Dhaka মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের সম্মানহানি যেন না ঘটে, হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হজ গাইডদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, আপনারা হলেন আপনাদের দলের হজযাত্রীদের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক। তাই সৌদি আরবে আপনাদের পরিচয় একজন হজ গাইডই নয়, আপনারা বাংলাদেশি। আপনাদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও সম্মানহানি যেন না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসে সরকারি হজ গাইড প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণে ১০২ জন হজ গাইড প্রশিক্ষণ নেন।

প্রত্যেক সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর উপর হজ আদায় করা ফরজ উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। প্রত্যেক হজযাত্রী যাতে সহীহ ও শুদ্ধভাবে হজ পালন করতে পারেন, সে বিষয়ে হজ গাইডদের সর্বদা সোচ্চার থাকতে হবে। হজ গাইডদের গাফলতির কারণে একজন হজযাত্রীর হজ পালনও যদি যথানিয়মে না হয়, সেই দায়ভার হজ গাইডের ওপরই বর্তাবে।’

হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আপনাদের দক্ষ হজ গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি অধিবেশনে শতভাগ মনোযোগী থাকবেন। হজের নিয়ম কানুন, হুকুম-আহকাম ও ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোনও কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকদের বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ নিলেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।

হজ গাইডদের হজযাত্রীদের দলের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। হজ যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজযাত্রীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। হজের আরকান-আহকাম এবং সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

এসময় প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দক্ষ হজ গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে ফরিদুল হক খান বলেন, দক্ষ হজ গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ধীরে শেখে এমন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। এসময় অন্যদের মধ্যে হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক ও পরিচালক হজ মুহম্মদ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তারেক রহমানের সরাসরি সাক্ষাৎ পেতে ‘রিল মেকিং’ প্রতিযোগিতা ঘোষণা বিএনপির

দেশের সম্মানহানি যেন না ঘটে, হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

হজ গাইডদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, আপনারা হলেন আপনাদের দলের হজযাত্রীদের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক। তাই সৌদি আরবে আপনাদের পরিচয় একজন হজ গাইডই নয়, আপনারা বাংলাদেশি। আপনাদের আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও সম্মানহানি যেন না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকার আশকোনায় হজ অফিসে সরকারি হজ গাইড প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণে ১০২ জন হজ গাইড প্রশিক্ষণ নেন।

প্রত্যেক সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর উপর হজ আদায় করা ফরজ উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হজের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। প্রত্যেক হজযাত্রী যাতে সহীহ ও শুদ্ধভাবে হজ পালন করতে পারেন, সে বিষয়ে হজ গাইডদের সর্বদা সোচ্চার থাকতে হবে। হজ গাইডদের গাফলতির কারণে একজন হজযাত্রীর হজ পালনও যদি যথানিয়মে না হয়, সেই দায়ভার হজ গাইডের ওপরই বর্তাবে।’

হজ গাইডদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, আপনাদের দক্ষ হজ গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি অধিবেশনে শতভাগ মনোযোগী থাকবেন। হজের নিয়ম কানুন, হুকুম-আহকাম ও ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোনও কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকদের বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ নিলেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।

হজ গাইডদের হজযাত্রীদের দলের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক উল্লেখ করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। হজ যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজযাত্রীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। হজের আরকান-আহকাম এবং সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

এসময় প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দক্ষ হজ গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে ফরিদুল হক খান বলেন, দক্ষ হজ গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ধীরে শেখে এমন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার। এসময় অন্যদের মধ্যে হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো. মঞ্জুরুল হক ও পরিচালক হজ মুহম্মদ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।