Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপিসহ অন্যান্য নামধারী কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে পায় না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপিসহ অন্যান্য নামধারী কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে পায় না। কোন উন্নয়ন হলে তারা অপপ্রচার চালায়। তারা বুদ্ধিজীবী সেজে নানা কথা বলে। বিএনপি-জামায়াত ও কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবী আছে তারা একসাথে বুদ্ধি করে অপপ্রচার চালায়।

মঙ্গলবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র হচ্ছে তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ কথাটি তার (মির্জা ফখরুল) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং আমাদের দেশের দুর্নীতি দমন কমিশনও স্বাধীনভাবে কাজ করে। কাগজে দেখলাম, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কারও কারও রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন— ‘এরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের শাসনের মুখ।’ বিএনপির দুঃশাসন একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছেও একটু তুলে ধরতে চাই, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, বাংলাদেশ পরপর পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চার বার এককভাবে চ্যাম্পিয়ন, আর এক বার হয়েছে যুগ্মভাবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে দেশ পরিচালনা করছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। কেউ দুর্নীতি করলে তার বিচার হয়। আর বিএনপি হাওয়া ভবন করে দুর্নীতির সুযোগ করে দিত।

হাছান মাহমুদ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে বঙ্গবন্ধু এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, তখন তাকে হত্যা করা হয়। তবে একটি স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিতে যে ভিত রচনা করা দরকার তা বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। আমরা যে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি সে ভিত বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে যে চুক্তি করেছিলেন ভারতের সাথে, সেই চুক্তির বলেই আমাদের ছিটমহলগুলো পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যে মহাকাশে আছে। তার ভিতও বঙ্গবন্ধুই রচনা করে গেছেন। আর সেই ভিত নিয়েই শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। দেশকে আধুনিক স্মার্ট দেশে রূপান্তর করছেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বড় বড় প্রেসিডেন্ট, বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করে। জাতিসংঘের মহাসচিবও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্যই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আর আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গিয়েছে। তার (তারেক রহমান) এবং তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। ২১ আগস্ট হামলার কারণে এবং দুর্নীতির কারণে তার (তারেক) সাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ারও শাস্তি হয়েছে দুর্নীতির কারণে। আপনাদের দুর্নীতি-সন্ত্রাসের মুখ হচ্ছে তারেক রহমান। বিএনপির দুর্নীতির-দুঃসাশনের বরপুত্র হচ্ছে তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ কথাটি তার (ফখরুল) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছি। কেউ দুর্নীতি, অন্যায়, অনিয়ম করলে বিচার হয় আমাদের দেশে। আর আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনারা হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতি এবং দুঃশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে, তিনি তখন আমাকে বললেন— তোমরা তো তোমাদের অঞ্চলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু আজকে যখন দেশ এগিয়ে যায়, তখন বিএনপি-জামায়াত এবং কিছু নামধারী বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবী পরিচয়ধারী, তারা কোনও কিছু দেখতে পায় না। তারা শুধু সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে। কোনও উন্নয়ন হলেই তারা সেখানে কিন্তু খোঁজে। কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবী সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে আমি আপনাদের মাধ্যমে বলবো, চোরের মায়ের এখন বড় গলা। দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র তারেক রহমানের মহাসচিবেরও আজ বড় গলা। সুতরাং, সবাইকে আজকে একটু সাবধান হতে হবে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে এখন তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। লাভ হবে না, সব ষড়যন্ত্র আমরা আল্লাহ’র রহমতে মোকাবিলা করেছি। ভবিষ্যতেও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাহ আলী খান জিন্নাহ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপিসহ অন্যান্য নামধারী কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে পায় না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপিসহ অন্যান্য নামধারী কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে পায় না। কোন উন্নয়ন হলে তারা অপপ্রচার চালায়। তারা বুদ্ধিজীবী সেজে নানা কথা বলে। বিএনপি-জামায়াত ও কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবী আছে তারা একসাথে বুদ্ধি করে অপপ্রচার চালায়।

মঙ্গলবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র হচ্ছে তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ কথাটি তার (মির্জা ফখরুল) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং আমাদের দেশের দুর্নীতি দমন কমিশনও স্বাধীনভাবে কাজ করে। কাগজে দেখলাম, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কারও কারও রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন— ‘এরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের শাসনের মুখ।’ বিএনপির দুঃশাসন একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছেও একটু তুলে ধরতে চাই, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, বাংলাদেশ পরপর পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চার বার এককভাবে চ্যাম্পিয়ন, আর এক বার হয়েছে যুগ্মভাবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে দেশ পরিচালনা করছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। কেউ দুর্নীতি করলে তার বিচার হয়। আর বিএনপি হাওয়া ভবন করে দুর্নীতির সুযোগ করে দিত।

হাছান মাহমুদ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে বঙ্গবন্ধু এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, তখন তাকে হত্যা করা হয়। তবে একটি স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিতে যে ভিত রচনা করা দরকার তা বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। আমরা যে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি সে ভিত বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে যে চুক্তি করেছিলেন ভারতের সাথে, সেই চুক্তির বলেই আমাদের ছিটমহলগুলো পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যে মহাকাশে আছে। তার ভিতও বঙ্গবন্ধুই রচনা করে গেছেন। আর সেই ভিত নিয়েই শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। দেশকে আধুনিক স্মার্ট দেশে রূপান্তর করছেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বড় বড় প্রেসিডেন্ট, বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার প্রশংসা করে। জাতিসংঘের মহাসচিবও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্যই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আর আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গিয়েছে। তার (তারেক রহমান) এবং তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। ২১ আগস্ট হামলার কারণে এবং দুর্নীতির কারণে তার (তারেক) সাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ারও শাস্তি হয়েছে দুর্নীতির কারণে। আপনাদের দুর্নীতি-সন্ত্রাসের মুখ হচ্ছে তারেক রহমান। বিএনপির দুর্নীতির-দুঃসাশনের বরপুত্র হচ্ছে তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ কথাটি তার (ফখরুল) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছি। কেউ দুর্নীতি, অন্যায়, অনিয়ম করলে বিচার হয় আমাদের দেশে। আর আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনারা হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতি এবং দুঃশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে, তিনি তখন আমাকে বললেন— তোমরা তো তোমাদের অঞ্চলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু আজকে যখন দেশ এগিয়ে যায়, তখন বিএনপি-জামায়াত এবং কিছু নামধারী বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবী পরিচয়ধারী, তারা কোনও কিছু দেখতে পায় না। তারা শুধু সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে। কোনও উন্নয়ন হলেই তারা সেখানে কিন্তু খোঁজে। কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবী সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে আমি আপনাদের মাধ্যমে বলবো, চোরের মায়ের এখন বড় গলা। দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র তারেক রহমানের মহাসচিবেরও আজ বড় গলা। সুতরাং, সবাইকে আজকে একটু সাবধান হতে হবে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে এখন তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। লাভ হবে না, সব ষড়যন্ত্র আমরা আল্লাহ’র রহমতে মোকাবিলা করেছি। ভবিষ্যতেও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাহ আলী খান জিন্নাহ প্রমুখ।