Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পেলেন আরো ৩৯ ফিলিস্তিনির মুক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২৫ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী ৩৯ জন বন্দী ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জন নারী এবং ৩৩ কিশোর। এর আগে চুক্তি অনুযায়ী ১৩ জন ইসরায়েলি ও চার জন বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।এটি যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের বন্দীবনিময়।

ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রেড ক্রসের বাসে করে ইসরায়লি জেল থেকে ৩৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলের জেল থেকে কেন্দ্রীয় পশ্চিম তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেইসময় শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়ে ছিলেন।

ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল ৩৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে।

ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ এবং ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাবের তথ্যের ভিত্তিতে, বন্দীদের অধিকারের প্রচারকারী একটি এনজিও, সিএনএন মূল্যায়ন করেছে যে শনিবার মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৫ জন সাজা ভোগ করছেন, বেশিরভাগই ইসরায়েলিদের উপর হামলার জন্য।

ইসরায়েল জানিয়েছে, যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন ইসরায়েলিদের উপর হামলার জন্য আটক হয়েছিলেন। আর বাকি ২৪ জনকে প্রশাসনিক আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না জেনে বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের আটক করা হয়েছিল।

এদিকে ১৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি আর চারজন থাই নাগরিক।

এদিকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগে আজ শনিবার এক ঘণ্টা বিলম্বের পর আবারও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় উত্তরে সাহায্য সরবরাহ নিয়ে বিরোধ মিটে যাওয়ার পর শনিবার রাতে (স্থানীয় সময়) জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করে হামাস।

হামাসের সামরিক কাসেম ব্রিগেডস শনিবার জানিয়েছে, গাজার উত্তর অংশে ত্রাণ সরবরাহ এবং ইসরায়েলি কারাগার থেকে যেসব ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তাদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি দিতেও বিলম্ব করছে তারা।

তবে হামাসের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, চুক্তির শর্ত তারা লঙ্ঘন করেনি। একই সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতি শেষে হামাসকে নির্মূল করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।

চুক্তির শর্তে রয়েছে, প্রতি একজন জিম্মির পরিবর্তে তিন বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

হামাস জানায়, চার দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে ৩৯ ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে ১৩ ইসরায়েলি ও সাত বিদেশিকে মুক্তি দেবে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শনিবার ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ৩৯ থেকে ৪২ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে হামাস। তাদের দাবি, মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছে। সেইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়।

এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে এক হাজার ২০০ জন। আহত তিন হাজারের বেশি। সেইসঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাসের যোদ্ধারা। এরপর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পেলেন আরো ৩৯ ফিলিস্তিনির মুক্তি

প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২৫ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী ৩৯ জন বন্দী ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জন নারী এবং ৩৩ কিশোর। এর আগে চুক্তি অনুযায়ী ১৩ জন ইসরায়েলি ও চার জন বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।এটি যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের বন্দীবনিময়।

ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রেড ক্রসের বাসে করে ইসরায়লি জেল থেকে ৩৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলের জেল থেকে কেন্দ্রীয় পশ্চিম তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেইসময় শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়ে ছিলেন।

ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল ৩৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে।

ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ এবং ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাবের তথ্যের ভিত্তিতে, বন্দীদের অধিকারের প্রচারকারী একটি এনজিও, সিএনএন মূল্যায়ন করেছে যে শনিবার মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৫ জন সাজা ভোগ করছেন, বেশিরভাগই ইসরায়েলিদের উপর হামলার জন্য।

ইসরায়েল জানিয়েছে, যেসব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন ইসরায়েলিদের উপর হামলার জন্য আটক হয়েছিলেন। আর বাকি ২৪ জনকে প্রশাসনিক আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না জেনে বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই তাদের আটক করা হয়েছিল।

এদিকে ১৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি আর চারজন থাই নাগরিক।

এদিকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, এমন অভিযোগে আজ শনিবার এক ঘণ্টা বিলম্বের পর আবারও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় উত্তরে সাহায্য সরবরাহ নিয়ে বিরোধ মিটে যাওয়ার পর শনিবার রাতে (স্থানীয় সময়) জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করে হামাস।

হামাসের সামরিক কাসেম ব্রিগেডস শনিবার জানিয়েছে, গাজার উত্তর অংশে ত্রাণ সরবরাহ এবং ইসরায়েলি কারাগার থেকে যেসব ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তাদের নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি দিতেও বিলম্ব করছে তারা।

তবে হামাসের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, চুক্তির শর্ত তারা লঙ্ঘন করেনি। একই সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতি শেষে হামাসকে নির্মূল করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।

চুক্তির শর্তে রয়েছে, প্রতি একজন জিম্মির পরিবর্তে তিন বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

হামাস জানায়, চার দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে ৩৯ ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে ১৩ ইসরায়েলি ও সাত বিদেশিকে মুক্তি দেবে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শনিবার ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ৩৯ থেকে ৪২ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে হামাস। তাদের দাবি, মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছে। সেইসঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায়।

এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে এক হাজার ২০০ জন। আহত তিন হাজারের বেশি। সেইসঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাসের যোদ্ধারা। এরপর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।