নাটোর জেলা প্রতিনিধি :
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, দেশের সব সংকটে নেতৃত্ব দেয় জিয়া পরিবার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এই জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। আমরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। ৭ নভেম্বর স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সিপাহী জনতা জিয়াউর রহমানকে জেলখানা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসলে তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নাটোর শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকেও জাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২০২৪ সালে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হাত থেকে ছাত্র-জনতা যে আন্দোলন করেছেন; দূর থেকে হলেও এই আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব ও পরামর্শ দিয়ে তারেক রহমান জাতিকে মুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, তারেক রহামানের নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব ফিরে এসেছে। দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে জিয়া পরিবার সঙ্গে থেকেছে। মানুষের অধিকারে এক হয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাতের অধিকার, ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকারের জন্য সাড়ে ১৫ বছর সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান। সেই দুর্যোগ মুহূর্তে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার ফেরানোর জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসহায় মানুষকে নির্যাতন, হত্যা করেছে, তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন তারেক রহমান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে এদেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে হাসিনার পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। ফলে দেশে আজ সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা ফিরে এসেছে।
দুলু বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরে আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা অনেক ভাইদের হারিয়েছি। আমার পাশে এসব সিনিয়র নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে কোপানো হয়েছে, তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। বনপাড়ায় আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবু, নাটোরের সুজন, রাকিব, রায়হানসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। সব সময় জিয়া পরিবার বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
নাটোরবাসীর উদ্দেশে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আজ নাটোর সন্ত্রাসমুক্ত। কোনো অন্যায়, অবিচারের কাছে নাটোরের মানুষ মাথা নত করবে না। আমি মন্ত্রী থাকাকালীন নাটোরের মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করেছে, কোথাও তাদের চাঁদা দিতে হয়নি। যদি কেউ আপনাদের কাছে চাঁদা চায়, আমাকে অভিযোগ দেবেন। আমি কথা দিলাম, সন্ত্রাসীদের দাঁত ও হাত ভেঙে দেবো, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ফুটপাতের ব্যবসায়ী, টেম্পোওয়ালাদের আর কোনো চাঁদা দিতে হবে না। এই টেম্পোর চাঁদা নিয়ে আওয়ামী লীগে মারামারি, ভাগাভাগি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। নাটোরে আর কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। নাটোরকে শান্তির নগর, উন্নয়নের নগর এবং সুন্দর জেলায় হিসেবে পরিণত করব।
সমাবেশে নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন। আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র এমদাদুল হক আল মামুন,কাজী শাহ আলম, জেলা স্বেচ্ছাসবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ রনি, ছাত্রদল সভাপতি কামরুল ইসলাসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।