Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

এতে বলা হয়, পিইসিতে (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন এবং নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় নারী বেশি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৭ জন। এছাড়া হিজড়া ১২ হাজার ৬২৯ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ গ্রামে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।

রোববার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বিবিএস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। শুমারি শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি সম্পন্নের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কনটেন্ট এরর নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত বছরের অক্টোবরে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শুমারি পরবর্তী যাচাই পিইসি জরিপ পরিচালনা করে।

বিআইডিএস ২০২২ সালের ১০ থেকে ১৬ অক্টোবর দেশের মোট ৩৭৮টি গণনা এলাকায় ট্যাবলেট ব্যবহার করে ক্যাপি পদ্ধতিতে পিইসি জরিপ পরিচালনা করা হয়। এ কাজে বিআইডিএস ৩৫০ জন গণনাকারী ও ৩৫ জন সুপারভাইজার নিয়োগ করে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

জরিপে প্রাপ্ত তথ্য প্রক্রিয়ারণ সম্পন্ন করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২.৭৫ শতাংশ নেট কভারেজ এরর (এনসিই) উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এছাড়াও প্রতিবেদনে পল্লী, শহর, বিভাগ, লিঙ্গ, ধর্ম ও ব্যাসভিত্তিক এনসিই উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ওই প্রতিবেদনের আলোকে বিবিএস কর্তৃক শুমারির সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার একটি পূর্ণাঙ্গ হিসাব তৈরি করা হয়েছে।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। পিইসিতে প্রাপ্ত ২.৭৫ শতাংশ এনসিইর প্রেক্ষিতে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার ৬৮.৩৪ শতাংশ পল্লীতে এবং ৩১.৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।

বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যা পর্যালোচনায় দেখা যায়, সবচেয়ে বড় বিভাগ ঢাকার গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন; সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা হলো ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন, যা দেশের মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ২৬.৮৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে, মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ৫.৪৯ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনাকৃত ও পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ

প্রকাশের সময় : ০৪:০০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

এতে বলা হয়, পিইসিতে (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন এবং নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন। অর্থাৎ পুরুষের তুলনায় নারী বেশি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৭ জন। এছাড়া হিজড়া ১২ হাজার ৬২৯ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ গ্রামে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।

রোববার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বিবিএস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। শুমারি শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি সম্পন্নের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কনটেন্ট এরর নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত বছরের অক্টোবরে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শুমারি পরবর্তী যাচাই পিইসি জরিপ পরিচালনা করে।

বিআইডিএস ২০২২ সালের ১০ থেকে ১৬ অক্টোবর দেশের মোট ৩৭৮টি গণনা এলাকায় ট্যাবলেট ব্যবহার করে ক্যাপি পদ্ধতিতে পিইসি জরিপ পরিচালনা করা হয়। এ কাজে বিআইডিএস ৩৫০ জন গণনাকারী ও ৩৫ জন সুপারভাইজার নিয়োগ করে এবং নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

জরিপে প্রাপ্ত তথ্য প্রক্রিয়ারণ সম্পন্ন করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২.৭৫ শতাংশ নেট কভারেজ এরর (এনসিই) উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এছাড়াও প্রতিবেদনে পল্লী, শহর, বিভাগ, লিঙ্গ, ধর্ম ও ব্যাসভিত্তিক এনসিই উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ওই প্রতিবেদনের আলোকে বিবিএস কর্তৃক শুমারির সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার একটি পূর্ণাঙ্গ হিসাব তৈরি করা হয়েছে।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। পিইসিতে প্রাপ্ত ২.৭৫ শতাংশ এনসিইর প্রেক্ষিতে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার ৬৮.৩৪ শতাংশ পল্লীতে এবং ৩১.৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।

বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যা পর্যালোচনায় দেখা যায়, সবচেয়ে বড় বিভাগ ঢাকার গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন; সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা হলো ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন, যা দেশের মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ২৬.৮৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে, মোট সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার ৫.৪৯ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনাকৃত ও পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।