Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের ৭০ ভাগ লোক নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের ৭০ ভাগ লোক শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। কাজেই সরকার পতনের আন্দোলনে ভীত নয় আওয়ামী লীগ।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হেফাজতে ইসলাম দিবাস্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত। তারা সরকার পতনের স্বপ্ন দেখতে থাকুক।

তিনি বলেন, যেখানেই সমাবেশ সেখানেই পিকনিক পার্টি করে বিএনপি। তাদের একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, তারা যেন মশার কয়েল বেশি করে আনে। মশার কয়েলটা নিয়ে আসবেন। কর্মীরা আবার আন্দোলন করতে এসে যেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি না হয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শুধু শুধু দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে আমাদের লাভ নেই, বরং ক্ষতি। আমরা অশান্তি চাই না। কেউ যদি করে, জনগণের জানমাল রক্ষায়, শান্তির জন্য প্রটেকশন দেবো। জনগণের স্বার্থে আমরা প্রটেকশনে দেবো।

২৭ জুলাই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। একই দিনে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনও কর্মসূচি দিয়েছে। এ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংঘাতের উসকানি আমরা দেবো না। আমাদের পক্ষ থেকে সংঘাত হওয়ার শঙ্কা নেই। আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা কেনো উসকানি দেবো? আমরা বরাবরই বলে আসছি, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। সংঘাত হলে আমাদের ক্ষতি। আমরা শন্তিপূর্ণভাবে দেশ চালাতে চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিসিএস পরীক্ষা দেই কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় টিকতে পারি না। লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে ভাইভাতে গিয়ে আউট। আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে খুবই কষ্ট পান, তাকে বাধ্য হয়ে অনেক সময় ভিন্নমতের সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এটা তিনি প্রকাশও করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা কেন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয় না, পড়াশোনা কেন করেন না, এসব প্রশ্নগুলো তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রায়ই করেন। কোনো ছেলে-মেয়ের ভালো ফলাফল পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন বিসিএস দাও। আমাদেরতো লোক দরকার। সচিবালয়ে আরও কোয়ালিটি সম্পন্ন লোক দরকার। এ দেশে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নানা কায়দায়, কৌশলে ক্ষমতার মঞ্চে অধিষ্ঠিত, তারাই রাজত্ব করে গেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের নাম শেখ হাসিনা। তার কমিটমেন্ট, সততা, নৈতিক সাফল্য, প্রশাসনিক দক্ষতা, সাহস, দৃঢ়তা, শিক্ষা, সবমিলিয়ে তিনি সবার সেরা।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ বক্তাই গৎবাঁধা বক্তব্য রাখেন বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা সেট আছে, কেউ ১৯৪৯ সাল থেকে শুরু করেন, কেউ ৭৫ থেকে শুরু করেন। কিন্তু এর ভেতরে তথ্য নিয়েও কথা আছে। এতে আমাদের জ্ঞান-গরিমার পরিচয়তো দিতে পারি না।

এসময় ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, তবে কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করলে নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা লাঠিসোটা নিয়ে আসছে। পাশাপাশি এখন মশার কয়েল নিয়ে আসতে হবে। আমাদের তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। বিরোধীদের সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন ভেসে যাবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে কষ্ট পান। ভিন্নমতের অনেকের সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের ছেলে মেয়েরা বিসিএস দেয় না। আমাদের সচিবালয়ে লোক দরকার।

কাদের বলেন, এই উপ-কমিটিতে যারা আছেন, তারা অন্য কোনো উপ-কমিটিতে থাকতে পারবেন না। জেলা শাখায় থাকতে পারবেন না। শিক্ষা উপ-কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। ছাত্র সংগঠনের কমিটিগুলোকে দেখতে হবে। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের জনগণের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে। প্রয়োজনে আরও নেবেন। কর্মী বানাবেন। নেতা দরকার নেই।

তিনি বলেন, আগে ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলে মেয়েরা কমন রুম থেকে বেরিয়ে দেখতো, কোন নেতা যাচ্ছেন। আর এখন ছাত্রনেতারা হেঁটে গেলে কমন রুমে ঢুকে যায়। তার মানে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তিনজন উঠবে মোটরসাইকেলে, মাথায় হেলমেট নেই। এরা রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতার দাপট দেখায়।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভা সঞ্চালনা করেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান, অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক আজমল হোসেন, অধ্যাপক আবুল কাশেম, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, মেহেদী জামিল, শেখ রাসেল, এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশের ৭০ ভাগ লোক নৌকায় ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের ৭০ ভাগ লোক শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। কাজেই সরকার পতনের আন্দোলনে ভীত নয় আওয়ামী লীগ।

সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির পরিচিতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হেফাজতে ইসলাম দিবাস্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত। তারা সরকার পতনের স্বপ্ন দেখতে থাকুক।

তিনি বলেন, যেখানেই সমাবেশ সেখানেই পিকনিক পার্টি করে বিএনপি। তাদের একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, তারা যেন মশার কয়েল বেশি করে আনে। মশার কয়েলটা নিয়ে আসবেন। কর্মীরা আবার আন্দোলন করতে এসে যেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি না হয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শুধু শুধু দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে আমাদের লাভ নেই, বরং ক্ষতি। আমরা অশান্তি চাই না। কেউ যদি করে, জনগণের জানমাল রক্ষায়, শান্তির জন্য প্রটেকশন দেবো। জনগণের স্বার্থে আমরা প্রটেকশনে দেবো।

২৭ জুলাই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। একই দিনে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনও কর্মসূচি দিয়েছে। এ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংঘাতের উসকানি আমরা দেবো না। আমাদের পক্ষ থেকে সংঘাত হওয়ার শঙ্কা নেই। আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা কেনো উসকানি দেবো? আমরা বরাবরই বলে আসছি, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। সংঘাত হলে আমাদের ক্ষতি। আমরা শন্তিপূর্ণভাবে দেশ চালাতে চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিসিএস পরীক্ষা দেই কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় টিকতে পারি না। লিখিত পরীক্ষায় পাস করলে ভাইভাতে গিয়ে আউট। আজকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে খুবই কষ্ট পান, তাকে বাধ্য হয়ে অনেক সময় ভিন্নমতের সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এটা তিনি প্রকাশও করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা কেন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয় না, পড়াশোনা কেন করেন না, এসব প্রশ্নগুলো তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রায়ই করেন। কোনো ছেলে-মেয়ের ভালো ফলাফল পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন বিসিএস দাও। আমাদেরতো লোক দরকার। সচিবালয়ে আরও কোয়ালিটি সম্পন্ন লোক দরকার। এ দেশে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নানা কায়দায়, কৌশলে ক্ষমতার মঞ্চে অধিষ্ঠিত, তারাই রাজত্ব করে গেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের নাম শেখ হাসিনা। তার কমিটমেন্ট, সততা, নৈতিক সাফল্য, প্রশাসনিক দক্ষতা, সাহস, দৃঢ়তা, শিক্ষা, সবমিলিয়ে তিনি সবার সেরা।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ বক্তাই গৎবাঁধা বক্তব্য রাখেন বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটা সেট আছে, কেউ ১৯৪৯ সাল থেকে শুরু করেন, কেউ ৭৫ থেকে শুরু করেন। কিন্তু এর ভেতরে তথ্য নিয়েও কথা আছে। এতে আমাদের জ্ঞান-গরিমার পরিচয়তো দিতে পারি না।

এসময় ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, তবে কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করলে নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা লাঠিসোটা নিয়ে আসছে। পাশাপাশি এখন মশার কয়েল নিয়ে আসতে হবে। আমাদের তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। বিরোধীদের সরকার পতনের দিবা স্বপ্ন ভেসে যাবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে কষ্ট পান। ভিন্নমতের অনেকের সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের ছেলে মেয়েরা বিসিএস দেয় না। আমাদের সচিবালয়ে লোক দরকার।

কাদের বলেন, এই উপ-কমিটিতে যারা আছেন, তারা অন্য কোনো উপ-কমিটিতে থাকতে পারবেন না। জেলা শাখায় থাকতে পারবেন না। শিক্ষা উপ-কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। ছাত্র সংগঠনের কমিটিগুলোকে দেখতে হবে। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের জনগণের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে। প্রয়োজনে আরও নেবেন। কর্মী বানাবেন। নেতা দরকার নেই।

তিনি বলেন, আগে ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলে মেয়েরা কমন রুম থেকে বেরিয়ে দেখতো, কোন নেতা যাচ্ছেন। আর এখন ছাত্রনেতারা হেঁটে গেলে কমন রুমে ঢুকে যায়। তার মানে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তিনজন উঠবে মোটরসাইকেলে, মাথায় হেলমেট নেই। এরা রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতার দাপট দেখায়।

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভা সঞ্চালনা করেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ফায়েকুজ্জামান, অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক আজমল হোসেন, অধ্যাপক আবুল কাশেম, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, মেহেদী জামিল, শেখ রাসেল, এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ।