Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছেই নিরাপদ : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছেই নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ এবং জনগণকে পক্ষে নিতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। বিভাজন ও বিভক্তি রেখে দেশ গড়া সম্ভব নয়।

যেকোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়, আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে। দুর্নীতি দমনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি। সরকার গঠনে সক্ষম হলে স্বাবলম্বী মা এবং স্বাবলম্বী পরিবার গড়ে তুলা হবে।

তারেক রহমান বলেন, সরকারের কোনো দুর্নীতির তদন্ত করতে গেলে অনুমতি নেয়ার বিধান তুলে নেয়া হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করবে না বিএনপি। অনেকেই অনেক কথা বলছে, কিন্তু ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে তা বিএনপির মতো বিস্তারিত কেউ তুলে ধরেনি।

দেশের দুর্নীতির লাগাম টানা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএনপির সফল ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ আছে বলে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির আমলে দুর্নীতির সূচক কমতে থাকে। প্রতিবার বিএনপির সরকার দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরেছে।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে কাজ করেছে এবং বেগম খালেদা জিয়ার ২০০১-২০০৬ সালের শাসনামলে ধীরে ধীরে দেশকে দুর্নীতির ‘তকমা’ থেকে বের করে আনা হয়েছিল।

দেশের নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করার ওপর জোর দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রায় চার কোটি পরিবারের নারী প্রধানদের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে। রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা যেভাবে জনগণের কাছে নেয়া যায় তাই করা হবে।

তিনি বলেন, ‘যাদের প্রধান যে নারী আছেন, তাদের ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা সমাজে পিছিয়ে পড়া আছে, তাদের আগে দেয়া হবে। পরে ডিসি বা জজ সাহেবের স্ত্রীও এই কার্ড পাবেন। তবে প্রায়োরিটি বেজে পিছিয়ে পড়া সমাজের নারীরাই আগে পাবেন।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘অর্ধেক নারী দেশের মূল জনসংখ্যার। তাদেরকে কেন ঘরের মধ্যে রেখে দেব? তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে এই উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, জনগণের সমর্থনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে শুধু শিক্ষিত মা নয়, স্বাবলম্বী মা হিসেবে নারীদের গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অন্যায় যে করে সে কোনো দলের হতে পারে না, সে অন্যায়কারী। অতীতে দলের কেউ অন্যায় করলে বিএনপি দলীয়ভাবে নয়, আইন দিয়ে বিচার করেছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার রক্ষায় হাজার হাজার মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে। দেশের মানুষ এখন কথার ফুলঝুরি নয়, সমস্যার সমাধান চায়–সেই পরিকল্পনা বিএনপির রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং অধিকার রক্ষায় (যেমন: তালপট্টির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়) বিএনপির সুস্পষ্ট ও সফল ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রত্যেক নেতাকর্মী একটি জিনিস মনে রাখবেন, আজ দেশের স্বাধীনতা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বলেন, গণতন্ত্র বলেন- সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ওপরে। আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, এই দেশকে আমরা ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পারব, এই দেশের অর্থনীতি, এই দেশের নারী স্বাধীনতা থেকে শুরু করে, তরুণদের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সকল কিছু ধীরে ধীরে আমরা নিশ্চিত করতে পারব।

তারেক রহমান বলেন, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে দেশকে না পারি, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি, জনগণকে জনগণকে সঙ্গে রাখতে না পারি, এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে।

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি বলেন, দেশ গড়ার পরিকল্পনা দেশের ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে, তরুণ প্রজন্মের কাছে, মুরব্বিদের কাছে, ইমাম-মোয়াজ্জেমদের কাছে অবশ্যই পৌঁছাতে হবে। হ্যাঁ এগুলো পৌঁছাতে হবে। ইয়েস, আমাদের কাছে কোনো জাদু নেই…এটা জনগণ জানে। জনগণ দেখতে চায় বিএনপি করছে কিনা, করবে কিনা। ইনশআল্লাহ যদি আমরা ৪০% করতে পারি জনগণ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।

নির্বাচন সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আমাদের আর ঘরে বসে থাকার বিন্দুমাত্র সময় নেই। মাঠে চলে যেতে হবে, মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পথে-প্রান্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আসুন এটাই হোক আজকে আমাদের প্রতিজ্ঞা, এটাই হোক আজকে আমাদের এই দেশগড়া পরিকল্পনার শপথ। পরিকল্পনা করেছি। এখন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। বাস্তবায়নের জন্য এখন মাঠে নেমে পড়তে হবে।

‘কথার ফুলঝুড়িতে মানুষের পেটে খাবার আসবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে কর্মসংস্থান হয় না, কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে জনগণের অর্থের সংস্থান হয় না, কর্মসংস্থান হয় না। কর্মসংস্থান করতে হলে পরিকল্পনা লাগে, জনগণের পেটে আহার দিতে হলে, ভাত দিতে হলে পরিকল্পনা লাগে, যা একমাত্র আপনার আছে, যা একমাত্র এই দলের আছে, যা একমাত্র বিএনপির আছে, আর কারো নেই।

তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই, ইনশাআল্লাহ জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে করতে সক্ষম হবে এবং সেই সরকারকে সফল করতে হলে আপনাদের (নেতাকর্মী) প্রত্যেকের সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে সহযোগিতা করতে হবে। যে অন্যায় যে করে সে কোনো দলের হতে পারে না, অন্যায় যে করে সে অন্যায়কারী। যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে এনসিউর করতে হবে যে কঠোর হস্তে, আমরা দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে, আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে রাখতে হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলাকে আমাদের ঠিক রাখতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্ব বলেন বিএনপির কাছে নিরাপদ। দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা বলেন, এটিও বিএনপির ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করাও বিএনপির ট্র্যাক রেকর্ডে রয়েছে।

‘দেশ গড়া পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মেট্রোযাত্রায় ভ্যাট মওকুফ আরো ৬ মাস

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছেই নিরাপদ : তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছেই নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ এবং জনগণকে পক্ষে নিতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। বিভাজন ও বিভক্তি রেখে দেশ গড়া সম্ভব নয়।

যেকোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়, আইনের মাধ্যমে বিচার করা হবে। দুর্নীতি দমনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিএনপি। সরকার গঠনে সক্ষম হলে স্বাবলম্বী মা এবং স্বাবলম্বী পরিবার গড়ে তুলা হবে।

তারেক রহমান বলেন, সরকারের কোনো দুর্নীতির তদন্ত করতে গেলে অনুমতি নেয়ার বিধান তুলে নেয়া হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করবে না বিএনপি। অনেকেই অনেক কথা বলছে, কিন্তু ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে তা বিএনপির মতো বিস্তারিত কেউ তুলে ধরেনি।

দেশের দুর্নীতির লাগাম টানা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএনপির সফল ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ আছে বলে দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির আমলে দুর্নীতির সূচক কমতে থাকে। প্রতিবার বিএনপির সরকার দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরেছে।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে কাজ করেছে এবং বেগম খালেদা জিয়ার ২০০১-২০০৬ সালের শাসনামলে ধীরে ধীরে দেশকে দুর্নীতির ‘তকমা’ থেকে বের করে আনা হয়েছিল।

দেশের নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করার ওপর জোর দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রায় চার কোটি পরিবারের নারী প্রধানদের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে। রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা যেভাবে জনগণের কাছে নেয়া যায় তাই করা হবে।

তিনি বলেন, ‘যাদের প্রধান যে নারী আছেন, তাদের ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা সমাজে পিছিয়ে পড়া আছে, তাদের আগে দেয়া হবে। পরে ডিসি বা জজ সাহেবের স্ত্রীও এই কার্ড পাবেন। তবে প্রায়োরিটি বেজে পিছিয়ে পড়া সমাজের নারীরাই আগে পাবেন।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘অর্ধেক নারী দেশের মূল জনসংখ্যার। তাদেরকে কেন ঘরের মধ্যে রেখে দেব? তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে এই উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, জনগণের সমর্থনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে শুধু শিক্ষিত মা নয়, স্বাবলম্বী মা হিসেবে নারীদের গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অন্যায় যে করে সে কোনো দলের হতে পারে না, সে অন্যায়কারী। অতীতে দলের কেউ অন্যায় করলে বিএনপি দলীয়ভাবে নয়, আইন দিয়ে বিচার করেছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার রক্ষায় হাজার হাজার মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে। দেশের মানুষ এখন কথার ফুলঝুরি নয়, সমস্যার সমাধান চায়–সেই পরিকল্পনা বিএনপির রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং অধিকার রক্ষায় (যেমন: তালপট্টির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়) বিএনপির সুস্পষ্ট ও সফল ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রত্যেক নেতাকর্মী একটি জিনিস মনে রাখবেন, আজ দেশের স্বাধীনতা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বলেন, গণতন্ত্র বলেন- সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ওপরে। আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, এই দেশকে আমরা ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পারব, এই দেশের অর্থনীতি, এই দেশের নারী স্বাধীনতা থেকে শুরু করে, তরুণদের কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সকল কিছু ধীরে ধীরে আমরা নিশ্চিত করতে পারব।

তারেক রহমান বলেন, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে দেশকে না পারি, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি, জনগণকে জনগণকে সঙ্গে রাখতে না পারি, এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে।

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি বলেন, দেশ গড়ার পরিকল্পনা দেশের ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে, তরুণ প্রজন্মের কাছে, মুরব্বিদের কাছে, ইমাম-মোয়াজ্জেমদের কাছে অবশ্যই পৌঁছাতে হবে। হ্যাঁ এগুলো পৌঁছাতে হবে। ইয়েস, আমাদের কাছে কোনো জাদু নেই…এটা জনগণ জানে। জনগণ দেখতে চায় বিএনপি করছে কিনা, করবে কিনা। ইনশআল্লাহ যদি আমরা ৪০% করতে পারি জনগণ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।

নির্বাচন সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আমাদের আর ঘরে বসে থাকার বিন্দুমাত্র সময় নেই। মাঠে চলে যেতে হবে, মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পথে-প্রান্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আসুন এটাই হোক আজকে আমাদের প্রতিজ্ঞা, এটাই হোক আজকে আমাদের এই দেশগড়া পরিকল্পনার শপথ। পরিকল্পনা করেছি। এখন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। বাস্তবায়নের জন্য এখন মাঠে নেমে পড়তে হবে।

‘কথার ফুলঝুড়িতে মানুষের পেটে খাবার আসবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে কর্মসংস্থান হয় না, কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে জনগণের অর্থের সংস্থান হয় না, কর্মসংস্থান হয় না। কর্মসংস্থান করতে হলে পরিকল্পনা লাগে, জনগণের পেটে আহার দিতে হলে, ভাত দিতে হলে পরিকল্পনা লাগে, যা একমাত্র আপনার আছে, যা একমাত্র এই দলের আছে, যা একমাত্র বিএনপির আছে, আর কারো নেই।

তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই, ইনশাআল্লাহ জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে করতে সক্ষম হবে এবং সেই সরকারকে সফল করতে হলে আপনাদের (নেতাকর্মী) প্রত্যেকের সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে সহযোগিতা করতে হবে। যে অন্যায় যে করে সে কোনো দলের হতে পারে না, অন্যায় যে করে সে অন্যায়কারী। যেকোনো মূল্যে আমাদেরকে এনসিউর করতে হবে যে কঠোর হস্তে, আমরা দেশের স্বার্থে দেশের মানুষের স্বার্থে, আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে রাখতে হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলাকে আমাদের ঠিক রাখতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্ব বলেন বিএনপির কাছে নিরাপদ। দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা বলেন, এটিও বিএনপির ‘ট্র্যাক রেকর্ড’ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করাও বিএনপির ট্র্যাক রেকর্ডে রয়েছে।

‘দেশ গড়া পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।