Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড মৃত্যু

ফাইল ছবি

চলতি বছরের মার্চে দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পর চার মাসে প্রায় ছয় হাজার কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাসটি ডেল্টা বা ভারতীয় ধরনের কারণে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে আরো এক হাজার করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনা সংক্রমিত হয়ে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড। একই সময়ে ৫ হাজার ২৬৮ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। দেশে কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬। আর মারা গেছেন ১৪ হাজার ১৭২ জন। সরকারি হিসাবে একদিনে আরো ৩ হাজার ২৪৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ১০৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫৫৪টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ৪০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৫ লাখ ০৬ হাজার ৭৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৯ জনের মধ্যে ২৪ জন ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২২, রাজশাহীতে ২২, খুলনায় ৩২, বরিশালে ২, সিলেটে ৫, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭৫ জন পুরুষ এবং ৪৪ জন নারী। এদের মধ্যে ৯৯ জন সরকারী হাসপাতালে, ১৪ জন বেসরকারী হাসপাতালে, ৪ জন বাসায় মারা গেছেন এবং দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় । এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১১৮ জন এবং নারী ৪ হাজার ৫৪ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৯ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১১, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬ জন রয়েছেন।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সরকার এপ্রিলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর মে মাসে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছিল। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যু জুনের শুরু থেকে আবার বাড়ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০১:২৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

চলতি বছরের মার্চে দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পর চার মাসে প্রায় ছয় হাজার কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাসটি ডেল্টা বা ভারতীয় ধরনের কারণে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে আরো এক হাজার করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনা সংক্রমিত হয়ে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড। একই সময়ে ৫ হাজার ২৬৮ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। দেশে কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬। আর মারা গেছেন ১৪ হাজার ১৭২ জন। সরকারি হিসাবে একদিনে আরো ৩ হাজার ২৪৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ১০৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫৫৪টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ৪০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৫ লাখ ০৬ হাজার ৭৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৯ জনের মধ্যে ২৪ জন ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২২, রাজশাহীতে ২২, খুলনায় ৩২, বরিশালে ২, সিলেটে ৫, রংপুরে ৯ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭৫ জন পুরুষ এবং ৪৪ জন নারী। এদের মধ্যে ৯৯ জন সরকারী হাসপাতালে, ১৪ জন বেসরকারী হাসপাতালে, ৪ জন বাসায় মারা গেছেন এবং দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় । এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ১১৮ জন এবং নারী ৪ হাজার ৫৪ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৯ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১১, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৯ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬ জন রয়েছেন।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সরকার এপ্রিলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর মে মাসে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছিল। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যু জুনের শুরু থেকে আবার বাড়ছে।