জেলা থেকে কোনো বাস ছাড়েনি বা প্রবেশ করেনি। এতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন দূরবর্তী গন্তব্যের যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
মালিকপক্ষ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে তারা দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও তারা আবারও নতুন দাবি তুলেছেন।
শ্রমিকরা যত্রতত্র যাত্রী তোলার সুযোগ ও অতিরিক্ত খোরাকি ভাতার দাবি জানালে মালিকপক্ষ প্রতিবাদস্বরূপ বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। একতা ট্রান্সপোর্ট ও লোকাল বাস ছাড়া অন্যান্য সব দূরপাল্লার পরিবহন এখনো বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান রতন বলেন, চলতি মাসেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকেরা দুই দফা বাস বন্ধ করেছিলেন। গত মঙ্গলবার ঢাকায় বৈঠক করে সমঝোতার পর বাস চালু হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে শ্রমিকরা অযৌক্তিক দাবি তুলেছে।
শ্রমিকদের দাবির মধ্যে রয়েছে- যাত্রাবিরতির খাবারের হোটেল বিল কোম্পানিকে দিতে হবে, ডিউটি ২৪ ঘণ্টা হলে খোরাকি দিতে হবে, এসি কোটের ২০টি টিকিট বিক্রি হলে একটি ও ফুল হলে দুইটি দিতে হবে, অতিরিক্ত যাত্রী উঠালে ইউনিয়নকে জানিয়ে এক হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে এবং রাজশাহীর ট্রিপ হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেতন দিতে হবে।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, রাজশাহী থেকে ঢাকায় প্রতি ট্রিপে একজন চালক ১ হাজার ৭৫০ টাকা, সুপারভাইজার ৭৫০ ও সহকারী ৭০০ টাকা পাবেন। শুক্রবার থেকে তা বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ বৃহস্পতিবার রাতেই বাস বন্ধ করে দিয়েছে।
চালক-সুপারভাইজার ও সহকারীদের নতুন দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, এগুলো আগে থেকেই আছে। হবে বিভিন্ন গাড়ি বিভিন্ন নিয়মে দেয়। সবাইকে এক নিয়মে আনার জন্য এ দাবিগুলো ওঠেছে।
এ পরিস্থিতিতে সাধারণ যাত্রীরা জরুরি প্রয়োজনে বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত ভাড়া ও অনিশ্চয়তার কারণে তাদের দুর্ভোগ বাড়ছে।