Dhaka সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে ফিরে যা বললেন শহিদুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গাজার দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভূমধ্যসাগর হয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিশ্বের ১৪৪ বিশিষ্টজনের সঙ্গে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কারামুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন তার সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তির পর শুক্রবার দুপুরে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান। পরে তিনি দেশের উদ্দেশে রওনা করেন।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে ভোর ৫টার পর তিনি বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের জাহাজ বহরে তার যাত্রার বর্ণনা দেন।

ফিলিস্তিনে এখনো ইসরায়েলিদের বর্বরতা চলছে, তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি জানিয়ে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী এবং মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হবে, ততক্ষণ আমাদের সংগ্রাম চলবে।’

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটকের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, আমার ওপর শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। সবচেয়ে বেশি অপমানিত বোধ করেছি যখন বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখে তা তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এটা আমাকে ভীষণভাবে আক্রান্ত করেছে। এ অপমানের বিচার আমাদের আদায় করে নিতে হবে।

ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর কঠিন সময় গেছে জানিয়ে শহিদুল আলম বলেন, আমাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। তখন আমাদের কঠিন সময় গেছে। কিন্তু গাজাবাসীর ওপর যা হয়েছে তার তুলনায় আমাদেরটা কিছুই না। যতক্ষণ ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে ততক্ষণ আমাদের সংগ্রাম চলতে হবে।

তিনি বলেন, গাজা এখনো মুক্ত হয়নি। গাজার মানুষ এখনও আক্রান্ত। এখনও তাদের ওপর নির্যাতন চলছে এবং সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শেষ হয়নি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা আমাকে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি তুরস্কের সরকার ও এয়ারলাইন্স আমাদের ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, তাই তাদেরও আমরা ধন্যবাদ জানাই।

ফিলিস্তিনে যাওয়ার পথে কি ধরনের বাধার সম্মূখীন হয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেই ফ্লোটিলায় ছিলাম, সেটি ছিল সবচেয়ে বড় ফ্লোটিলা। আমাদের এই ফ্লোটিলাটি সংবাদকর্মী এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ছিল। যেহেতু ইসরায়েলিদের সবচেয়ে বড় আক্রশের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সংবাদকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা, তাই আমাদের ওপর আক্রমণ এড়াতে বড় ফ্লোটিলাটি রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে যে নির্যাতন করা হয়েছে, তার চেয়েও বেশি খারাপ লেগেছে তখন, যখন আমাদের দেশের পাসপোর্ট মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই অপমানের বিচার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কোনো দেশ যেন, আমাদের এভাবে অপমান করে এড়িয়ে যেতে না পারে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি থাকতে হবে। আমি এই অপমানের বিচার চাই।’

উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের শহিদুল আলম বলেন, ইসরায়েলে গ্রেফতার হওয়ার পর আমার ওপর শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। সবচেয়ে বেশি অপমানিত বোধ করেছি যখন বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখে তা তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এটা আমাকে ভীষণভাবে আক্রান্ত করেছে। এ অপমানের বিচার আমাদের আদায় করে নিতে হবে। কোনো দেশ আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে যেহেতু পার পেয়ে না যায় সেটা আমাদের দেখতে হবে।

ফ্লোটিলায় যাওয়ার পর বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষ আমাদের জন্য দোয়া করেছেন, ভালোবাসা পাঠিয়েছেন। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। টার্কিশ এয়ারলাইন্স আমাকে দেশে আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাই। দেশের সরকার যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।

শহিদুল আলম বলেন, আমি আবারও বলব আমাদের আসল সংগ্রাম বাকি আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে; ততক্ষণ পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। আমি যেতে পেরেছি। অনেকে যেতে পারেনি। যারা যেতে পারেনি, তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি মনে করি আরও হাজারও ফ্লোটিলা গাজায় যাওয়া দরকার।

শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট) শহিদুল আলমকে বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইসরায়েল থেকে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন তাকে স্বাগত জানান ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরে ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহিদুল আলম ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামে একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম গাজা অভিমুখে ওই নৌযাত্রা শুরু করেছিল। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার ওই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যান ইসরায়েলি সেনারা।

পরে শহিদুল আলমসহ আটক অনেককে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়। ইসরায়েলে আটক হওয়ার পর থেকেই শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

কারামুক্ত হয়ে শহিদুল আলম ইসরায়েল থেকে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন। শহিদুল আলমের মুক্তি ও ইসরায়েল থেকে তার প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশে ফিরে যা বললেন শহিদুল আলম

প্রকাশের সময় : ০৩:১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গাজার দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভূমধ্যসাগর হয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিশ্বের ১৪৪ বিশিষ্টজনের সঙ্গে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম কারামুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন তার সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তির পর শুক্রবার দুপুরে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান। পরে তিনি দেশের উদ্দেশে রওনা করেন।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে ভোর ৫টার পর তিনি বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের জাহাজ বহরে তার যাত্রার বর্ণনা দেন।

ফিলিস্তিনে এখনো ইসরায়েলিদের বর্বরতা চলছে, তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি জানিয়ে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী এবং মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হবে, ততক্ষণ আমাদের সংগ্রাম চলবে।’

ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটকের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, আমার ওপর শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। সবচেয়ে বেশি অপমানিত বোধ করেছি যখন বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখে তা তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এটা আমাকে ভীষণভাবে আক্রান্ত করেছে। এ অপমানের বিচার আমাদের আদায় করে নিতে হবে।

ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর কঠিন সময় গেছে জানিয়ে শহিদুল আলম বলেন, আমাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। তখন আমাদের কঠিন সময় গেছে। কিন্তু গাজাবাসীর ওপর যা হয়েছে তার তুলনায় আমাদেরটা কিছুই না। যতক্ষণ ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে ততক্ষণ আমাদের সংগ্রাম চলতে হবে।

তিনি বলেন, গাজা এখনো মুক্ত হয়নি। গাজার মানুষ এখনও আক্রান্ত। এখনও তাদের ওপর নির্যাতন চলছে এবং সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শেষ হয়নি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা আমাকে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি তুরস্কের সরকার ও এয়ারলাইন্স আমাদের ফিরে আসার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, তাই তাদেরও আমরা ধন্যবাদ জানাই।

ফিলিস্তিনে যাওয়ার পথে কি ধরনের বাধার সম্মূখীন হয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেই ফ্লোটিলায় ছিলাম, সেটি ছিল সবচেয়ে বড় ফ্লোটিলা। আমাদের এই ফ্লোটিলাটি সংবাদকর্মী এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ছিল। যেহেতু ইসরায়েলিদের সবচেয়ে বড় আক্রশের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সংবাদকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা, তাই আমাদের ওপর আক্রমণ এড়াতে বড় ফ্লোটিলাটি রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে যে নির্যাতন করা হয়েছে, তার চেয়েও বেশি খারাপ লেগেছে তখন, যখন আমাদের দেশের পাসপোর্ট মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই অপমানের বিচার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কোনো দেশ যেন, আমাদের এভাবে অপমান করে এড়িয়ে যেতে না পারে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি থাকতে হবে। আমি এই অপমানের বিচার চাই।’

উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের শহিদুল আলম বলেন, ইসরায়েলে গ্রেফতার হওয়ার পর আমার ওপর শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। সবচেয়ে বেশি অপমানিত বোধ করেছি যখন বাংলাদেশের পাসপোর্ট দেখে তা তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এটা আমাকে ভীষণভাবে আক্রান্ত করেছে। এ অপমানের বিচার আমাদের আদায় করে নিতে হবে। কোনো দেশ আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে যেহেতু পার পেয়ে না যায় সেটা আমাদের দেখতে হবে।

ফ্লোটিলায় যাওয়ার পর বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষ আমাদের জন্য দোয়া করেছেন, ভালোবাসা পাঠিয়েছেন। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। টার্কিশ এয়ারলাইন্স আমাকে দেশে আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাই। দেশের সরকার যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই।

শহিদুল আলম বলেন, আমি আবারও বলব আমাদের আসল সংগ্রাম বাকি আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে; ততক্ষণ পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। আমি যেতে পেরেছি। অনেকে যেতে পারেনি। যারা যেতে পারেনি, তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমি মনে করি আরও হাজারও ফ্লোটিলা গাজায় যাওয়া দরকার।

শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট) শহিদুল আলমকে বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইসরায়েল থেকে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন তাকে স্বাগত জানান ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরে ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহিদুল আলম ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামে একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম গাজা অভিমুখে ওই নৌযাত্রা শুরু করেছিল। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার ওই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যান ইসরায়েলি সেনারা।

পরে শহিদুল আলমসহ আটক অনেককে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়। ইসরায়েলে আটক হওয়ার পর থেকেই শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

কারামুক্ত হয়ে শহিদুল আলম ইসরায়েল থেকে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন। শহিদুল আলমের মুক্তি ও ইসরায়েল থেকে তার প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।