Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেসব দল অংশ নেবে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে : ইসি রাশেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেসব দল অংশ নেবে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করার কাজ নির্বাচন কমিশনের নয়। সংবিধান অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক সমঝোতা বড় কথা নয়। যে দল আসবে আমরা তাদের নিয়েই নির্বাচন করব।

রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডাকা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইসি রাশেদা বলেন, সংলাপের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার বিষয় কমিশনের নয়। আমরা সংবিধান অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। সংলাপ কখন, কীভাবে করব, যখন হবে তখন দেখা যাবে বিষয়টি। আমরা আস্থার জায়গা নিয়ে কাজ করছি। তাদের (নির্বাচন বর্জনকারী) আস্থা ও মানসিকতার উন্নয়ন করতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকায় কোনো কমতি নেই জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা আমাদের অঙ্গীকার। আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠাবান যে ভালো নির্বাচন করব। এটা বিশ্বাস করা না করা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। এ পর্যন্ত আমরা যতগুলো নির্বাচন করেছি কোথাও কোনো ব্যত্যয় করছি? কোনো আইন ভঙ্গ করছি? আমরা ভালো নির্বাচন করার চেষ্টায় আছি। আমরা চাই একটা ভালো নির্বাচন হোক। এজন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকারের সহায়তার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সহায়তা নিতেই হবে। উনারা (সরকার) সহায়তা না দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকারও চায় একটা ভালো নির্বাচন হোক। আমরা এর বিশ্বাস রাখি। তবে পারব কি না, এটা এখন বলা যাবে না। আমরা আমাদের মতো সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা চালাচ্ছি।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বাচনের আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, কাউকে আম খেতে দিলাম, তখন যদি আবার কেউ বলে আমে বিষ আছে খাব না, তখন তাকে কীভাবে আস্থায় আনব। কীভাবে বোঝাব যে আমে বিষ নেই। তাদেরও (নির্বাচন বর্জনকারী) আস্থা ও মানসিকতার উন্নয়ন করতে হবে।

মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকালকের (শনিবার) মতবিনিময় সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কীভাবে সুষ্ঠু করা যায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা চ্যালেঞ্জের বিষয়ে কিছু বলেননি। আমরা নির্বাচন করতে পারব না, এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা কিছু বলেননি।’

তিনি আরও বলেন, তাদের কিছু দাবি দাওয়া ছিল। আমাদের অফিসাররা রিটার্নিং কর্মকর্তা হতে চান। চরাঞ্চল ও দুর্গম অঞ্চলে কাজ করা কষ্ট হয়ে পড়ে, এটা নিয়ে ব্যয় বাড়ানো হয়। সবসময় রিটার্নিং অফিসার অ্যাডমিন ক্যাডার থেকেই দেওয়া হয়। তাদের দাবিগুলো চাইলেই আমাদের দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তবে বাছাই করে কিছু দেওয়া যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, যদি সব দল নির্বাচনে না আসে, তবে সেফটি মেজারমেন্ট রাখা হয়। সিকিউরিটি মানে অফিসের সিকিউরিটি। এই অফিস যেন নিরাপদ থাকে। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বসব। তবে এখনো কংক্রিট সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কথাও তারা বলেননি।

এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ইইউয়ের একটি পর্যবেক্ষক দল আসবে, তবে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কি না এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। কমিশনাররা বসে কী বলা উচিত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা (ইইউ) বেশি করে পর্যবেক্ষক পাঠালে পাঠাক। তবে তাদের বাজেটে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তারা বেশি পরিমাণে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে, আমরা এটাকে আমন্ত্রণ জানাব। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বিদেশি পর্যবেক্ষক না এলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে কি না এমন প্রশ্নে এই কমিশনার বলেন, কেউ যদি পর্যবেক্ষক না পাঠায়, তাহলে আমাদের দেশে কী পর্যবেক্ষক নেই। আমাদের কী জনগণ নেই? আমাদের বড় পর্যবেক্ষক আমাদের জনগণ। আমাদের মিডিয়া আছে, মিডিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।

৬৪ জেলা ও ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা বলেন, এটা সত্যি কথা সব সময় রিটার্নিং অফিসার অ্যাডমিন ক্যাডার থেকে দেওয়া হয়। ওদের দাবি তাদেরও যেন রিটার্নিং অফিসার করা হয়। তবে এটা দেওয়ার মতো অ্যাবিলিটি নেই। তবে তারা বলেছে, আমাদের কিছু দিলে সম্মানিত বোধ করি। মতবিনিময় সভায় আলোচনা হয়েছে, যদি সব দল অংশ না নেয়, তবে ২০১৪ সালের মতো কিছু জায়গায় আক্রমণ হতে পারে। যদি সব দল না আসে তবে সেফটি মেজারমেন্ট রাখা যেন হয় এটা চান মাঠ কর্মকর্তারা। সিকিউরিটি মানে অফিসের সিকিউরিটি, তবে ২০১৪ সালে কি হয়েছিল আমি জানি না। ২০১৪ সালের মতো যদি কেউ আগুন দিয়ে দিল, লুটপাট করে ফেললো। তাই মাঠ কর্মকর্তারা চান অফিস যেন নিরাপদ থাকে। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বসবো। তবে এখনো কংক্রিট সিদ্ধান্ত হয়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রিজ ভাঙার ৮ বছরেও ঘুম ভাঙেনি কর্তৃপক্ষের, দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেসব দল অংশ নেবে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে : ইসি রাশেদা

প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যেসব দল অংশ নেবে তাদের নিয়েই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করার কাজ নির্বাচন কমিশনের নয়। সংবিধান অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক সমঝোতা বড় কথা নয়। যে দল আসবে আমরা তাদের নিয়েই নির্বাচন করব।

রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডাকা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইসি রাশেদা বলেন, সংলাপের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার বিষয় কমিশনের নয়। আমরা সংবিধান অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। সংলাপ কখন, কীভাবে করব, যখন হবে তখন দেখা যাবে বিষয়টি। আমরা আস্থার জায়গা নিয়ে কাজ করছি। তাদের (নির্বাচন বর্জনকারী) আস্থা ও মানসিকতার উন্নয়ন করতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকায় কোনো কমতি নেই জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা আমাদের অঙ্গীকার। আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠাবান যে ভালো নির্বাচন করব। এটা বিশ্বাস করা না করা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। এ পর্যন্ত আমরা যতগুলো নির্বাচন করেছি কোথাও কোনো ব্যত্যয় করছি? কোনো আইন ভঙ্গ করছি? আমরা ভালো নির্বাচন করার চেষ্টায় আছি। আমরা চাই একটা ভালো নির্বাচন হোক। এজন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকারের সহায়তার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সহায়তা নিতেই হবে। উনারা (সরকার) সহায়তা না দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকারও চায় একটা ভালো নির্বাচন হোক। আমরা এর বিশ্বাস রাখি। তবে পারব কি না, এটা এখন বলা যাবে না। আমরা আমাদের মতো সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা চালাচ্ছি।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বাচনের আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, কাউকে আম খেতে দিলাম, তখন যদি আবার কেউ বলে আমে বিষ আছে খাব না, তখন তাকে কীভাবে আস্থায় আনব। কীভাবে বোঝাব যে আমে বিষ নেই। তাদেরও (নির্বাচন বর্জনকারী) আস্থা ও মানসিকতার উন্নয়ন করতে হবে।

মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে গতকালকের (শনিবার) মতবিনিময় সভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কীভাবে সুষ্ঠু করা যায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা চ্যালেঞ্জের বিষয়ে কিছু বলেননি। আমরা নির্বাচন করতে পারব না, এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা কিছু বলেননি।’

তিনি আরও বলেন, তাদের কিছু দাবি দাওয়া ছিল। আমাদের অফিসাররা রিটার্নিং কর্মকর্তা হতে চান। চরাঞ্চল ও দুর্গম অঞ্চলে কাজ করা কষ্ট হয়ে পড়ে, এটা নিয়ে ব্যয় বাড়ানো হয়। সবসময় রিটার্নিং অফিসার অ্যাডমিন ক্যাডার থেকেই দেওয়া হয়। তাদের দাবিগুলো চাইলেই আমাদের দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। তবে বাছাই করে কিছু দেওয়া যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, যদি সব দল নির্বাচনে না আসে, তবে সেফটি মেজারমেন্ট রাখা হয়। সিকিউরিটি মানে অফিসের সিকিউরিটি। এই অফিস যেন নিরাপদ থাকে। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বসব। তবে এখনো কংক্রিট সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কথাও তারা বলেননি।

এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ইইউয়ের একটি পর্যবেক্ষক দল আসবে, তবে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কি না এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। কমিশনাররা বসে কী বলা উচিত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা (ইইউ) বেশি করে পর্যবেক্ষক পাঠালে পাঠাক। তবে তাদের বাজেটে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। তারা বেশি পরিমাণে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে, আমরা এটাকে আমন্ত্রণ জানাব। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বিদেশি পর্যবেক্ষক না এলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে কি না এমন প্রশ্নে এই কমিশনার বলেন, কেউ যদি পর্যবেক্ষক না পাঠায়, তাহলে আমাদের দেশে কী পর্যবেক্ষক নেই। আমাদের কী জনগণ নেই? আমাদের বড় পর্যবেক্ষক আমাদের জনগণ। আমাদের মিডিয়া আছে, মিডিয়াও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।

৬৪ জেলা ও ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতবিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা বলেন, এটা সত্যি কথা সব সময় রিটার্নিং অফিসার অ্যাডমিন ক্যাডার থেকে দেওয়া হয়। ওদের দাবি তাদেরও যেন রিটার্নিং অফিসার করা হয়। তবে এটা দেওয়ার মতো অ্যাবিলিটি নেই। তবে তারা বলেছে, আমাদের কিছু দিলে সম্মানিত বোধ করি। মতবিনিময় সভায় আলোচনা হয়েছে, যদি সব দল অংশ না নেয়, তবে ২০১৪ সালের মতো কিছু জায়গায় আক্রমণ হতে পারে। যদি সব দল না আসে তবে সেফটি মেজারমেন্ট রাখা যেন হয় এটা চান মাঠ কর্মকর্তারা। সিকিউরিটি মানে অফিসের সিকিউরিটি, তবে ২০১৪ সালে কি হয়েছিল আমি জানি না। ২০১৪ সালের মতো যদি কেউ আগুন দিয়ে দিল, লুটপাট করে ফেললো। তাই মাঠ কর্মকর্তারা চান অফিস যেন নিরাপদ থাকে। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বসবো। তবে এখনো কংক্রিট সিদ্ধান্ত হয়নি।