Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের মানুষের সঙ্গে আ.লীগের কোনও সম্পর্ক নেই : আমির খসরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৮৭ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী এখন সফরে বের হয়েছেন। দেশে দেশে ধরনা দিচ্ছেন, দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে শেরা বাংলা জাতীয় যুব স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে, বিদেশে ধরনা দিচ্ছেন। তাদের নির্ভরশীলতা হচ্ছে রাষ্ট্রের কিছু প্রতিষ্ঠানে ওপরে, অন্য শক্তির ওপরে। প্রধানমন্ত্রী এখন সফরে বের হয়েছেন, এটা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার শেষ চেষ্টা। এখন দেশে দেশে ধরনা দিচ্ছেন, দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের থেকে আওয়ামী লীগ দূরে সরে গেছে। জনগণকে নিয়ে যে রাজনীতি হতে পারে, এটা তারা বিশ্বাসই করে না। কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা মিলে একটা রেজিম করেছে, যারা দেশটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেশটা পরিচালনা করছে। এই রেজিম ক্ষমতায় থাকার জন্য এখন বিদেশের ধরনা দিচ্ছে। একটা কথা পরিষ্কার করে বলে রাখছি— বাংলাদেশের মানুষকে দূরে রেখে যতই বিদেশে ধারনা দেন, কোনও লাভ হবে না। পরাজিত হতে হবে।’

আমির খসরু বলেন, আমরা আন্দোলনে নেমেছি। সেই আন্দোলনে দেশের সব মানুষের সম্পৃক্ততা আছে। সবার অংশগ্রহণ আছে। আওয়ামী লীগের ভয়টা সেখানেই। যে আন্দোলনে দেশের মানুষের সম্পৃক্ততা, অংশগ্রহণ এবং এগিয়ে আসে—সেই আন্দোলনের সম্মুখীন কেউ হতে চায় না।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে দলটি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে গেছে, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে তারা আজকে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। জনগণকে নিয়ে যে রাজনীতি হতে পারে সেটা তারা বিশ্বাস করে না।

আমীর খসরু সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যতই বিদেশে ধরনা দেন কোনো লাভ হবে না। পরাজিত হতে হবে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ জয়ী হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেয়, রাজনৈতিকভাবে অবস্থান নেয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি লড়ে জিততে পারে না।

আমীর খসরু বলেন, আজকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আন্দোলনে ডাক দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার দোয়ায় এই সংগঠন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে জেগেছে। এখানে সমস্ত দেশের মানুষের সম্পৃক্ত রয়েছে, সকলের অংশগ্রহণ রয়েছে, তাদের (সরকার) ভয়টাই যেখানে। আজকে যাদেরকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে তাদেরকে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিদেশি স্যাংশন নয়, দেশের মানুষ তো স্যাংশন দেবে। দেশের মানুষ কিন্তু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ভোট চুরির সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, আগামী দিনে কারা কারা জড়িত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একজন একজন করে পর্যবেক্ষণ করছে।

এখন তাদের (আওয়ামী লীগ) নির্ভরশীলতা হচ্ছে প্রশাসনের ওপর বলে দাবি করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর ভর করে যদি আবার ক্ষমতায় থাকতে পারে বা যেতে পারে। আমি আওয়ামী লীগকে সরকার বলি না। কারণ এখানে কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তারা মিলে রেজিম করেছে, তারা দেশটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এ সংঘবদ্ধ চক্র এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু একটা কথা বলতে চাই- বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যতদেশেই ঘুরে বেড়ান না কেন, কোনো লাভ হবে না। পরাজিত হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে দেশের মানুষ জয়ী হয়েছে, ভাষা আন্দোলনে মানুষ জয়ী হয়েছে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জয়ী হয়েছে…. তাদের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি লড়ে জয়ী হতে পারে না।

আওয়ামী লীগ যদি এখনো দেয়ালের লিখন পড়তে না পারে তাহলে তাদের জন্য দুঃখ আছে বলে মন্তব্য করে খসরু বলেন, আজ এমন একজন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন যে, আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আপনি কি মন্তব্য করবেন। এটা নিয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু আছে? সবচেয়ে বেশি সম্মানের জায়গা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে আপনি কী করবেন? সেটা হতে হবে, কারণ একটা অনির্বাচিত, দখলদার সরকার ক্ষমতায় থাকলে এটাই হবে, তাই স্বাভাবিক। কে কোথায় যাবে, কার কি সম্মান, তা থাকবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আখতারুল আলম ফারুকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

দেশের মানুষের সঙ্গে আ.লীগের কোনও সম্পর্ক নেই : আমির খসরু

প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধানমন্ত্রী এখন সফরে বের হয়েছেন। দেশে দেশে ধরনা দিচ্ছেন, দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে শেরা বাংলা জাতীয় যুব স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে, বিদেশে ধরনা দিচ্ছেন। তাদের নির্ভরশীলতা হচ্ছে রাষ্ট্রের কিছু প্রতিষ্ঠানে ওপরে, অন্য শক্তির ওপরে। প্রধানমন্ত্রী এখন সফরে বের হয়েছেন, এটা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার শেষ চেষ্টা। এখন দেশে দেশে ধরনা দিচ্ছেন, দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের থেকে আওয়ামী লীগ দূরে সরে গেছে। জনগণকে নিয়ে যে রাজনীতি হতে পারে, এটা তারা বিশ্বাসই করে না। কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা মিলে একটা রেজিম করেছে, যারা দেশটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেশটা পরিচালনা করছে। এই রেজিম ক্ষমতায় থাকার জন্য এখন বিদেশের ধরনা দিচ্ছে। একটা কথা পরিষ্কার করে বলে রাখছি— বাংলাদেশের মানুষকে দূরে রেখে যতই বিদেশে ধারনা দেন, কোনও লাভ হবে না। পরাজিত হতে হবে।’

আমির খসরু বলেন, আমরা আন্দোলনে নেমেছি। সেই আন্দোলনে দেশের সব মানুষের সম্পৃক্ততা আছে। সবার অংশগ্রহণ আছে। আওয়ামী লীগের ভয়টা সেখানেই। যে আন্দোলনে দেশের মানুষের সম্পৃক্ততা, অংশগ্রহণ এবং এগিয়ে আসে—সেই আন্দোলনের সম্মুখীন কেউ হতে চায় না।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে দলটি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে গেছে, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে তারা আজকে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। জনগণকে নিয়ে যে রাজনীতি হতে পারে সেটা তারা বিশ্বাস করে না।

আমীর খসরু সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যতই বিদেশে ধরনা দেন কোনো লাভ হবে না। পরাজিত হতে হবে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ জয়ী হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেয়, রাজনৈতিকভাবে অবস্থান নেয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি লড়ে জিততে পারে না।

আমীর খসরু বলেন, আজকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আন্দোলনে ডাক দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার দোয়ায় এই সংগঠন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে জেগেছে। এখানে সমস্ত দেশের মানুষের সম্পৃক্ত রয়েছে, সকলের অংশগ্রহণ রয়েছে, তাদের (সরকার) ভয়টাই যেখানে। আজকে যাদেরকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে তাদেরকে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিদেশি স্যাংশন নয়, দেশের মানুষ তো স্যাংশন দেবে। দেশের মানুষ কিন্তু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ভোট চুরির সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, আগামী দিনে কারা কারা জড়িত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একজন একজন করে পর্যবেক্ষণ করছে।

এখন তাদের (আওয়ামী লীগ) নির্ভরশীলতা হচ্ছে প্রশাসনের ওপর বলে দাবি করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর ভর করে যদি আবার ক্ষমতায় থাকতে পারে বা যেতে পারে। আমি আওয়ামী লীগকে সরকার বলি না। কারণ এখানে কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তারা মিলে রেজিম করেছে, তারা দেশটাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এ সংঘবদ্ধ চক্র এখন ক্ষমতায় থাকার জন্য ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু একটা কথা বলতে চাই- বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যতদেশেই ঘুরে বেড়ান না কেন, কোনো লাভ হবে না। পরাজিত হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে দেশের মানুষ জয়ী হয়েছে, ভাষা আন্দোলনে মানুষ জয়ী হয়েছে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জয়ী হয়েছে…. তাদের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি লড়ে জয়ী হতে পারে না।

আওয়ামী লীগ যদি এখনো দেয়ালের লিখন পড়তে না পারে তাহলে তাদের জন্য দুঃখ আছে বলে মন্তব্য করে খসরু বলেন, আজ এমন একজন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন যে, আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আপনি কি মন্তব্য করবেন। এটা নিয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু আছে? সবচেয়ে বেশি সম্মানের জায়গা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে আপনি কী করবেন? সেটা হতে হবে, কারণ একটা অনির্বাচিত, দখলদার সরকার ক্ষমতায় থাকলে এটাই হবে, তাই স্বাভাবিক। কে কোথায় যাবে, কার কি সম্মান, তা থাকবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আখতারুল আলম ফারুকের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।