Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : 

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, দেশে চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি। আমরা ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে ভেবেছিলাম, দেশের রাজনৈতিক নেতারা এ থেকে শিখবেন।

শনিবার ( ২৪ মে) দুপুরে নাটোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন চলছে। এরপর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তিন বাহিনীর প্রধানের সাথে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের বৈঠক হয়েছে। এটার এক-দুইদিন পরে অফিসার্স অ্যাড্রেস ছিল। সেখানে প্রধান সেনাপতি ( সেনাবাহিনী প্রধান) তার অফিসারদের উদ্দেশে কী বলেছেন তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে। যদিও এর অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট আইএসপিআর থেকে দেওয়া হয়নি। আমরা যদি মনে করি তিনি (সেনা প্রধান) ওগুলো বলেছেন তাহলে বলি, একই রকম বক্তব্য তিনি বিভিন্ন সময় দিয়েছেন। নির্বাচন কতদিনের মধ্যে হওয়া উচিত, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা উচিত, এই সরকারের মেয়াদ বেশি দিন থাকা উচিত না এইসব কথা বলেছেন। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ , র‌্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী বা অন্য কারও দেশের রাজনীতি নিয়ে পাবলিক ফোরামে কথা বলার ইখতিয়ার উনাদের নাই। তাদের কাজ হচ্ছে যে সরকার ক্ষমতায় থাকবেন তাদের হুকুম মেনে চলা।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা এসেছে সত্যি যদি তিনি (সেনা প্রধান) এগুলো অ্যাড্রেস করে বলে থাকেন তাহলে তিনি ইখতিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা মিলিটারি ক্যু এর শামিল। যেটা করার ন্যূনতম এখতিয়ার, অধিকার ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান উনাকে ( সেনা প্রধানকে) দেয়নি, এমনকি কাউকে দেয়নি বাংলাদেশে। তিনি (সেনা প্রধান) অনেক সময় বক্তব্যে বলেন যে তিনি অভিভাবকহীন। আপনার অভিভাবকহীন প্রশ্ন আসতেছে কেন? দেশে অন্তর্বর্তী সরকার আছে। উনি বলছেন— এ সরকারের ম্যান্ডেট নাই, চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুসহ অনেক বিষয়ের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকার নেবে। মেন্ডেটের প্রশ্নের আলোচনার উনি কে? ম্যান্ডেটের আলোচনা করবে পলিটিক্যাল পার্টি, সাধারণ মানুষ। আর গণঅভ্যুত্থানই হচ্ছে একটি ম্যান্ডেট। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ম্যান্ডেটয়ালা সরকার হচ্ছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এই সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে, সম্মতি দিয়েছে শাসন করার জন্য। ৫৩ বছরের ইতিহাসে এমন সরকার আসেনি।

তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে ভারতের গণমাধ্যমে আমরা যা যা শুনছি। যেই যেই বক্তব্য, যেই যেই শব্দে শুনছি তিনি ওগুলোই বলছেন। এই দিল্লির গোলামি থেকেই তো আমরা মুক্ত হয়েছি ১৪০০ জীবনের বিনিময়ে। অতএব আবার ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করাটা হচ্ছে মীর জাফরের মতো বাংলাকে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত। ১/১১ এর সময় আমরা দেখেছি ফখরুদ্দীন- মঈনুদ্দিন কীভাবে প্রণব মুখার্জির দরগায় গিয়ে কীভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাকে লিখে দিয়ে এসেছিল। তাই আমরা সকল বাহিনীকে বলছি দয়া করে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বসবেন। তাকে বলবেন দেশের স্বার্থে এটা হওয়া উচিত- এটা হওয়া উচিত নয়।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ড. ইউনুস সরকারকে সকল সক্রিয় রাজনীতি দল অনুমোদন ও সমর্থন দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ম্যান্ডেটওয়ালা সরকার হচ্ছে এ সরকার। দেশের ১৫ বছরের ইতিহাসে এমন ম্যান্ডেট ওয়ালা সরকার আসেনি। সেই সরকারকে আপনি বলছেন, ম্যান্ডেট নাই। এসব কথা তো ইন্ডিয়ার ম্যান্ডেট। আমরা গত ১০ মাস ধরে ইন্ডিয়ার গণমাধ্যমে যে যে বক্তব্য, যে যে শব্দে শুনছি, সব একই আপনি বলছেন।

ভারতকে নিয়ে তিনি বলেন, চৌদ্দশ’ শহীদের জীবনের বিনিময়ে এই দিল্লির গোলামী থেকেই তো আমরা মুক্তি হয়েছি। অতএব ইন্ডিয়া থেকে তাকে ফিরিয়ে আনাটা হচ্ছে মীরজাফরি ছাড়া কিছুই না। এবং বাংলাদেশকে বিক্রি করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা দেখেছি, ফখরুদ্দিন, মঈনউদ্দিনরা মিলে প্রণব মূখার্জির দরবারে গিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল। সকল বাহিনীকে বলছি, আপনারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবেন। দেশের সার্থে কোনটা প্রয়োজন তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবেন। কোনটা হওয়া প্রয়োজন, কোনটা প্রয়োজন নেই। ১লা জানুয়ারি থেকে আপনি নির্বাচিত সরকার দেখতে চান, আপনি কে? এটা রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, জনগণ বলতে পারে। কিন্তু কোনো বাহিনীর পুলিশ, র্যাব বলতে পারে না। আপনাকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর ভাষা কথা বলতে হবে। কার বক্তব্যে কে বলছে। আমরা কি আবার দিল্লি ছকে পড়তে যাচ্ছি।

এবি পার্টি’র এ নেতা আরও বলেন, দেশে চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজি পরিবর্তন হয়নি। আমরা ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে ভেবেছিলাম দেশের রাজনৈতিক নেতা শিখবেন। পরবর্তীতে সে ভাবে তিনি কাজ করবেন। না শেখাটা হবে আওয়ামী লীগের মতো। হাটে-বাজারে চাঁদাবাজি এসব বাংলাদেশে থাকবে না। গত ১৭/১৮ বছর আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের ডাকে মানুষ নামে নাই।

ছাত্র-জনতার ডাকে মানুষ জীবন দিয়েছে। এসব কিছু পরিবর্তন করতে না পারলে আমরা সব নাই হয়ে যাবো।

এবি পার্টির নাটোর জেলার আহবায়ক মো. শাহ্ আলম এর সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন- এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

দেশে চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি : আসাদুজ্জামান ফুয়াদ

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : 

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, দেশে চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি। আমরা ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে ভেবেছিলাম, দেশের রাজনৈতিক নেতারা এ থেকে শিখবেন।

শনিবার ( ২৪ মে) দুপুরে নাটোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন চলছে। এরপর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তিন বাহিনীর প্রধানের সাথে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের বৈঠক হয়েছে। এটার এক-দুইদিন পরে অফিসার্স অ্যাড্রেস ছিল। সেখানে প্রধান সেনাপতি ( সেনাবাহিনী প্রধান) তার অফিসারদের উদ্দেশে কী বলেছেন তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে। যদিও এর অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট আইএসপিআর থেকে দেওয়া হয়নি। আমরা যদি মনে করি তিনি (সেনা প্রধান) ওগুলো বলেছেন তাহলে বলি, একই রকম বক্তব্য তিনি বিভিন্ন সময় দিয়েছেন। নির্বাচন কতদিনের মধ্যে হওয়া উচিত, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি নিশ্চিত করা উচিত, এই সরকারের মেয়াদ বেশি দিন থাকা উচিত না এইসব কথা বলেছেন। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ , র‌্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী বা অন্য কারও দেশের রাজনীতি নিয়ে পাবলিক ফোরামে কথা বলার ইখতিয়ার উনাদের নাই। তাদের কাজ হচ্ছে যে সরকার ক্ষমতায় থাকবেন তাদের হুকুম মেনে চলা।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা এসেছে সত্যি যদি তিনি (সেনা প্রধান) এগুলো অ্যাড্রেস করে বলে থাকেন তাহলে তিনি ইখতিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা মিলিটারি ক্যু এর শামিল। যেটা করার ন্যূনতম এখতিয়ার, অধিকার ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান উনাকে ( সেনা প্রধানকে) দেয়নি, এমনকি কাউকে দেয়নি বাংলাদেশে। তিনি (সেনা প্রধান) অনেক সময় বক্তব্যে বলেন যে তিনি অভিভাবকহীন। আপনার অভিভাবকহীন প্রশ্ন আসতেছে কেন? দেশে অন্তর্বর্তী সরকার আছে। উনি বলছেন— এ সরকারের ম্যান্ডেট নাই, চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুসহ অনেক বিষয়ের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকার নেবে। মেন্ডেটের প্রশ্নের আলোচনার উনি কে? ম্যান্ডেটের আলোচনা করবে পলিটিক্যাল পার্টি, সাধারণ মানুষ। আর গণঅভ্যুত্থানই হচ্ছে একটি ম্যান্ডেট। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ম্যান্ডেটয়ালা সরকার হচ্ছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এই সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে, সম্মতি দিয়েছে শাসন করার জন্য। ৫৩ বছরের ইতিহাসে এমন সরকার আসেনি।

তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে ভারতের গণমাধ্যমে আমরা যা যা শুনছি। যেই যেই বক্তব্য, যেই যেই শব্দে শুনছি তিনি ওগুলোই বলছেন। এই দিল্লির গোলামি থেকেই তো আমরা মুক্ত হয়েছি ১৪০০ জীবনের বিনিময়ে। অতএব আবার ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করাটা হচ্ছে মীর জাফরের মতো বাংলাকে বিক্রি করে দেওয়ার চক্রান্ত। ১/১১ এর সময় আমরা দেখেছি ফখরুদ্দীন- মঈনুদ্দিন কীভাবে প্রণব মুখার্জির দরগায় গিয়ে কীভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাকে লিখে দিয়ে এসেছিল। তাই আমরা সকল বাহিনীকে বলছি দয়া করে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বসবেন। তাকে বলবেন দেশের স্বার্থে এটা হওয়া উচিত- এটা হওয়া উচিত নয়।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ড. ইউনুস সরকারকে সকল সক্রিয় রাজনীতি দল অনুমোদন ও সমর্থন দিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ম্যান্ডেটওয়ালা সরকার হচ্ছে এ সরকার। দেশের ১৫ বছরের ইতিহাসে এমন ম্যান্ডেট ওয়ালা সরকার আসেনি। সেই সরকারকে আপনি বলছেন, ম্যান্ডেট নাই। এসব কথা তো ইন্ডিয়ার ম্যান্ডেট। আমরা গত ১০ মাস ধরে ইন্ডিয়ার গণমাধ্যমে যে যে বক্তব্য, যে যে শব্দে শুনছি, সব একই আপনি বলছেন।

ভারতকে নিয়ে তিনি বলেন, চৌদ্দশ’ শহীদের জীবনের বিনিময়ে এই দিল্লির গোলামী থেকেই তো আমরা মুক্তি হয়েছি। অতএব ইন্ডিয়া থেকে তাকে ফিরিয়ে আনাটা হচ্ছে মীরজাফরি ছাড়া কিছুই না। এবং বাংলাদেশকে বিক্রি করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা দেখেছি, ফখরুদ্দিন, মঈনউদ্দিনরা মিলে প্রণব মূখার্জির দরবারে গিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল। সকল বাহিনীকে বলছি, আপনারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করবেন। দেশের সার্থে কোনটা প্রয়োজন তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবেন। কোনটা হওয়া প্রয়োজন, কোনটা প্রয়োজন নেই। ১লা জানুয়ারি থেকে আপনি নির্বাচিত সরকার দেখতে চান, আপনি কে? এটা রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, জনগণ বলতে পারে। কিন্তু কোনো বাহিনীর পুলিশ, র্যাব বলতে পারে না। আপনাকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর ভাষা কথা বলতে হবে। কার বক্তব্যে কে বলছে। আমরা কি আবার দিল্লি ছকে পড়তে যাচ্ছি।

এবি পার্টি’র এ নেতা আরও বলেন, দেশে চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদাবাজি পরিবর্তন হয়নি। আমরা ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে ভেবেছিলাম দেশের রাজনৈতিক নেতা শিখবেন। পরবর্তীতে সে ভাবে তিনি কাজ করবেন। না শেখাটা হবে আওয়ামী লীগের মতো। হাটে-বাজারে চাঁদাবাজি এসব বাংলাদেশে থাকবে না। গত ১৭/১৮ বছর আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের ডাকে মানুষ নামে নাই।

ছাত্র-জনতার ডাকে মানুষ জীবন দিয়েছে। এসব কিছু পরিবর্তন করতে না পারলে আমরা সব নাই হয়ে যাবো।

এবি পার্টির নাটোর জেলার আহবায়ক মো. শাহ্ আলম এর সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন- এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।