Dhaka সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশ কীভাবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে তা নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ এখন সংকটময় এক মুহূর্তে রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, দেশ গণতন্ত্রের পথে কীভাবে হাঁটবে তা নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর। ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতদের ভূমিকার ওপরও নির্ভর করছে দেশের গতিপথ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা মহড়া ও আনসার সদস্যদের সমাপনী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য কেমন বাংলাদেশ রেখে যাব সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এই দায়িত্বকে চাকরি নয়, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এমন ক্রিটিক্যাল অবস্থায় গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে।

সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়া কখনও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব নয়। ১০ লাখ লোক নির্বাচনী কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। যারা জেলে আছে এবং প্রবাসীদের জন্যও এবার অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বর আমরা পোস্টাল ব্যালটের অ্যাপ লঞ্চ করবো। পোস্টাল ব্যালটে নির্বাচনী দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা ভোট দেবেন। আপনাদের বাড়ির ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পৌঁছে যাবে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে বিশাল ভূমিকা থাকবে আনসার সদস্যদের। সংখ্যার দিক দিয়ে এটিই সর্ববৃহৎ বাহিনী। গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। এর বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে। এআইয়ের অপব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো অপপ্রচারের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সবাইকে সচেতন করে সিইসি বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যাদের সাথেই যোগাযোগ হয় তাদের বোঝাবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু একটা দেখলেই, যাচাই-বাছাই ছাড়া যেন শেয়ার না করে। এটা এখন মানুষের অভ্যাস হয়ে গেছে। কিছু দেখলেই সাথে সাথে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, এআই অপব্যবহার রোধে আমরা একটা সেল খুলেছি। সেখানে যোগাযোগ করে আপনারা যে কোনও ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার যেন না হয় এমনটাও জানান তিনি।

আনসার সদস্যদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, একটা বাহিনীর সদস্য হওয়া ছাড়াও আমরা কিন্তু এই দেশের নাগরিক। আমাদের একটা নাগরিক দায়িত্বও আছে।

তিনি বলেন, যেকোনো নির্বাচনে, বিশেষ করে এই নির্বাচনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশাল ভূমিকা থাকবে। আমার বলতে দ্বিধা নেই বাহিনী হিসেবে কিন্তু এটাই সর্ববৃহৎ বাহিনী কিন্তু আমাদের এখানে, প্রশিক্ষিত বাহিনী যদি আমরা ধরি। এটাই সংখ্যার দিক থেকে, সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্ববৃহৎ বাহিনী। দেশের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে আমি যা দেখেছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যখন হয় তখনো দেখেছি যে এই সমস্ত বাহিনীর সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমি আজকে যে ট্রেনিং এর যে কম্পোনেন্টস বিশেষ করে প্রাকটিক্যাল একটা ডেমোনস্ট্রেশন যে দেখলাম, একটা ডামি ইলেকশন সেন্টার করে ভোটাররা আসছেন, ভোট দিচ্ছেন, প্রিজাইডিং পুলিং অফিসার কী কী রোল প্লে করে এবং অনাকাঙ্খিত যে ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে ভোটকেন্দ্রে, সেটার যে একটা ডামি এক্সারসাইজ আমি দেখলাম, এই ধরনের প্রশিক্ষণই হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমি চিফ ইলেকশন কমিশনার, সেটা ছাড়াও আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। নাগরিক হিসেবেও আমার একটা দায়িত্ব আছে। ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব? গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কী? কীভাবে রেখে যাব, সেই চিন্তা সারাক্ষণ আমাকে ভাবায়। এটাকে একটা রুটিন দায়িত্ব হিসেবে আমি নেই নাই, আমি ব্যক্তিগতভাবে এইটাকে একটা রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নেই নাই, চাকরি হিসেবে নেই নাই। এটা একটা আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি গতানুগতিক ধারার কাজে বিশ্বাসী নই। বিশেষ করে এই ধরনের সংকটময় মুহূর্তে, একটা ক্রিটিক্যাল অবস্থায় দেশ যখন রয়েছে, এখানে আমাদেরকে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। আউট অব দি ওয়ে গিয়ে, যে সাধারণভাবে গতানুগতিক পন্থায় যে ধরনের কাজ হয়, তার অনেকটা বাইরে গিয়ে কিন্তু এই উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে। এবং আমাদের যে পরিকল্পনা তাতে প্রায় দশ লাখ লোক এই ইলেকশনে ডেপ্লয়েড হবে। প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে আরম্ভ করে প্রায় আনুমানিক প্রায় দশ লাখ লোক এখানে ইনভল্ভ হবে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা এবার একটা উদ্যোগ নিয়েছি যে যাতে করে আপনারা যারা ডিউটিতে থাকবেন তারা যাতে ভোটটা দিতে পারেন সে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে, সে উদ্যোগটা আমরা নিয়েছি। আমরা ইনশাআল্লাহ এই ১৬ নভেম্বর অ্যাপটা শুরু করবো। আপনারা রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেবেন পোস্টাল ব্যালটের জন্য, যারা ডিউটিতে থাকবেন তারা রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন। আপনাদের ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানায় ব্যালট পৌঁছে যাবে এবং ইন টাইম এবং আমাদের ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী আপনারা ওই গাইডলাইন্স অনুযায়ী ভোটটা দিতে পারবেন। এই যে ইলেকশনে যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদেরকে ইনক্লুড করেছি। চেষ্টা করছি আমরা। সরকারি চাকরিজীবী যারা বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত থাকেন, ভোটার এলাকার বাইরে থাকেন, তারা যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থাও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আইনি হেফাজতে যারা জেলে আছে, তারাও তো এ দেশের নাগরিক। তারাও যাতে ভোট দিতে পারেন সে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। প্রবাসীদেরও একটা ভোট দেওয়ার জন্য উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। ১৮ তারিখে আমরা এক শুরু করবো। আশা করব আপনারা সবাই রেজিস্ট্রেশনটা করে নেবেন যাতে ভোটটা আপনারা দিতে পারেন।

তিনি বলেন, দেখুন, এই দেশের প্রত্যেকে মিলে, ভোটাররা, এই যে বাহিনীর সদস্যরা, আমাদের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, রাজনৈতিক দলগুলো সবার সহযোগিতার ছাড়া একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব না। আমি সারাকেন্দ্র যদি আনসার, বিডিপি, আর্মি দিয়ে ভরে ফেলি যদি রাজনৈতিক দলগুলো যদি সহযোগিতা প্রত্যাশিত মাত্রায় না করে, ওনারাই তো মেজর প্লেয়ার, একটা বড় অংশীজন, ভোটাররা একটা বড় অংশীজন। সুতরাং ভোটার, রাজনৈতিক দল, আমাদের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন, আমরা সবাই মিলে ইনশাআল্লাহ একটা প্রত্যাশিত, সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেব। জাতি যাতে এগোয়, গণতন্ত্র যাতে এগিয়ে যায়, এখানে আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখব।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশ কীভাবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে তা নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর : সিইসি

প্রকাশের সময় : ০১:০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশ এখন সংকটময় এক মুহূর্তে রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, দেশ গণতন্ত্রের পথে কীভাবে হাঁটবে তা নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর। ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতদের ভূমিকার ওপরও নির্ভর করছে দেশের গতিপথ।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা মহড়া ও আনসার সদস্যদের সমাপনী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য কেমন বাংলাদেশ রেখে যাব সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এই দায়িত্বকে চাকরি নয়, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এমন ক্রিটিক্যাল অবস্থায় গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে।

সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়া কখনও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব নয়। ১০ লাখ লোক নির্বাচনী কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন। যারা জেলে আছে এবং প্রবাসীদের জন্যও এবার অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বর আমরা পোস্টাল ব্যালটের অ্যাপ লঞ্চ করবো। পোস্টাল ব্যালটে নির্বাচনী দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা ভোট দেবেন। আপনাদের বাড়ির ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পৌঁছে যাবে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে বিশাল ভূমিকা থাকবে আনসার সদস্যদের। সংখ্যার দিক দিয়ে এটিই সর্ববৃহৎ বাহিনী। গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। এর বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে। এআইয়ের অপব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো অপপ্রচারের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সবাইকে সচেতন করে সিইসি বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যাদের সাথেই যোগাযোগ হয় তাদের বোঝাবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু একটা দেখলেই, যাচাই-বাছাই ছাড়া যেন শেয়ার না করে। এটা এখন মানুষের অভ্যাস হয়ে গেছে। কিছু দেখলেই সাথে সাথে বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, এআই অপব্যবহার রোধে আমরা একটা সেল খুলেছি। সেখানে যোগাযোগ করে আপনারা যে কোনও ঘটনার সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার যেন না হয় এমনটাও জানান তিনি।

আনসার সদস্যদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, একটা বাহিনীর সদস্য হওয়া ছাড়াও আমরা কিন্তু এই দেশের নাগরিক। আমাদের একটা নাগরিক দায়িত্বও আছে।

তিনি বলেন, যেকোনো নির্বাচনে, বিশেষ করে এই নির্বাচনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশাল ভূমিকা থাকবে। আমার বলতে দ্বিধা নেই বাহিনী হিসেবে কিন্তু এটাই সর্ববৃহৎ বাহিনী কিন্তু আমাদের এখানে, প্রশিক্ষিত বাহিনী যদি আমরা ধরি। এটাই সংখ্যার দিক থেকে, সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্ববৃহৎ বাহিনী। দেশের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে আমি যা দেখেছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যখন হয় তখনো দেখেছি যে এই সমস্ত বাহিনীর সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমি আজকে যে ট্রেনিং এর যে কম্পোনেন্টস বিশেষ করে প্রাকটিক্যাল একটা ডেমোনস্ট্রেশন যে দেখলাম, একটা ডামি ইলেকশন সেন্টার করে ভোটাররা আসছেন, ভোট দিচ্ছেন, প্রিজাইডিং পুলিং অফিসার কী কী রোল প্লে করে এবং অনাকাঙ্খিত যে ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে ভোটকেন্দ্রে, সেটার যে একটা ডামি এক্সারসাইজ আমি দেখলাম, এই ধরনের প্রশিক্ষণই হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমি চিফ ইলেকশন কমিশনার, সেটা ছাড়াও আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। নাগরিক হিসেবেও আমার একটা দায়িত্ব আছে। ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব? গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কী? কীভাবে রেখে যাব, সেই চিন্তা সারাক্ষণ আমাকে ভাবায়। এটাকে একটা রুটিন দায়িত্ব হিসেবে আমি নেই নাই, আমি ব্যক্তিগতভাবে এইটাকে একটা রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নেই নাই, চাকরি হিসেবে নেই নাই। এটা একটা আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি গতানুগতিক ধারার কাজে বিশ্বাসী নই। বিশেষ করে এই ধরনের সংকটময় মুহূর্তে, একটা ক্রিটিক্যাল অবস্থায় দেশ যখন রয়েছে, এখানে আমাদেরকে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। আউট অব দি ওয়ে গিয়ে, যে সাধারণভাবে গতানুগতিক পন্থায় যে ধরনের কাজ হয়, তার অনেকটা বাইরে গিয়ে কিন্তু এই উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে। এবং আমাদের যে পরিকল্পনা তাতে প্রায় দশ লাখ লোক এই ইলেকশনে ডেপ্লয়েড হবে। প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে আরম্ভ করে প্রায় আনুমানিক প্রায় দশ লাখ লোক এখানে ইনভল্ভ হবে।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা এবার একটা উদ্যোগ নিয়েছি যে যাতে করে আপনারা যারা ডিউটিতে থাকবেন তারা যাতে ভোটটা দিতে পারেন সে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে, সে উদ্যোগটা আমরা নিয়েছি। আমরা ইনশাআল্লাহ এই ১৬ নভেম্বর অ্যাপটা শুরু করবো। আপনারা রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেবেন পোস্টাল ব্যালটের জন্য, যারা ডিউটিতে থাকবেন তারা রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন। আপনাদের ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানায় ব্যালট পৌঁছে যাবে এবং ইন টাইম এবং আমাদের ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী আপনারা ওই গাইডলাইন্স অনুযায়ী ভোটটা দিতে পারবেন। এই যে ইলেকশনে যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদেরকে ইনক্লুড করেছি। চেষ্টা করছি আমরা। সরকারি চাকরিজীবী যারা বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত থাকেন, ভোটার এলাকার বাইরে থাকেন, তারা যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থাও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আইনি হেফাজতে যারা জেলে আছে, তারাও তো এ দেশের নাগরিক। তারাও যাতে ভোট দিতে পারেন সে উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। প্রবাসীদেরও একটা ভোট দেওয়ার জন্য উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। ১৮ তারিখে আমরা এক শুরু করবো। আশা করব আপনারা সবাই রেজিস্ট্রেশনটা করে নেবেন যাতে ভোটটা আপনারা দিতে পারেন।

তিনি বলেন, দেখুন, এই দেশের প্রত্যেকে মিলে, ভোটাররা, এই যে বাহিনীর সদস্যরা, আমাদের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, রাজনৈতিক দলগুলো সবার সহযোগিতার ছাড়া একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব না। আমি সারাকেন্দ্র যদি আনসার, বিডিপি, আর্মি দিয়ে ভরে ফেলি যদি রাজনৈতিক দলগুলো যদি সহযোগিতা প্রত্যাশিত মাত্রায় না করে, ওনারাই তো মেজর প্লেয়ার, একটা বড় অংশীজন, ভোটাররা একটা বড় অংশীজন। সুতরাং ভোটার, রাজনৈতিক দল, আমাদের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, বিভিন্ন বাহিনীর লোকজন, আমরা সবাই মিলে ইনশাআল্লাহ একটা প্রত্যাশিত, সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেব। জাতি যাতে এগোয়, গণতন্ত্র যাতে এগিয়ে যায়, এখানে আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখব।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।