নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিগত পাঁচ বছরে শ্রমবাজারের সূচকগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন এসেছে। ২০২২ সালে বেকারত্বের হারের সূচক কমেছে। দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এর মধ্যে বেকার পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার, আর নারীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার।
বুধবার (২৯ মার্চ) শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত প্রভিশনাল রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন। আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিবিএস।
সভায় বলা হয়, এ বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পায় না। বেকারত্বের এ হিসাব আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দেওয়া মানদণ্ড অনুযায়ী। আইএলও মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, শ্রমশক্তিতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের হারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে এবং কর্মে নিয়োজিত বিশেষ করে শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। যুব জনগোষ্ঠীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বেড়েছে। কৃষি ও সেবা সেক্টরে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেড়েছে।
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, গড় বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, ছয় বছর আগের তুলনায় বেকারত্বের হারও কমেছে। ২০১৭ সালে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। সর্বশেষ জরিপ বলছে, এখন বেকারত্ব কমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে সাত কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ চার কোটি ৭৪ লাখ, নারী দুই কোটি ৫৯ লাখ। গত পাঁচ বছরে ৯৯ লাখ ১০ হাজার শ্রমিক বেড়েছে।
জরিপে বলা হচ্ছে, শ্রমশক্তির বাইরে মোট জনশক্তির পরিমাণ চার কোটি ৬৯ লাখ। ২০১৬ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ১৪ লাখ বেড়েছে। দেশে গড় বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ পুরুষ ৩ দশমিক ৫৬ এবং নারী ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তাছাড়া, দেশে এখন সাত কোটি সাত লাখ কর্মক্ষম ব্যক্তি রয়েছে। এর মধ্যে কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি তিন কোটি ২২ লাখ।
বিসিএস আয়োজিত সভায় বলা হয়, এ বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পায় না। বেকারত্বের এ হিসাব আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দেওয়া মানদণ্ড অনুযায়ী বলেও জানানো হয়।