Dhaka শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে যত ষড়যন্ত্রই হোক, যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে যত ষড়যন্ত্রই হোক, যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশের কল্যাণে আমরা যদি ঐকবদ্ধ না হই তাহলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র থামানো যাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, তাই নির্বাচন যেকোনো মূল্য নির্বাচন হতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, আমি এক বা সোয়া এক বছর আগে বলেছিলাম- নির্বাচন এত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা সবকিছু মিলে কিন্তু প্রমাণিত হচ্ছে- যা আমি বলেছিলাম, ধীরে ধীরে তাই সত্য হচ্ছে। কাজেই আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে না আনি, ঐক্যবদ্ধ না হই তাহলে এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ আমাদের কাছে ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করে, যেটা ন্যায় সেটা প্রত্যাশা করে। তবে এটা একদিনের বিষয় না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে যদি আমার চেষ্টা করি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।

তিনি বলেন, দেশকে ধ্বংসের কিনারা থেকে আমরা তখনই বের করে নিয়ে আসতে পারব, যখন ষড়যন্ত্রগুলো রুখতে পারব। বিভিন্ন সূত্রের খবরগুলো বলছে- এই ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকবে না, এর আরও খারাপ রূপ হতে পারে। কিন্তু আমাদের ভয় পেলে চলবে না, আতঙ্কগ্রস্ত হলে চলবে না। আমাদের মানুষকে সাহস দিতে হবে, নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব, যত সামনে এগিয়ে আসব, যত এই পরিস্থিতি তৈরি করব যে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।

অতীতের শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, অতীতে আওয়ামী স্বৈরাচার যেভাবে দেশ পরিচালিত করেছেন, আমরা সেভাবে দেশ পরিচালিত করবো না। আমরা তার পরিবর্তন আনবো, কল্যাণ করবো। সেজন্য এই দেশ গড়ার পরিকল্পনা আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। ইনশাআল্লাহ আমরা নির্বাচিত হলে বাস্তবায়ন করবো।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেশে ১ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে চাই। তাদের আমরা প্রশিক্ষণ দেব। তারা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে ছোটখাটো রোগের ব্যাপারে পরামর্শ দেবে। এছাড়াও ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সব মায়েদের স্বাবলম্বী করার কথাও উল্লেখ করেন তারেক রহমান।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনীতির অভিজ্ঞতা কম বা বেশি বলে কথা নয়, নির্বাচন কঠিন হবে। গতকালের ঘটনা, চট্টগ্রামের ঘটনা প্রমাণ করে অতীতে যে চক্রান্তের কথা বলেছি, সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে সবকিছু।’

ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করার উপায় বাতলে তারেক রহমান বলেন, দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে মানুষকে সাহসী করতে হবে, তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন আয়োজন করতে হবে–এই দাবিতে সবাই মিলে এগিয়ে এলে ষড়যন্ত্রকারীরা পিছিয়ে যাবে।

নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনারা মানুষের সঙ্গে মেশেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমাদের বসে থাকলে চলবে না।

বিএনপির দায়িত্ব ও করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের এখন বড় দায়িত্ব হলো বিএনপির প্রত্যেকটি পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বিএনপির একজন নেতা হিসেবে, একজন কর্মী হিসেবে আমাদের পরিকল্পনাগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। শুধু জনগণের দোরগোড়ায় নিলে হবে না, এই কাজের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।

আবহাওয়া

হাদির ওপর হামলাকারীর শেকড় যতই শক্তিশালী হোক উপড়ে ফেলা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

দেশে যত ষড়যন্ত্রই হোক, যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে যত ষড়যন্ত্রই হোক, যেকোনো মূল্যে নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশের কল্যাণে আমরা যদি ঐকবদ্ধ না হই তাহলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। ষড়যন্ত্র থামানো যাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, তাই নির্বাচন যেকোনো মূল্য নির্বাচন হতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, আমি এক বা সোয়া এক বছর আগে বলেছিলাম- নির্বাচন এত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা সবকিছু মিলে কিন্তু প্রমাণিত হচ্ছে- যা আমি বলেছিলাম, ধীরে ধীরে তাই সত্য হচ্ছে। কাজেই আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে না আনি, ঐক্যবদ্ধ না হই তাহলে এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ আমাদের কাছে ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা করে, যেটা ন্যায় সেটা প্রত্যাশা করে। তবে এটা একদিনের বিষয় না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে যদি আমার চেষ্টা করি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।

তিনি বলেন, দেশকে ধ্বংসের কিনারা থেকে আমরা তখনই বের করে নিয়ে আসতে পারব, যখন ষড়যন্ত্রগুলো রুখতে পারব। বিভিন্ন সূত্রের খবরগুলো বলছে- এই ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকবে না, এর আরও খারাপ রূপ হতে পারে। কিন্তু আমাদের ভয় পেলে চলবে না, আতঙ্কগ্রস্ত হলে চলবে না। আমাদের মানুষকে সাহস দিতে হবে, নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব, যত সামনে এগিয়ে আসব, যত এই পরিস্থিতি তৈরি করব যে যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হতে হবে, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।

অতীতের শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, অতীতে আওয়ামী স্বৈরাচার যেভাবে দেশ পরিচালিত করেছেন, আমরা সেভাবে দেশ পরিচালিত করবো না। আমরা তার পরিবর্তন আনবো, কল্যাণ করবো। সেজন্য এই দেশ গড়ার পরিকল্পনা আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। ইনশাআল্লাহ আমরা নির্বাচিত হলে বাস্তবায়ন করবো।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেশে ১ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে চাই। তাদের আমরা প্রশিক্ষণ দেব। তারা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে ছোটখাটো রোগের ব্যাপারে পরামর্শ দেবে। এছাড়াও ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সব মায়েদের স্বাবলম্বী করার কথাও উল্লেখ করেন তারেক রহমান।

আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনীতির অভিজ্ঞতা কম বা বেশি বলে কথা নয়, নির্বাচন কঠিন হবে। গতকালের ঘটনা, চট্টগ্রামের ঘটনা প্রমাণ করে অতীতে যে চক্রান্তের কথা বলেছি, সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে সবকিছু।’

ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করার উপায় বাতলে তারেক রহমান বলেন, দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে মানুষকে সাহসী করতে হবে, তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন আয়োজন করতে হবে–এই দাবিতে সবাই মিলে এগিয়ে এলে ষড়যন্ত্রকারীরা পিছিয়ে যাবে।

নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনারা মানুষের সঙ্গে মেশেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমাদের বসে থাকলে চলবে না।

বিএনপির দায়িত্ব ও করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের এখন বড় দায়িত্ব হলো বিএনপির প্রত্যেকটি পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বিএনপির একজন নেতা হিসেবে, একজন কর্মী হিসেবে আমাদের পরিকল্পনাগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। শুধু জনগণের দোরগোড়ায় নিলে হবে না, এই কাজের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।