নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারি গুদামে যে খাদ্য মজুদ থাকার কথা, তার দ্বিগুণ পরিমাণ খাদ্য আছে। এলসির মাধ্যমে আরও খাদ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে কোনো খাদ্য সঙ্কট হবে না। কোনো ধরনের গুজবে কান দিবেন না।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মজুতদারির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি প্রদান করে এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই আমরা মাঠে অপারেশনে যাব। আমাদের চাল আছে, মজুত আছে তারপরও দেখা যাচ্ছে বাজারে প্রতিদিন দাম বাড়ছে। আমরা ধাক্কা খেয়েছি, সেখান থেকে শিখেছি।
তিনি বলেন, আমরা মামলার ভয় দেখাচ্ছি না। তবে বড় বড় গ্রুপের বিরুদ্ধে আমরা কিন্তু মামলা করেছি। যারা ধান-চালের ব্যবসা করেন তারাও কিন্তু সেবা করছেন। তবে মানুষের পেটের খাবার অবৈধ মজুত রেখে অন্যের পেটে কষ্ট দেওয়া কিন্তু ভালো কাজ নয়। তাই আপনাদের সবাইকে সহনীয় পর্যায়ে থাকতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ৫০ লাখ মানুষকে খাদ্যবান্ধব চাল দিচ্ছে। এক কোটি মানুষকে টিসিবির সেবা দিচ্ছি। সেখানে ৩০ টাকায় চাল ও ২৬ টাকায় আটা দিচ্ছি। এটা বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আমরা করছি। আবার আমরা ধান ও চাল সংগ্রহ করছি যেন কৃষকের ধানের দাম পড়ে না যায়। তারা যেন ধানের আবাদ থেকে সরে না আসে। তাই বলছি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করুন। আমরাও সচেতনতার জন্য কিছু প্রোগ্রাম করবো।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার, চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম. কায়ছার আলী, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. সহিদ উল্যাহ্ খান প্রমুখ।
এরপর খাদ্যমন্ত্রী নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।