Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে আবারও রাজনীতিতে আসার অলীক স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ : জামায়াতে আমির

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন,দেশের মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে আবারও রাজনীতিতে আসার অলীক স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে তারা ও তাদের দোসররা বিদেশে বসে দেশের শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দীর্ঘ দেড় যুগ পর সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা ময়দানে সিলেট জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতে আমির বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হলেও তাদের চরিত্র বদলায়নি। তাই এখনও দেশের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় গেলে জামায়াত বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়বে। যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা ঘুষ কোনো কিছুই থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগ সম্পর্কে শফিকুর রহমান বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি কখনো আনসার লীগ, কখনো রিকশা লীগ, কখনো চাকরি লীগ আবার কখনো ইসকন লীগ রূপে ফিরে এসে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে। তারা শেষমেষ ধর্মীয় দাঙ্গার ষড়যন্ত্রও করেছিল। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষ আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে।

তিনি বলেন, দেশের মাঠিতে আর কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। আর কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করা হবে না। জনগণের ভালোবাসা পেলে এমন একটি দেশ গড়বো যেখানে কেউ চাঁদাবাজি করবে না, চাঁদাবাজি বরদাশত করবে না। দেশের এক ইঞ্চি মাটির উপর কারও দখলবাজি চলবে না, চলতে দেওয়াও হবে না। কোনো অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করবে না আর করতে দেওযা হবে না। নারী-পুরুষকে সমান মর্যাদা ও নিরাপত্তা দেবে। কুরআনের ভিত্তিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও গর্ব এবং ইজ্জতের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেই স্বপ্নের দেশ গড়বো। যেই দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা কোথাও পাহারা দেওয়া লাগবে না। বরং ঘরে বাইরে এবং সামাজিক ও পেশাগত কাজে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ভোগ করবে। এটা আমরাই নিশ্চিত করবো।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর নিজ এলাকায় খোলা মাঠে আয়োজিত বিশাল কর্মীসভায় ডা. শফিকুর বলেন, যেদিন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে ধংস করার জন্য নেতাদের মাথায় তলোয়ার চালাতে শুরু করলো, আমরা সেদিন বন্ধুদের বলেছিলাম-আমাদের বিরুদ্ধে সরকার অন্যায়ভাবে যুদ্ধ শুরু করেছে। আসুন আমরা একসঙ্গে সেই যুদ্ধের মোকাবিলা করি। তাহলে আর কাউকে আঘাত করার সাহস পাবে না। দেশ বাঁচবে, আপনারাও বাঁচবেন, আমরাও বাঁচবো। সেদিন আমাদের এই আওয়াজ সকলের কাছে পৌছায়নি অথবা তারা উপলব্দি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যার মাশুল সাড়ে ১৫ বছর এই জাতিকে দিতে হয়েছে। আমরা বলেছিলাম শুধু আমাদের মাথায় আঘাত করা হয়নি, সবার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, একটা মানুষের অপমানের দায় নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম তারা শপথ নেবে। আর তারা এদেশকে আর জ্বালা-যন্ত্রণা দিবে না। কিন্তু কয়লা ধ্ইুলেও ময়লা যায় না। এটা সাবান দিয়ে ধুইলে আরও কালো হয়। আমরা সাবান দিয়ে ধুইতেছি, আর তারা আরও কালো হচ্ছে। তারা নিজেরো শান্তিতে নেই, দেশকেও শান্তিতে থাকতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যাদেরকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলুক এ ধরনের রাজনীতি চায় কী না, হাসপাতালে পঙ্গুত্ববরণ করে যারা বেঁচে আছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুক তারা কী চায়, তাহলে জবাব পাওয়া যাবে।

মানুষ এখন স্বস্তিতে আছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, দেশের মানুষ এখন রাতে ঘুমাতে পারছে, রাত জেগে আর দুর্বৃত্তদের পাহারা দিতে হচ্ছে না। দেশে রক্তের হুলি খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ক্ষমতা থেকে সরে গেলে বিরোধী শক্তিরা দুইদিনের মধ্যে ৫ লাখ মানুষকে খুন করবে। কিন্তু বাংলার মানুষ প্রমাণ করেছে তারা আওয়ামী লীগের মতো কোনো দুর্বৃত্ত না, পাষণ্ডও না।

আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বিভক্তির বদলে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করেছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে। জামায়াত কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি, কেবলই আল্লাহর কাছে মাথা নত করেছে। যার ফলাফল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের পতন।

জামায়াতের আমির বলেন, দীর্ঘ ১৬টি বছর আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি, আরও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত তবুও ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সাম্যের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের শীর্ষ ১১ নেতৃবৃন্দের কাউকে ফাঁসি দিয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে। জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ফাঁসির রায় দিয়েছে। তবে আল্লাহর ফয়সালায় তিনি জীবিত রয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচার পেয়ে তিনি মুক্ত আকাশের নিচে ফিরবেন ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, এই দেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের দেশ। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ যে ধরনের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন সেজন্য তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত সংখ্যালঘু কার্ড খেলতে চেয়েছিল। আমরা বারবার বলেছি এ দেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর নামে আর কোনো বিভক্তি চাই না। এর প্রতিফলন গোটা বিশ্ববাসী দেখতে পেয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বিভক্তির বদলে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করেছে।

জামায়াতে ইসলামীর সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর আমির ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, মৌলভীবাজার জেলা আমির শাহেদ আলী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

দেশের মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে আবারও রাজনীতিতে আসার অলীক স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ : জামায়াতে আমির

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন,দেশের মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে আবারও রাজনীতিতে আসার অলীক স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে তারা ও তাদের দোসররা বিদেশে বসে দেশের শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে দীর্ঘ দেড় যুগ পর সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা ময়দানে সিলেট জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতে আমির বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হলেও তাদের চরিত্র বদলায়নি। তাই এখনও দেশের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় গেলে জামায়াত বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়বে। যেখানে অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা ঘুষ কোনো কিছুই থাকবে না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগ সম্পর্কে শফিকুর রহমান বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি কখনো আনসার লীগ, কখনো রিকশা লীগ, কখনো চাকরি লীগ আবার কখনো ইসকন লীগ রূপে ফিরে এসে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে। তারা শেষমেষ ধর্মীয় দাঙ্গার ষড়যন্ত্রও করেছিল। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষ আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে।

তিনি বলেন, দেশের মাঠিতে আর কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। আর কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করা হবে না। জনগণের ভালোবাসা পেলে এমন একটি দেশ গড়বো যেখানে কেউ চাঁদাবাজি করবে না, চাঁদাবাজি বরদাশত করবে না। দেশের এক ইঞ্চি মাটির উপর কারও দখলবাজি চলবে না, চলতে দেওয়াও হবে না। কোনো অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করবে না আর করতে দেওযা হবে না। নারী-পুরুষকে সমান মর্যাদা ও নিরাপত্তা দেবে। কুরআনের ভিত্তিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও গর্ব এবং ইজ্জতের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেই স্বপ্নের দেশ গড়বো। যেই দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা কোথাও পাহারা দেওয়া লাগবে না। বরং ঘরে বাইরে এবং সামাজিক ও পেশাগত কাজে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ভোগ করবে। এটা আমরাই নিশ্চিত করবো।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর নিজ এলাকায় খোলা মাঠে আয়োজিত বিশাল কর্মীসভায় ডা. শফিকুর বলেন, যেদিন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে ধংস করার জন্য নেতাদের মাথায় তলোয়ার চালাতে শুরু করলো, আমরা সেদিন বন্ধুদের বলেছিলাম-আমাদের বিরুদ্ধে সরকার অন্যায়ভাবে যুদ্ধ শুরু করেছে। আসুন আমরা একসঙ্গে সেই যুদ্ধের মোকাবিলা করি। তাহলে আর কাউকে আঘাত করার সাহস পাবে না। দেশ বাঁচবে, আপনারাও বাঁচবেন, আমরাও বাঁচবো। সেদিন আমাদের এই আওয়াজ সকলের কাছে পৌছায়নি অথবা তারা উপলব্দি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যার মাশুল সাড়ে ১৫ বছর এই জাতিকে দিতে হয়েছে। আমরা বলেছিলাম শুধু আমাদের মাথায় আঘাত করা হয়নি, সবার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, একটা মানুষের অপমানের দায় নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম তারা শপথ নেবে। আর তারা এদেশকে আর জ্বালা-যন্ত্রণা দিবে না। কিন্তু কয়লা ধ্ইুলেও ময়লা যায় না। এটা সাবান দিয়ে ধুইলে আরও কালো হয়। আমরা সাবান দিয়ে ধুইতেছি, আর তারা আরও কালো হচ্ছে। তারা নিজেরো শান্তিতে নেই, দেশকেও শান্তিতে থাকতে দেবে না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যাদেরকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলুক এ ধরনের রাজনীতি চায় কী না, হাসপাতালে পঙ্গুত্ববরণ করে যারা বেঁচে আছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুক তারা কী চায়, তাহলে জবাব পাওয়া যাবে।

মানুষ এখন স্বস্তিতে আছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, দেশের মানুষ এখন রাতে ঘুমাতে পারছে, রাত জেগে আর দুর্বৃত্তদের পাহারা দিতে হচ্ছে না। দেশে রক্তের হুলি খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ক্ষমতা থেকে সরে গেলে বিরোধী শক্তিরা দুইদিনের মধ্যে ৫ লাখ মানুষকে খুন করবে। কিন্তু বাংলার মানুষ প্রমাণ করেছে তারা আওয়ামী লীগের মতো কোনো দুর্বৃত্ত না, পাষণ্ডও না।

আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বিভক্তির বদলে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করেছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে। জামায়াত কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি, কেবলই আল্লাহর কাছে মাথা নত করেছে। যার ফলাফল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের পতন।

জামায়াতের আমির বলেন, দীর্ঘ ১৬টি বছর আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি, আরও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত তবুও ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সাম্যের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের শীর্ষ ১১ নেতৃবৃন্দের কাউকে ফাঁসি দিয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে। জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ফাঁসির রায় দিয়েছে। তবে আল্লাহর ফয়সালায় তিনি জীবিত রয়েছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচার পেয়ে তিনি মুক্ত আকাশের নিচে ফিরবেন ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, এই দেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের দেশ। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ যে ধরনের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন সেজন্য তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে প্রতিবেশী দেশ ভারত সংখ্যালঘু কার্ড খেলতে চেয়েছিল। আমরা বারবার বলেছি এ দেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর নামে আর কোনো বিভক্তি চাই না। এর প্রতিফলন গোটা বিশ্ববাসী দেখতে পেয়েছে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বিভক্তির বদলে জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করেছে।

জামায়াতে ইসলামীর সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর আমির ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, মৌলভীবাজার জেলা আমির শাহেদ আলী প্রমুখ।